হাওর বার্তা ডেস্কঃ সেই প্রাচীনকাল থেকে পুরুষেরা তাদের যৌনক্ষমতা বাড়াতে নানা পদ্ধতি অনুসরণ করে আসছে। যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধি, যৌন স্বাস্থ্য ভালো রাখা, বীর্যের মান উন্নয়ন, যৌন শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য প্রাকৃতিতেই রয়েছে যৌনউদ্দীপক কিছু খাবার। বিশ্বের বিভিন্ন সংস্কৃতি ও সভ্যতাগুলো বছরের পর বছর ধরে এই যৌনউদ্দীপক খাবারের সকল সুবিধা গ্রহণ করে আসছে। পুরুষ এবং নারীদের মধ্যে যৌন ইচ্ছা জাগিয়ে তুলতে এই খাবার যৌনউদ্দীপনার এজেন্ট হিসেবে কাজ করে।
পুরুষের যৌনউদ্দীপনা সাধারণত দুই ধরণের হয়ে তাকে। প্রথম ধরণ যৌনউদ্দীপনা লিবিডোকে বাড়িয়ে দেয়। দ্বিতীয়টি যৌন কার্যকলাপ উপভোগ করার ক্ষমতা উন্নত করে। পুরুষের যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী খবারগুলো শরীরে রক্ত প্রবাহ বাড়ায়, চাপ কমায় এবং পেশীশক্তি বাড়ায়। যৌনউদ্দীপক এমন কয়েকটি খাবারের কথা জানিয়েছে জীবনধারা বিষয়ক সাময়িকী বোল্ডস্কাই।
কাজুবাদাম: কাজুবাদাম যৌনউদ্দীপক খাবার ও উর্বরতা প্রতীক হিসেবে পরিচিত। এটা প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিডের একটি উৎস, যা প্রজনন ফাংশন, হরমোন উৎপাদন, উর্বরতা এবং যৌন তাড়নার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও কাজুবাদাম লোভনীয় সুগন্ধির জন্য পরিচিত।
শতমূলী: হাজার হাজার বছর ধরে একটি যৌনউদ্দীপক খাদ্য হিসেবে শতমূলীর প্রশংসিত হয়ে আসছে। শতমূলীতে রয়েছে অ্যাসপারটিক অ্যাসিড। এটি শরীরের অতিরিক্ত অ্যামোনিয়া নিষ্ক্রিয় করে যা দুর্বলতা ও শারীরিক সম্পর্কে অনীহা দূর করে। শতমূলে উচ্চমাত্রায় ভিটামিন বি রয়েছে। এটি ফলেট নামে পরিচিত, এটি হিসটামিন উৎপাদন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। হিসটামিন পুরুষের স্বাস্থ্যকর যৌন ক্ষমতা বাড়ায়।
দারুচিনি: দারুচিনি রান্নায় ব্যবহৃত একটি জনপ্রিয় মশলা। পাশাপাশি এটি রুচিবর্ধক ও গন্ধযুক্ত এজেন্ট হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। দারুচিনির ঔষধি গুণ রয়েছে এবং এটি যৌনউদ্দীপক মসলা হিসেবে পরিচিত। দারুচিনি খেলে শরীর গরম হতে সাহায্য করে এবং যৌন ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। এই যৌনউদ্দীপক খাবারে উত্তেজনা কমানোর বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা রক্তেরশর্করার পরিমাণ স্বাভাবিক রাখে।
মধু: শারীরিক সম্পর্কের সময় খুব ভালো প্রভাব ফেলে মধু। এটি পুরুষের যৌন ক্ষমতা বাড়ানোর একটি ভালো ওষুধ। যৌন স্বাস্থ্যে উপকারী প্রভাব ফেলে বলেও মধু পরিচিত। মধু পুরুষের টেসটোস হরমোন উৎপাদনে উৎসাহ জোগায়।
আদা: আপনি কি জানেন পুরুষের যৌনউদ্দীপক খাবার হিসেবে আদা পরিচিত? আদায় তীব্র ঝাঁঝ আছে, কিন্তু সুন্দর গন্ধ ও অ্যারোমা। এগুলো শরীরকে শিথিলীকরণে প্রভাব ফেলে। আদা শরীরে কামনা বাসনা বাড়ায়, যৌন উচ্ছা প্রবল করে এবং যৌনক্রিয়াকে আনন্দময় করে তুলতে বিশেষভাবে সমাদৃত।
তরমুজ: বিশেষজ্ঞরা বলেন, তরমুজ হল নতুন ভায়াগ্রা। তরমুজ শরীরে রক্ত প্রবাহ স্বাভাবিক রাখে এবং পুরুষের যৌন তাড়না বাড়িয়ে দেয়। এতে রয়েছে সাট্রুলিন অ্যামিনো অ্যাসিড। এটি যৌন ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ভালো এবং রক্তপ্রবাহ শিথিলীকরণে সাহায্য করে।
ডালিম: কুইন লরেন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণা অনুযায়ী, ডালিমের জুস এক ধরণের প্রাকৃতিক যৌনউদ্দীপক খাবার। কারণ এটি টেসটোস্টেরণের মাত্রা বাড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতা আছে। টেসটোস্টেরণ এমন এক ধরণের হরমোন যা যৌনক্ষুধা বাড়িয়ে দেওয়ার পাশাপশি মেজাজকে ভালো করে, চাপ কমায় এবং স্মৃতিশক্তি উন্নত করে। যৌন ক্ষমতা বাড়াতে চাইলে প্রতিদিন ডালিম বা ডালিমের জুস বানিয়ে খেতে পারেন।
চকলেট: চকলেট পুরুষদের জন্য ‘সুপারফুড’ বলা হয় কারণ এটি যৌনউদ্দীপক খাদ্য। গ্রিন টি’র থেকেও চকলেটে অনেক বেশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে। এতে ফেনাইলথেলামাইন নামে পরিচিত এক ধরণের উত্তেজক রাসায়নিক রয়েছে। এটি উত্তেজনার অনুভূতি উদ্দীপিত এবং যৌন ইচ্ছা বৃদ্ধি করে। যেসকল নারী ও পুরুষ প্রতিদিন একটা করে চকলেট খায় তারা যৌন জীবনে সক্রিয় থাকে।
মিষ্টি আলু: মিষ্টি আলু পটাসিয়াম সমৃদ্ধ। এটি উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধ করে। এছাড়াও মিষ্টি আলুর কমলা রংয়ের কারণে বেটা ক্যারোটিন সমৃদ্ধ। এছাড়াও এতে ভিটামিন সি, ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স, আয়রন এবং ফসফরাসও থাকে। তাই বলা যায় যে, মিষ্টি আলু ইমিউন সিস্টেমের জন্য উপকারী এবং বিভিন্ন ধরণের রোগ থেকে রক্ষা করতে পারে।
আরও পড়ুন- যেসব ব্যক্তিকে ভুলেও কখনোই টাকা ধার দেবেন না
টাকা ধার নেয়া-দেয়া খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। বিপদে-আপদে বা প্রয়োজনে পরিচিতজনেদের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে থাকি আমরা।বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় টাকা ধার নিয়ে অনেকে সঠিক সময়ে ফেরত দেন না।তখনি হয় বিপত্তি। কিছু মানুষ আছেন, যাদেরকে টাকা ধার দেবার মত বোকামি আর হতে পারে না। কারণ এদেরকে টাকা ধার দিলে কখনোই ফিরে পাবেন না আপনি। পেলেও সেটার জন্য অনেক ভোগান্তির শিকার হতে হবে। আসুন জেনে নেই যেসব ব্যক্তিকে কখনোই টাকা ধার দেবেন না।
অন্যের পকেট কেটে চলেন: কিছু মানুষ এমন আছে যারা কখনোই নিজের পকেট থেকে খরচ করেন না। বেড়াতে যান অন্যের টাকায়, রেস্তোরাঁয় খেতে গেলে অন্য কেউ বিল দেবে বলে অপেক্ষা করেন ইত্যাদি আচরণ যাদের মাঝে আছে তাদেরকে টাকা ধার না দেয়াই উত্তম।
মিথ্যা কথা বলে: যারা ক্রমাগত মিথ্যা বলেন, তাদেরকে ভুলেও টাকা দেবেন না। কেননা যে প্রয়োজনটির কথা তিনি বা বলছেন বা যে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন, সেটাও মিথ্যা হবার সম্ভাবনা শতভাগ।
কথা দিয়ে কথা রাখা: যারা কথা দিয়ে কথা রাখে না তাদের ধার দেবার অর্থ টাকা দিয়ে ভোগান্তি ডেকে আনা। জীবনের অন্য দিকেও কথা দিয়ে সেটা রক্ষা করতে পারেন না, টাকার ক্ষেত্রে ওয়াদা রাখবেন সেটা ভাবার ভুল করতে যাবেন না।
একাধিক পাওনাদার: যার পেছনে একাধিক পাওনাদারের লম্বা লাইন, তাকে ধার না দেয়াই উত্তম। যদি কোন বিশাল বিপদ বা অসুস্থতার কারণে দিতেই হয়, সেটুকু টাকাই দিন যা ফিরে না পেলে আপনার কোন অসুবিধে হবে না।
ভরসা করা যায় না: আত্মীয়-স্বজনকে টাকা ধার দিলে প্রায়ই অবস্থাটা বিব্রতকর হয়ে ওঠে। কেউ আত্মীয় বলেই চাওয়া মাত্র টাকা ধার দিতে হবে, বিষয়টি সেটা নয়। নিরপেক্ষ ভাবেই খতিয়ে দেখুন যে আসলে ফিরে পাবার সম্ভাবনা আছে কিনা।
মাদকাসক্ত: মাদকাসক্ত ব্যক্তি ধার করেনই নেশার জন্য। যতই ঘনিষ্ঠ মানুষ হোক, এদেরকে ধার দেয়ার অর্থ আসক্তিতে সহায়তা করা।এদের কখনো ধার দেবেন না।
সাধ ও সাধ্যের অমিল: নিজের সাধ্যের অনেক উপরে জীবন যাপন করেন। এইসব মানুষেরা মূলত টাকা ধার করে করে নিজেদের সেই লাইফস্টাইল রক্ষা করেন, যার আসলে কোন প্রয়োজন নেই। একজন থেকে ধার করে দেখায় আরেকজনের ধার শোধ করছেন, তারপর আবার ধার করেন, এভাবেই চলতে থাকে বেসামাল জীবন যাত্রা। টাকা ধার চাইলে না বলাটা খুবই কঠিন। তবে টাকা ধার দেয়া আগে একবার ভাবুন যাকে টাকা ধার দিচ্ছেন তিনি টাকা ফেরত দেবেন কিনা।