স্বামী-স্ত্রীর ব্লাড গ্রুপ এক হলে যা হয়

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিয়ে ঠিকঠাক। সবকিছু পাক্কা। কিন্তু আপনি জানেন কি, যে আপনার জীবনসঙ্গী হতে যাচ্ছে তার রক্তের গ্রুপ কি? সাধারণত অনেকেই এ বিষয়টি মোটেই খেয়াল করেন না। স্বামী-স্ত্রীর ব্লাড গ্রুপ এক হয়ে গেলে তখন কি হবে? চলুন পাঠক এ ব্যাপারে কিছু তথ্য জেনে নিই।

বিয়ের আগে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো স্বামী-স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা করে নেওয়া। স্বামী-স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ এক হলে কোনও সমস্যা হয় কি? অনেকেই ভাবেন এর ফলে সন্তান সুস্থ হবে না। কিন্তু চিকিৎসকদের মতে, এতে কোনও সমস্যাই হয় না।

এশিয়াতে প্রায় ৪৬ ভাগ মানুষের রক্তের গ্রুপ ‘বি’। এশিয়ায় নেগেটিভ ব্লাড গ্রুপ ৫ শতাংশ, সেখানে ইউরোপ আমেরিকাতে প্রায় ১৫ শতাংশ। যেখানে উপমহাদেশে সিংহভাগ মানুষের রক্তের গ্রুপ ‘বি’। সেখানে স্বামী-স্ত্রীর রক্তের গ্রুপের মিল হবে সেটাই স্বাভাবিক।

যদি স্ত্রীর নেগেটিভ রক্তের গ্রুপ থাকে এবং স্বামীর পজিটিভ গ্রুপ থাকে তাহলে সমস্যা হয়ে থাকে। এটিও সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। কারণ, থ্যালাসেমিয়া রোগ ক্রোমোজোম অ্যাবনরমালিটি থেকে হয়।

স্বামী পজিটিভ(+) স্ত্রী পজেটিভ(+) হলে সুস্থ সন্তান হয়। স্বামী নেগেটিভ (-) স্ত্রী নেগেটিভ (-) হলেও সুস্থ সন্তান। স্বামী নেগেটিভ (-) স্ত্রী পজেটিভ (+) হলে সুস্থ সন্তান। তবে স্বামী পজিটিভ (+) স্ত্রী নেগেটিভ (-) হলে প্রথম সন্তান সুস্থ, দ্বিতীয় সন্তান নেয়ার সময় কিছু সমস্যা হতে পারে।

প্রধানত রক্তের গ্রুপকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। একটা হলো ABO পদ্ধতি (A, B, AB এবং O) অন্যটা Rh ফ্যাক্টর (Rh পজেটিভ এবং Rh নেগেটিভ)। এইরেসাস ফ্যাক্টরই ঠিক করে দেয় ব্লাড গ্রুপ পজেটিভ হবে না নেগেটিভ।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর