হাওর বার্তা ডেস্কঃ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের দ্বিতীয় বৈঠক হবে ভিয়েতনামে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন ভাষণে সম্প্রতি তাদের দ্বিতীয় বৈঠকের স্থান সম্পর্কে ঘোষণা দিয়েছেন।
চলতি মাসের শেষের দিকেই এই দুই নেতার মধ্যে আবারও বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ২৭ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি ভিয়েতনামে কিমের সঙ্গে দেখা হবে বলে উল্লেখ করেছেন ট্রাম্প। এর আগে গত বছরের জুনে সিঙ্গাপুরে প্রথমবারের মতো বৈঠক করেন ট্রাম্প এবং কিম। তারপর থেকেই এই দুই নেতার মধ্যে পরবর্তী বৈঠক নিয়ে জল্পনা তৈরি হচ্ছিল। কবে কোথায় তাদের মধ্যে আবারও বৈঠক হবে তা নিয়ে বহুদিন ধরেই দু’পক্ষের মধ্যে আলোচনা হচ্ছিল।
জাতির উদ্দেশে দেয়া এবারের ভাষণের বিষয় ছিল মহত্ব নির্বাচন। ওই ভাষণে মেক্সিকো সীমান্তে প্রাচীর নির্মাণের বিষয়ে আবারও প্রতিশ্রুতি পূনর্ব্যক্ত করেছেন ট্রাম্প। পাশাপাশি রাজনৈতিক ঐক্যের ডাক দিয়েছেন তিনি। ঐকের আহ্বান জানাতে গিয়ে এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট বলেন, ডেমোক্রেটদের হাস্যকর পক্ষপাতমূলক পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের সমৃদ্ধিকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
তবে ডেমোক্রেটদের দাবি মার্কিন মূল্যবোধ পরিত্যাগ করেছেন ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সরকারি অচলাবস্থার সাময়িক অবসানের পরেই জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিলেন ট্রাম্প। মেক্সিকো সীমান্তে প্রাচীর নির্মাণের জন্য প্রস্তাবিত ৫৭০ কোটি মার্কিন ডলার অন্তর্ভুক্ত না করায় গত বছরের ডিসেম্বরে একটি বিলে অনুমোদন দিতে অস্বীকৃতি জানান ট্রাম্প। তারপরেই সরকারের অচলাবস্থা শুরু হয়।
তবে গত মাসের শেষের দিকে সরকারের ফেডারেল সংস্থাগুলোর জন্য তহবিল জোগানোর বিষয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর ঘোষণা দেন ট্রাম্প। ফলে টানা ৩৫ দিন ধরে চলা মার্কিন সরকারের অচলাবস্থা তিন সপ্তাহের জন্য নিরসন হয়। মঙ্গলবার রাতে এক বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন, আমাদের বন্দীরা বাড়ি ফিরে এসেছেন, পারমাণবিক পরীক্ষা বন্ধ হয়ে গেছে, গত ১৫ মাসে একটিও ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ হয়নি।
তিনি আরও বলেন, যদি আমি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত না হতাম তবে আমার ধারণা উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে এই মুহূর্তে আমাদের বড় ধরনের যুদ্ধ লেগে যেত। অনেক কাজ এখনও বাকি আছে তবে কিমের সঙ্গে বন্ধুত্বকে একটি অন্যতম ঘটনা বলে উল্লেখ করেছেন ট্রাম্প।