ঢাকা ০২:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
সাদপন্থীদের নিষিদ্ধ ও বিচারের দাবিতে মদনে আবারও বিক্ষোভ মিছিল পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বর্ডারে দুর্নীতির কারণে ঠেকানো যাচ্ছে না ‘রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ আব্রাম না থাকলে তাকে আমার যোগ্য বলেও মনে করতাম না ওমরাহ শেষে গ্রামে ফিরে খেজুর-জমজমের পানি বিতরণ করল শিশু রিফাত বিদেশে প্রশিক্ষণে ঘুরে-ফিরে একই ব্যক্তি নয়, জুনিয়রদের অগ্রাধিকার কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়ে সড়ক ছাড়লেন চিকিৎসকরা রেমিট্যান্সে জোয়ার, ২১ দিনে এলো ২ বিলিয়ন ডলার গণমাধ্যমের পাঠক-দর্শক-শ্রোতার মতামত জরিপ জানুয়ারিতে বুয়েট শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩ আসামি রিমান্ডে বিয়ের আগে পরস্পরকে যে প্রশ্নগুলো করা জরুরি

ধনীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে ভয়ঙ্কর ‘খাদ্য-রোগ’

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৪৯:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ অক্টোবর ২০১৫
  • ৪৫৮ বার

টাকা বাড়লে নাকি টাক বাড়ে। অর্থের সাথে রোগের একটা সম্পর্কের কথা অনেকেই বলে থাকেন। এসবের কিছুটা বাস্তবতা, কিছুটা হয়তো কল্পনা। তবে বর্তমানে ভয়ঙ্কর গতিতে রোগটা ছড়িয়ে পড়ছে, সেটা আসলেই ভয়াবহ। এর একটা গালভরা নাম দেয়া হয়েছে : ‘অর্থোরেক্সিয়া নাভোসা’। সাধারণভাবে বলা যায়, খাদ্য-সম্পর্কিত রোগ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীরা উচ্চবিত্তের। তারা অর্গানিক খাবার কেনার সামর্থ্যবান। তারা একেবারে নির্ভেজাল এবং স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেতে অভ্যস্ত। তারা কাঁচা, সরাসরি হাতে পাওয়া খাবার খাবেন, প্রক্রিয়াকরণ করা খাবার ছুঁয়েও দেখবেন না। তাদের অনেকে জোর গলায় বলে থাকেন, উচ্চ তাপমাত্রায় রান্না করা হলে খাবারের উপকারী উপাদানগুলো নষ্ট হয়ে যায়। এই রোগে আক্রান্ত লোকের প্লাস্টিক বা অ্যালুমিনিয়ামের পাত্র ব্যবহার করেন না। মাইক্রোওয়েভ ব্যবহার পর্যন্ত এড়িয়ে চলেন।
গবেষণায় দেখা গেছে, সামাজিক পরিবেশেও এসব লোক নিজেদের আলাদা করে রাখেন, তাদের ভাবনাজুড়ে থাকে মাত্র একটাই বিষয় : পরের বেলায় তারা কী খাবেন। তারা কোনো সভায় গেলে সাধারণত খাবার সাথে করেই নিয়ে যান। কখনো যদি সেটা করতে না পারেন এবং ঘটনাস্থলে গিয়ে যদি কোনো কারণে ‘স্বাস্থ্যকর’ নয়, এমন খাবার খেতে হয়, তবে বিষণ্ন হয়ে পড়েন।
এ নিয়ে কী চিন্তার কিছু আছে। বিশেষজ্ঞরা কিন্তু বলেন আছে। এখনই ব্যবস্থা না নিলে মারাত্মক সমস্যা হতে পারে।
ডায়েটিশিয়ান আমরে উজুন বলেন, এ ধরনের লক্ষ্ণণ দেখামাত্র চিকিৎসা শুরু করা দরকার। আমাদের অনেকেই খাবারের ব্যাপারে নানা ধরনের কৌশল অবলম্বন করে থাকি। অনেকে হয়তো অশোধিত খাবার খেয়ে থাকেন, কেউ কেউ অর্গ্যানিক খাবারের দিকে মনোযোগী থাকেন। এগুলো সাধারণভাবে খারাপ কিছু নয়। কিন্তু এটা পাগলামির পর্যায়ে চল গেলেই বিপদ। কারণ এতে আক্রান্ত হলে প্রক্রিয়াকরণ করা স্বাস্থ্যকর খাবারও তারা খেতে চান না।
উজুন বলেন, এই রোগী শনাক্ত করা মাত্র ডায়েটিশিয়ানের উচিত হবে যথাযথ চিকিৎসা শুরু করা।
তার মতে, রোগীর কোনো মিনারেল বা ভিটামিনের ঘাটতি আছে কি না সেটাও নির্ধারণ করা উচিত।
তবে সবচেয়ে ভালো হয়, সামাজিক বা পারিবারিক পরিমণ্ডলে এসব লোককে বেশি বেশি সম্পৃক্ত করা হলে। যত বেশি তারা সামাজিক হবে, তারা তত তাড়াতাড়ি সুস্থ হবে।
তার মতে, এই রোগকে অবহেলা করা হলে তা মারাত্মক পর্যায়ে উপনীত হতে পারে। আর সেটা রোগীকে অস্বাস্থ্যকর পথের দিকে ঠেলে দিতে পারে।
এমনকি একপর্যায়ে তারা বেছে বেছে খাওয়ার নামে কম কম খেতে শুরু করতে পারেন। এতে তাদের ওজন কমে যেতে পারে। তারা হয়তো মনে করবে, তারা স্লিম হচ্ছে, আসলে তারা নানা রোগে অরক্ষিত হয়ে পড়ছেন।
ডা. উজুন বলেন, ‘অর্থোরেক্সিয়া নাভোসা’ রোগে আক্রান্ত রোগীরা কিন্তু চিকিৎসা নিতে চায় না। তারা বরং তাদের সাথী হওয়ার জন্য অন্যদের উদ্বুদ্ধ করে। এখানেই সবচেয়ে বড় বিপদ।
(সূত্র : ডেইলি সাবাহ)

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

সাদপন্থীদের নিষিদ্ধ ও বিচারের দাবিতে মদনে আবারও বিক্ষোভ মিছিল

ধনীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে ভয়ঙ্কর ‘খাদ্য-রোগ’

আপডেট টাইম : ১১:৪৯:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ অক্টোবর ২০১৫

টাকা বাড়লে নাকি টাক বাড়ে। অর্থের সাথে রোগের একটা সম্পর্কের কথা অনেকেই বলে থাকেন। এসবের কিছুটা বাস্তবতা, কিছুটা হয়তো কল্পনা। তবে বর্তমানে ভয়ঙ্কর গতিতে রোগটা ছড়িয়ে পড়ছে, সেটা আসলেই ভয়াবহ। এর একটা গালভরা নাম দেয়া হয়েছে : ‘অর্থোরেক্সিয়া নাভোসা’। সাধারণভাবে বলা যায়, খাদ্য-সম্পর্কিত রোগ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীরা উচ্চবিত্তের। তারা অর্গানিক খাবার কেনার সামর্থ্যবান। তারা একেবারে নির্ভেজাল এবং স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেতে অভ্যস্ত। তারা কাঁচা, সরাসরি হাতে পাওয়া খাবার খাবেন, প্রক্রিয়াকরণ করা খাবার ছুঁয়েও দেখবেন না। তাদের অনেকে জোর গলায় বলে থাকেন, উচ্চ তাপমাত্রায় রান্না করা হলে খাবারের উপকারী উপাদানগুলো নষ্ট হয়ে যায়। এই রোগে আক্রান্ত লোকের প্লাস্টিক বা অ্যালুমিনিয়ামের পাত্র ব্যবহার করেন না। মাইক্রোওয়েভ ব্যবহার পর্যন্ত এড়িয়ে চলেন।
গবেষণায় দেখা গেছে, সামাজিক পরিবেশেও এসব লোক নিজেদের আলাদা করে রাখেন, তাদের ভাবনাজুড়ে থাকে মাত্র একটাই বিষয় : পরের বেলায় তারা কী খাবেন। তারা কোনো সভায় গেলে সাধারণত খাবার সাথে করেই নিয়ে যান। কখনো যদি সেটা করতে না পারেন এবং ঘটনাস্থলে গিয়ে যদি কোনো কারণে ‘স্বাস্থ্যকর’ নয়, এমন খাবার খেতে হয়, তবে বিষণ্ন হয়ে পড়েন।
এ নিয়ে কী চিন্তার কিছু আছে। বিশেষজ্ঞরা কিন্তু বলেন আছে। এখনই ব্যবস্থা না নিলে মারাত্মক সমস্যা হতে পারে।
ডায়েটিশিয়ান আমরে উজুন বলেন, এ ধরনের লক্ষ্ণণ দেখামাত্র চিকিৎসা শুরু করা দরকার। আমাদের অনেকেই খাবারের ব্যাপারে নানা ধরনের কৌশল অবলম্বন করে থাকি। অনেকে হয়তো অশোধিত খাবার খেয়ে থাকেন, কেউ কেউ অর্গ্যানিক খাবারের দিকে মনোযোগী থাকেন। এগুলো সাধারণভাবে খারাপ কিছু নয়। কিন্তু এটা পাগলামির পর্যায়ে চল গেলেই বিপদ। কারণ এতে আক্রান্ত হলে প্রক্রিয়াকরণ করা স্বাস্থ্যকর খাবারও তারা খেতে চান না।
উজুন বলেন, এই রোগী শনাক্ত করা মাত্র ডায়েটিশিয়ানের উচিত হবে যথাযথ চিকিৎসা শুরু করা।
তার মতে, রোগীর কোনো মিনারেল বা ভিটামিনের ঘাটতি আছে কি না সেটাও নির্ধারণ করা উচিত।
তবে সবচেয়ে ভালো হয়, সামাজিক বা পারিবারিক পরিমণ্ডলে এসব লোককে বেশি বেশি সম্পৃক্ত করা হলে। যত বেশি তারা সামাজিক হবে, তারা তত তাড়াতাড়ি সুস্থ হবে।
তার মতে, এই রোগকে অবহেলা করা হলে তা মারাত্মক পর্যায়ে উপনীত হতে পারে। আর সেটা রোগীকে অস্বাস্থ্যকর পথের দিকে ঠেলে দিতে পারে।
এমনকি একপর্যায়ে তারা বেছে বেছে খাওয়ার নামে কম কম খেতে শুরু করতে পারেন। এতে তাদের ওজন কমে যেতে পারে। তারা হয়তো মনে করবে, তারা স্লিম হচ্ছে, আসলে তারা নানা রোগে অরক্ষিত হয়ে পড়ছেন।
ডা. উজুন বলেন, ‘অর্থোরেক্সিয়া নাভোসা’ রোগে আক্রান্ত রোগীরা কিন্তু চিকিৎসা নিতে চায় না। তারা বরং তাদের সাথী হওয়ার জন্য অন্যদের উদ্বুদ্ধ করে। এখানেই সবচেয়ে বড় বিপদ।
(সূত্র : ডেইলি সাবাহ)