ঢাকা ১১:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মালিতে বন্দুকধারীদের হামলায় নিহত শতাধিক

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:৩৭:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ মার্চ ২০১৯
  • ২১২ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আফ্রিকার দেশ মালিতে একটি গ্রামে বন্দুকধারীদের হামলায় শতাধিক লোক নিহত হয়েছেন। হামলাকারীরা মালির ঐতিহ্যবাহী ডগন শিকারিদের পোশাক পরেছিল বলে জানান স্থানীয় লোকজন। গতকাল শনিবার দেশটির মপটি অঞ্চলের ওগোসাগৌ গ্রামে হামলার এ ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয় এক কর্মকর্তা জানান, হামলা চালানোর আগে ওগোসাগৌ গ্রামটি ঘিরে ফেলে বন্দুকধারীরা। ক্ষুদ্র জাতিসত্তার ফুলানি সম্প্রদায়ের মানুষ ছিল তাদের মূল লক্ষ্য। দেশটিতে জাতিগত বিদ্বেষ দিন দিন বেড়ে চলার কারণে জাতিসংঘের কয়েকজন রাষ্ট্রদূত মালিতেই অবস্থান করছিলেন। সে সময় এ হামলার ঘটনা ঘটে।

সংবাদ সংস্থা এএফপিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্থানীয় এক নিরাপত্তাকর্মী জানান, ভয়াবহ ওই হামলায় বন্দুক ও চাপাতি ব্যবহৃত হয়েছে। প্রতিবেশী গ্রাম ওউঙ্কোরোর মেয়র চিক হারাউনা সানকার এ হামলাকে গণহত্যা বলে অভিহিত করেছেন।

ডগন শিকারি ও আধা যাযাবর ফুলানি সম্প্রদায়ের লোকজনের মধ্যে জমি আর পানির দখল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছে। ফুলানিদের সঙ্গে সন্ত্রাসী দলগুলোর সম্পর্ক আছে বলে অভিযোগ করেছে ডগনরা। এদিকে ফুলানিরা দাবি করেছে, মালির সেনাবাহিনী অস্ত্র দিয়ে শিকারিদের তাদের ওপর হামলা চালাতে সহায়তা করেছে।

গত বছর ডগন শিকারি ও ফুলানিদের মধ্যকার সংঘর্ষে শতাধিক নিহত হয়। মালিভিত্তিক আল–কায়েদা জঙ্গি দলের একটি শাখা শুক্রবার বলেছে, তারা মালির সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে। এতে ২০ জনেরও বেশি সেনা নিহত হয়েছে। মালিভিত্তিক আল–কায়েদা বলছে, ফুলানিদের প্রতি সহিংসতার প্রতিবাদে তারা এই হামলা চালিয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

মালিতে বন্দুকধারীদের হামলায় নিহত শতাধিক

আপডেট টাইম : ১২:৩৭:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ মার্চ ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আফ্রিকার দেশ মালিতে একটি গ্রামে বন্দুকধারীদের হামলায় শতাধিক লোক নিহত হয়েছেন। হামলাকারীরা মালির ঐতিহ্যবাহী ডগন শিকারিদের পোশাক পরেছিল বলে জানান স্থানীয় লোকজন। গতকাল শনিবার দেশটির মপটি অঞ্চলের ওগোসাগৌ গ্রামে হামলার এ ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয় এক কর্মকর্তা জানান, হামলা চালানোর আগে ওগোসাগৌ গ্রামটি ঘিরে ফেলে বন্দুকধারীরা। ক্ষুদ্র জাতিসত্তার ফুলানি সম্প্রদায়ের মানুষ ছিল তাদের মূল লক্ষ্য। দেশটিতে জাতিগত বিদ্বেষ দিন দিন বেড়ে চলার কারণে জাতিসংঘের কয়েকজন রাষ্ট্রদূত মালিতেই অবস্থান করছিলেন। সে সময় এ হামলার ঘটনা ঘটে।

সংবাদ সংস্থা এএফপিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্থানীয় এক নিরাপত্তাকর্মী জানান, ভয়াবহ ওই হামলায় বন্দুক ও চাপাতি ব্যবহৃত হয়েছে। প্রতিবেশী গ্রাম ওউঙ্কোরোর মেয়র চিক হারাউনা সানকার এ হামলাকে গণহত্যা বলে অভিহিত করেছেন।

ডগন শিকারি ও আধা যাযাবর ফুলানি সম্প্রদায়ের লোকজনের মধ্যে জমি আর পানির দখল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছে। ফুলানিদের সঙ্গে সন্ত্রাসী দলগুলোর সম্পর্ক আছে বলে অভিযোগ করেছে ডগনরা। এদিকে ফুলানিরা দাবি করেছে, মালির সেনাবাহিনী অস্ত্র দিয়ে শিকারিদের তাদের ওপর হামলা চালাতে সহায়তা করেছে।

গত বছর ডগন শিকারি ও ফুলানিদের মধ্যকার সংঘর্ষে শতাধিক নিহত হয়। মালিভিত্তিক আল–কায়েদা জঙ্গি দলের একটি শাখা শুক্রবার বলেছে, তারা মালির সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে। এতে ২০ জনেরও বেশি সেনা নিহত হয়েছে। মালিভিত্তিক আল–কায়েদা বলছে, ফুলানিদের প্রতি সহিংসতার প্রতিবাদে তারা এই হামলা চালিয়েছে।