ঢাকা ০৮:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

ধর্ষককে সমাজ থেকে বের করে দেওয়া প্রয়োজন : প্রধানমন্ত্রী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৭:৪৬:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ মার্চ ২০১৯
  • ৩০০ বার

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নারীদের বাদ রেখে সমাজকে কল্যাণমূলক করে গড়ে তোলা সম্ভব নয়। তাই নারীর প্রতি বৈষম্য দূর করতে নারী-পুরুষ সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। আজ  শনিবার সকালে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘একটা সমাজকে যদি গড়ে তুলতে হয়, তো সেই সমাজের অর্ধেক যেখানে নারী, তাদেরকে বাদ রেখে একটা সমাজ কখনো গড়ে উঠতে পারে না। কাজেই সে ক্ষেত্রে সকলকে এক হয়ে কাজ করা, এটাই সব থেকে বেশি প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।’

ধর্মের নামে নারীর স্বনির্ভরতা ও শিক্ষার বিরোধিতা সঠিক কাজ নয় উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘একজন মেয়ে যদি আর্থিকভাবে অর্থাৎ অর্থনৈতিক স্বাধীনতাটা অর্জন করতে পারে, তাহলে তার পরিবারে, সমাজে তার একটা স্থান হয়। অনেক সময় আমাদের ধর্মীয় অনেক নেতা নারীদের শিক্ষা বা নারীদের কর্মের বিরুদ্ধে কথা বলেন, তারা অন্তত এটুকু স্মরণ করবেন যে, বিবি খাদিজাই কিন্তু প্রথম ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন, তিনি একজন ব্যবসায়ী ছিলেন, তাঁর অধীনে নবী করিম (সা.) কিন্তু চাকরি করতেন।’

নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে নিজের কঠোর অবস্থান ঘোষণা করে হাসিনা বলেন, ‘আজকে আমরা যখন দেখি যে, প্রায়ই শিশু ধর্ষণ, নারী ধর্ষণ, আমি বলব যারা এই কাজে লিপ্ত তাদের নামধাম চেহারা ভালো ভাবে প্রচার করা। সমাজের প্রতি স্তরের মানুষ যেন তাঁকে ঘৃণার চোখে দেখে। এভাবে তাঁকে সমাজের বাহির করে দেওয়া প্রয়োজন। তা ছাড়া আইনগত ব্যবস্থা তো তাঁদের বিরুদ্ধে নেওয়া হবেই।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অন্ধকার যুগ থেকে নারীদের আলোর পথে এনেছিলেন বেগম রোকেয়া। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংবিধানে নারী অধিকার ও তাদের শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টিসহ নানা পদক্ষেপ নেন। আর ১৯৯৬ সালের পর এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকার যতবারই ক্ষমতায় এসেছে, উচ্চ পদে নারীদের যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি এবং বৈষম্য দূর করতে একের পর এক পদক্ষেপ নিয়েছে।

আজ বাংলাদেশে বিচার বিভাগ, প্রতিরক্ষা বাহিনী, প্রশাসনসহ সব ক্ষেত্রেই নারীরা সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে। বিমান চালনা, এভারেস্ট জয়, খেলাধুলা এমনকি দেশের বাইরে শান্তিরক্ষা মিশনেও সফলতার স্বাক্ষর রেখে এগিয়ে চলছে নারীরা। তাদের এগিয়ে চলার পথে কেউ যেন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে না পারে সে ব্যাপারে সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

নারীর সাফল্য প্রসঙ্গে নারী ক্রিকেট দলের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতীয় নারী ক্রিকেট দল তারা জায়গা করে নিয়েছে ২০২০ সালে অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ক্রিকেটে। দেখা যাচ্ছে ছেলেরা যা না পারে, মেয়েরা তার থেকে ভালোই পারে’ ,বলেন প্রধানমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে জয়িতা পুরস্কার বিজয়ীদের মাঝে সম্মাননা তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। পরে তিনি এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।

সূত্র- এনটিভি

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

কল্যানমুখী দেশ গড়তে সর্বশ্রেণির মানুষকে এগিয়ে আসার আহবান- এড.জুবায়ের

ধর্ষককে সমাজ থেকে বের করে দেওয়া প্রয়োজন : প্রধানমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ০৭:৪৬:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ মার্চ ২০১৯

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নারীদের বাদ রেখে সমাজকে কল্যাণমূলক করে গড়ে তোলা সম্ভব নয়। তাই নারীর প্রতি বৈষম্য দূর করতে নারী-পুরুষ সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। আজ  শনিবার সকালে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘একটা সমাজকে যদি গড়ে তুলতে হয়, তো সেই সমাজের অর্ধেক যেখানে নারী, তাদেরকে বাদ রেখে একটা সমাজ কখনো গড়ে উঠতে পারে না। কাজেই সে ক্ষেত্রে সকলকে এক হয়ে কাজ করা, এটাই সব থেকে বেশি প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।’

ধর্মের নামে নারীর স্বনির্ভরতা ও শিক্ষার বিরোধিতা সঠিক কাজ নয় উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘একজন মেয়ে যদি আর্থিকভাবে অর্থাৎ অর্থনৈতিক স্বাধীনতাটা অর্জন করতে পারে, তাহলে তার পরিবারে, সমাজে তার একটা স্থান হয়। অনেক সময় আমাদের ধর্মীয় অনেক নেতা নারীদের শিক্ষা বা নারীদের কর্মের বিরুদ্ধে কথা বলেন, তারা অন্তত এটুকু স্মরণ করবেন যে, বিবি খাদিজাই কিন্তু প্রথম ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন, তিনি একজন ব্যবসায়ী ছিলেন, তাঁর অধীনে নবী করিম (সা.) কিন্তু চাকরি করতেন।’

নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে নিজের কঠোর অবস্থান ঘোষণা করে হাসিনা বলেন, ‘আজকে আমরা যখন দেখি যে, প্রায়ই শিশু ধর্ষণ, নারী ধর্ষণ, আমি বলব যারা এই কাজে লিপ্ত তাদের নামধাম চেহারা ভালো ভাবে প্রচার করা। সমাজের প্রতি স্তরের মানুষ যেন তাঁকে ঘৃণার চোখে দেখে। এভাবে তাঁকে সমাজের বাহির করে দেওয়া প্রয়োজন। তা ছাড়া আইনগত ব্যবস্থা তো তাঁদের বিরুদ্ধে নেওয়া হবেই।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অন্ধকার যুগ থেকে নারীদের আলোর পথে এনেছিলেন বেগম রোকেয়া। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংবিধানে নারী অধিকার ও তাদের শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টিসহ নানা পদক্ষেপ নেন। আর ১৯৯৬ সালের পর এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকার যতবারই ক্ষমতায় এসেছে, উচ্চ পদে নারীদের যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি এবং বৈষম্য দূর করতে একের পর এক পদক্ষেপ নিয়েছে।

আজ বাংলাদেশে বিচার বিভাগ, প্রতিরক্ষা বাহিনী, প্রশাসনসহ সব ক্ষেত্রেই নারীরা সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে। বিমান চালনা, এভারেস্ট জয়, খেলাধুলা এমনকি দেশের বাইরে শান্তিরক্ষা মিশনেও সফলতার স্বাক্ষর রেখে এগিয়ে চলছে নারীরা। তাদের এগিয়ে চলার পথে কেউ যেন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে না পারে সে ব্যাপারে সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

নারীর সাফল্য প্রসঙ্গে নারী ক্রিকেট দলের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতীয় নারী ক্রিকেট দল তারা জায়গা করে নিয়েছে ২০২০ সালে অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ক্রিকেটে। দেখা যাচ্ছে ছেলেরা যা না পারে, মেয়েরা তার থেকে ভালোই পারে’ ,বলেন প্রধানমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে জয়িতা পুরস্কার বিজয়ীদের মাঝে সম্মাননা তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। পরে তিনি এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।

সূত্র- এনটিভি