ঢাকা ০৬:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ২৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হাওরবাসীরা পাচ্ছেন নলকূপ-ল্যাট্রিন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৫২:৪৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ ২০১৯
  • ২৯৯ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ হাওর অঞ্চলে টেকসই পানি সরবরাহ এবং স্যানিটেশন সুবিধা দিতে ৫ হাজার ৬৬১টি গভীর নলকূপ ও ৪ হাজার ১২৬টি ইমপ্রুভ ল্যাট্রিন স্থাপন করা হবে। নলকূপ স্থাপন ব্যয় ৫৬ কোটি ৬১ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে একটি নলকূপে এক লাখ টাকা খরচ পড়বে। অন্যদিকে ল্যাট্রিন স্থাপনে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২০৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা। ফলে প্রতিটা সাধারণ মানের ল্যাট্রিন নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে পাঁচ লাখ টাকা।

উত্তরবঙ্গে দেড়শ’ থেকে ২০০ ফুট গভীরতায় সুপেয় পানি পাওয়া যায় অন্যদিকে বরিশালে এক থেকে দেড় হাজার হাজার ফুট গভীরতায় সুপেয় পানি মেলে। তবে হাওর অঞ্চলের ৭০০ থেকে ৮০০ ফুট গভীরতায় মিলবে সুপেয় পানি। হাওর অঞ্চলের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর বন্যাজনিত ক্ষয়ক্ষতি ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে জনস্বাস্থ্য নিম্নমানের। তাদের স্বাস্থ্যগত সমস্যার অন্যতম কারণ হলো বিশুদ্ধ সুপেয় পানির অভাব এবং স্যানিটেশনের তীব্র সংকট।

পাশাপাশি সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর ১০ ভাগ মানুষের নিরাপদ পানি সম্পর্কে কোনো ধারণা নাই। হাওর মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী ৫০ ভাগ গৃহস্থালী কাজের জন্য পার্শ্ববর্তী পুকুর বা নদীর উপর নির্ভর করতে হয়। স্থানীয় সরকার বিভাগের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর (ডিপিএইচই) কাজগুলো বাস্তবায়ন করবে। স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্ম-সচিব খাইরুল ইসলাম বলেন, হাওর অঞ্চলে সুপেয় পানি ও স্যানিটেশন অন্যতম সমস্যা।

এই সমস্যা সমাধানে দেশের সমস্ত হাওরে সুপেয় পানি নিশ্চিত করতে নলকূপ স্থাপন করা হবে। এর পাশাপাশি স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশনের ব্যবস্থা করা হবে। এসবের মাধ্যমে স্থানীয় জনগণের জীবনমান উন্নত হবে। সামাজিক প্রচারণার মাধ্যমে হাওর অঞ্চলে নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশনের বিষয়ে স্থানীয় জনগণের সচেতনতা বাড়ানো হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

হাওরবাসীরা পাচ্ছেন নলকূপ-ল্যাট্রিন

আপডেট টাইম : ১১:৫২:৪৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ হাওর অঞ্চলে টেকসই পানি সরবরাহ এবং স্যানিটেশন সুবিধা দিতে ৫ হাজার ৬৬১টি গভীর নলকূপ ও ৪ হাজার ১২৬টি ইমপ্রুভ ল্যাট্রিন স্থাপন করা হবে। নলকূপ স্থাপন ব্যয় ৫৬ কোটি ৬১ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে একটি নলকূপে এক লাখ টাকা খরচ পড়বে। অন্যদিকে ল্যাট্রিন স্থাপনে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২০৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা। ফলে প্রতিটা সাধারণ মানের ল্যাট্রিন নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে পাঁচ লাখ টাকা।

উত্তরবঙ্গে দেড়শ’ থেকে ২০০ ফুট গভীরতায় সুপেয় পানি পাওয়া যায় অন্যদিকে বরিশালে এক থেকে দেড় হাজার হাজার ফুট গভীরতায় সুপেয় পানি মেলে। তবে হাওর অঞ্চলের ৭০০ থেকে ৮০০ ফুট গভীরতায় মিলবে সুপেয় পানি। হাওর অঞ্চলের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর বন্যাজনিত ক্ষয়ক্ষতি ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে জনস্বাস্থ্য নিম্নমানের। তাদের স্বাস্থ্যগত সমস্যার অন্যতম কারণ হলো বিশুদ্ধ সুপেয় পানির অভাব এবং স্যানিটেশনের তীব্র সংকট।

পাশাপাশি সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর ১০ ভাগ মানুষের নিরাপদ পানি সম্পর্কে কোনো ধারণা নাই। হাওর মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী ৫০ ভাগ গৃহস্থালী কাজের জন্য পার্শ্ববর্তী পুকুর বা নদীর উপর নির্ভর করতে হয়। স্থানীয় সরকার বিভাগের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর (ডিপিএইচই) কাজগুলো বাস্তবায়ন করবে। স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্ম-সচিব খাইরুল ইসলাম বলেন, হাওর অঞ্চলে সুপেয় পানি ও স্যানিটেশন অন্যতম সমস্যা।

এই সমস্যা সমাধানে দেশের সমস্ত হাওরে সুপেয় পানি নিশ্চিত করতে নলকূপ স্থাপন করা হবে। এর পাশাপাশি স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশনের ব্যবস্থা করা হবে। এসবের মাধ্যমে স্থানীয় জনগণের জীবনমান উন্নত হবে। সামাজিক প্রচারণার মাধ্যমে হাওর অঞ্চলে নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশনের বিষয়ে স্থানীয় জনগণের সচেতনতা বাড়ানো হবে।