ডাকসু নির্বাচনে অনিয়মের প্রমাণ ভিসিকে দিলেন ৬ শিক্ষার্থী

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সদ্য সমাপ্ত ডাকসু ও হল সংসদের নির্বাচনের বিভিন্ন অনিয়মের প্রমাণ ভিসির কাছে উপস্থাপন করেছেন পুনর্নির্বাচনের দাবিতে অনশন করা ৬ শিক্ষার্থী। আজ সোমবার (১৮মার্চ) তারা ভিসির কাছে এসব প্রমাণ তুলে ধরেন।

এর আগে, নির্বাচনের অনিয়মের সব অভিযোগ নাকচ করে এরপরও কারও কাছে যদি কোনো ‘বস্তুনিষ্ঠ প্রমাণ’ থাকে, তা দেয়ার আহ্বান জানায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কর্তৃপক্ষ। তিন দশক পর গত ১১ মার্চ অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ও প্যানেলের পুনর্নির্বাচনের দাবির মধ্যে শনিবার (১৬মার্চ) এক বিজ্ঞপ্তিতে এই আহ্বান জানানো হয়।

টেলিভিশন আলোচনা অনুষ্ঠান ও বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ‘বিভ্রান্তিকর বক্তব্য ও মন্তব্যের’ পরিপ্রেক্ষিতে জনমনে বিভ্রান্তি নিরসনের লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষের ব্যাখ্যাসহ এই বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয় বলে জানায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগ।

ইতোপূর্বে ক্যাম্পাসে লাশের রাজনীতি করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যারা ক্যাম্পাসে সহিংসতা ও বড় ধরনের অনভিপ্রেত ঘটনার জন্ম দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে তথা দেশে অশান্ত ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে হীন রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের সুযোগ খুঁজছিলেন, তাদের উদ্দেশ্য ঢাকাবিশ্ব বিদ্যালয়ের মূল্যবোধ ধারণকারী শিক্ষার্থীরা পূরণ হতে দেয়নি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আরও বলেছে, উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে অপরাজনীতির দৃষ্টিভঙ্গিতে কোনো কোনো মহল/ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তথ্য উপাত্ত যাচাই-বাছাই ছাড়াই ধারাবাহিকভাবে নির্বাচন সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে মনগড়া মন্তব্য ও ব্যাখ্যা প্রদান করে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করছেন, সর্বোপরি নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করছেন, যা কোনোক্রমেই কাম্য হতে পারে না।

তবে ভোটের দিন যেসব অনিয়মের ঘটনা সামনে এসেছিল তাকে ‘বিচ্ছিন্ন দু’একটি ঘটনা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে জনসংযোগ দপ্তর থেকে দেওয়া এই বিবৃতিতে। এই নির্বাচনে ডাকসুর ভিপি ও সমাজসেবা সম্পাদক পদে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের নেতা নুরুল হক নুর ও আখতার হুসেন জয়ী হলেও বাকি সব পদে বিজয়ী হয় ছাত্রলীগের প্রার্থীরা। অধিকাংশ হল সংসদেই জিতেছে ছাত্রলীগের প্যানেল।

ভোটের পর ছাত্রলীগ ভিপি পদে পুনর্নির্বাচনের দাবি তুললেও তা থেকে সরে আসে। তবে নুরের প্যানেলসহ বাম ছাত্র জোট ও স্বতন্ত্র প্যানেলগুলো কারচুপির অভিযোগ তুলে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে। নিজেদের উদ্যোগে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করে বিভিন্ন অনিয়মের ঘটনা তুলে ধরে এই নির্বাচন স্থগিত করে নতুন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরামর্শ দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর