হাওর বার্তা ডেস্কঃ আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এ ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ কার্যদিবসে মূল্যবান ধাতুটির দাম বেড়ে গত সাত বছরের সর্বোচ্চ অবস্থানে উঠেছে। এরই মধ্যে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৬০০ ডলারের মাইলফলক ছাড়িয়ে গেছে। নিরাপদ বিনিয়োগ উৎস হিসেবে স্বর্ণের বাজার বিনিয়োগকারীদের মনোযোগ আকর্ষণ করায় বেচাকেনা বেড়ে মূল্যবান ধাতুটির বাজার চাঙ্গা হতে শুরু করেছে বলে জানান খাতসংশ্লিষ্টরা। একই সঙ্গে বেড়েছে রুপা ও প্লাটিনামের দাম।
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে সর্বশেষ কার্যদিবসে ভবিষ্যতে সরবরাহ চুক্তিতে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬১০ ডলার ৭০ সেন্টে, যা আগের দিনের তুলনায় দশমিক ৪৪ শতাংশ বেশি। একদিনের ব্যবধানে মূল্যবান ধাতুটির দাম বেড়েছে আউন্সে ৭ ডলার ১০ সেন্ট। ২০১৩ সালের পর এটাই আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের সর্বোচ্চ দাম। একইভাবে ইউরোপের বাজারে এদিন ভবিষ্যতে সরবরাহ চুক্তিতে প্রতি আউন্স স্বর্ণ ১ হাজার ৪৮৮ দশমিক ৬০ ইউরোতে বিক্রি হয়েছে, যা আগের দিনের তুলনায় দশমিক ৩১ শতাংশ বেশি।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কমোডিটি ব্রোকার ব্লু লাইন ফিউচার্সের প্রধান বাজার কৌশলবিদ ফিলিপ স্ট্রেইবল বলেন, বৈশ্বিক অর্থনীতিতে শ্লথতা নেমে আসার আশঙ্কা থেকে বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজার ও মুদ্রাবাজারে অর্থলগ্নিতে ভরসা পাচ্ছেন না। স্বাভাবিকভাবে তারা স্বর্ণের প্রতি ঝুঁকেছেন। এ পরিস্থিতি মূল্যবান ধাতুটির বাজার পরিস্থিতি চাঙ্গা করে তুলেছে।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে স্বর্ণের বাজারে এক ভিন্ন ধরনের প্রবণতা বজায় রয়েছে। অন্যান্য সময় ডলারের দাম বাড়লে স্বর্ণের দাম কমতে শুরু করে। তবে এখন ডলার ও স্বর্ণ দুটোর দামই বাড়তির দিকে রয়েছে। স্বর্ণের এ বাজার প্রবণতা বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ করছে। চাহিদায় চাঙ্গা ভাব বজায় থাকলে আগামী দিনগুলোয় মূল্যবান ধাতুটির দাম আরো বেড়ে যেতে পারে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বিনিয়োগ ব্যাংক ইউবিএসের বাজার কৌশলবিদ জনি তেভেজ বলেন, স্বর্ণের দাম দ্রুত বাড়ছে। নভেল করোনাভাইরাসের কারণে চীনসহ বৈশ্বিক অর্থনৈতিক শ্লথতা দীর্ঘায়িত হলে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম বর্তমানের তুলনায় আরো বেড়ে যাওয়ার জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে।