ঢাকা ১১:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উত্তর কোরিয়ার ভোটে ছিল না কোনো বিরোধী প্রার্থী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:০০:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ মার্চ ২০১৯
  • ২৩৪ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আরেকটা জাতীয় নির্বাচন হয়ে গেল উত্তর কোরিয়ায়, বিজয়ী হয়েছেন কিম জং উন এবং তাঁর দলের লোকেরা। তবে বাইরের কেউ যদি দেশটিতে ভোট দিতে যেত তাহলে খুবই অবাক হত। কারণ ব্যালট পেপারে ভোট শুধু একজনকেই দেওয়া যায়-নেই কোনো বিরোধী প্রার্থী। নাগরিকদের অবশ্য ভোট দেওয়া বাধ্যতামূলক। ফলে নির্বাচনের ফলাফল যা হওয়ার তাই-শতভাগ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন কিম ও তাঁর প্রার্থীরা।

ভোটাভুটিতে বিরোধী কোনো প্রার্থী নেই। প্রতি ব্যালটে এক জনকেই ভোট দেওয়া যায়। ফলে বিজয়ী অনেকটা নির্ধারিতই। তিনি দেশটির সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন। ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির চেয়ারম্যান। ২০১১ সাল থেকে ডেমোক্রেটিক পিপল’স রিপাবলিক অব কোরিয়া তথা গণপ্রজাতন্ত্রী কোরিয়ার শাসনদণ্ড তারই হাতে।

প্রতি পাঁচ বছর অন্তর নিয়ম করে পার্লামেন্ট নির্বাচনের আয়োজন করা হয়। নির্বাচিত হয় ‘সুপ্রিম পিপল’স অ্যাসেম্বলি’ নামে আইনসভা। এটাকে প্রায়ই ‘রাবার স্ট্যাম্প আইনসভা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন বিশ্লেষকরা।

ভোটে জনগণ নিজেদের কোনো প্রতিনিধি বা নেতা নির্বাচন করেন না। কারণ ব্যালট পেপারে শুধু একজন প্রার্থীর নাম। ভোট পড়ার হার সর্বদাই শতভাগের কাছাকাছি। বিশ্লেষকরা বলছেন, এটাও এক ধরনের গণতন্ত্র। তবে কিম স্টাইলের।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

উত্তর কোরিয়ার ভোটে ছিল না কোনো বিরোধী প্রার্থী

আপডেট টাইম : ১১:০০:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ মার্চ ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আরেকটা জাতীয় নির্বাচন হয়ে গেল উত্তর কোরিয়ায়, বিজয়ী হয়েছেন কিম জং উন এবং তাঁর দলের লোকেরা। তবে বাইরের কেউ যদি দেশটিতে ভোট দিতে যেত তাহলে খুবই অবাক হত। কারণ ব্যালট পেপারে ভোট শুধু একজনকেই দেওয়া যায়-নেই কোনো বিরোধী প্রার্থী। নাগরিকদের অবশ্য ভোট দেওয়া বাধ্যতামূলক। ফলে নির্বাচনের ফলাফল যা হওয়ার তাই-শতভাগ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন কিম ও তাঁর প্রার্থীরা।

ভোটাভুটিতে বিরোধী কোনো প্রার্থী নেই। প্রতি ব্যালটে এক জনকেই ভোট দেওয়া যায়। ফলে বিজয়ী অনেকটা নির্ধারিতই। তিনি দেশটির সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন। ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির চেয়ারম্যান। ২০১১ সাল থেকে ডেমোক্রেটিক পিপল’স রিপাবলিক অব কোরিয়া তথা গণপ্রজাতন্ত্রী কোরিয়ার শাসনদণ্ড তারই হাতে।

প্রতি পাঁচ বছর অন্তর নিয়ম করে পার্লামেন্ট নির্বাচনের আয়োজন করা হয়। নির্বাচিত হয় ‘সুপ্রিম পিপল’স অ্যাসেম্বলি’ নামে আইনসভা। এটাকে প্রায়ই ‘রাবার স্ট্যাম্প আইনসভা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন বিশ্লেষকরা।

ভোটে জনগণ নিজেদের কোনো প্রতিনিধি বা নেতা নির্বাচন করেন না। কারণ ব্যালট পেপারে শুধু একজন প্রার্থীর নাম। ভোট পড়ার হার সর্বদাই শতভাগের কাছাকাছি। বিশ্লেষকরা বলছেন, এটাও এক ধরনের গণতন্ত্র। তবে কিম স্টাইলের।