হাওর বার্তা ডেস্কঃ কিশোরগঞ্জের ঐতিহ্য, ইতিহাস খুঁজলে করিমগঞ্জের জঙ্গলবাড়ী আপনাকে আসতেই হবে। করিমগঞ্জ বাজারের উত্তরে জ্ঞানদা সুন্দরী সহমরন মঠ দেখে দীর্ঘশ্বাস আপনাকে ছাড়তেই হবে। আপনি যদি শিল্প-সাহিত্য প্রেমী হয়ে থাকেন, ছড়া এবং পথের পাঁচালী কটিয়াদীর মসূয়া আপনাকে টেনে নেবে।
কবিতার ফ্লেভার আপনার ভেতর কিছু থাকলে তা আপনাকে নিয়ে যাবে বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহিলা কবি চন্দ্রাবতী এবং কবি দ্বিজবংশী দাশের বাড়ীতে। যা সদর উপজেলার মাইজ খাপন ইউনিয়নের কাচারীপাড়া গ্রামে অবস্থিত।
কিশোরগঞ্জ শহরে যেহেতু আসবেন, পাগলা মসজিদ ঘুরে গুরুদয়াল কলেজ মাঠ এবং নরসুন্দা নদীর তীর, ওয়াচ টাওয়ারে পুরো কিশোরগঞ্জ শহর দেখে মন প্রাণ জুড়িয়ে নিতে পারেন।
শহরের বত্রিশ বাসস্ট্যান্ড ঠিক পাশেই প্রামানিকের পুকুর না দেখলে কিশোরগঞ্জ দেখার অর্ধেক আনন্দই মাটি! থামুন, শহর দেখা এখনও বাকী, শহরের আঠারো বাড়ীর কাচারী কিন্তু এখনও দেখেননি।
হাতে সময় থাকলে যেতে পারেন গুরুদয়াল সরকারের বাড়ী যিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন গুরুদয়াল কলেজটি। অবশ্য এজন্য আপনাকে যেতে হবে কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলা ইটনায়। ধনপুরের কাঠুইর গ্রামের গুরুদয়াল সরকারের বাড়ি ঘুরে যেতে পারেন ময়মনসিংহের আনন্দমোহন কলেজ যিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন তাঁর বাড়ি জয়সিদ্ধিতে। এর আগে ঘুরে আসুন ইটনা সদরের গুপ্ত বাড়ি আর গায়েবি মসজিদ।
হাওর যদি মনকে তৃপ্ত করে তাহলে মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এঁর বাড়ী দেখে আসতে আপনাকে মিঠামইন যেতে হবে। পাবেন আন্তরিক অভ্যর্থনা সাথে এক কাপ রঙ চা! অবশ্য বোনাস হিসেবে দিল্লীর আখড়া ঘুরে আসলে আপনার খারাপ লাগবেনা।
আপনি কি ভাবছেন কিশোরগঞ্জ দেখা শেষ? না জনাব অষ্টগ্রাম ঘুরে দেশ বিখ্যাত পনির খেয়ে আর কুতুব শাহী মসজিদ দেখে আবার কিশোরগঞ্জ একটু আসতেই হবে। কেন? আরে শোলাকিয়ার মাঠ তো এখনও বাকী!
শোলাকিয়ার মাঠ দেখে শহীদী মসজিদ দেখা শেষ হলে মদন গোপালের মিষ্টি এবং লক্ষী নারায়নের রসমলাই খেয়ে আস্তে আস্তে বাড়ির পথে রওনা দিন।
যদি পাকুন্দিয়া হয়ে বাড়ী যান তাহলে ঐতিহাসিক এগারোসিন্দুর না দেখে যাবেন না। সেখানেই পাবেন সাদী মসজিদ, শাহ মাহমুদ মসজিদ আর চোখ জুড়ানো বেবুথ রাজার দিঘি।
আর যদি হোসেনপুর হয়ে যান তাহলে গাঙ্গাটিয়া মানব বাবুর জমিদার বাড়ী এবং উপড়ি পাওনা হিসেবে জীবিত জমিদার ‘ মানব বাবু’ র দেখাও পেয়ে যেতে পারেন।