ঢাকা ০১:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ময়মনসিংহ বিভাগীয় সদর দফতর নির্মাণে ৩ স্থান নির্ধারণ সম্ভাব্য

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:৩৭:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ অক্টোবর ২০১৫
  • ২৮৭ বার

নবগঠিত ময়মনসিংহ বিভাগের সদর দফতর স্থাপনে সম্ভাব্য তিনটি স্থান বিবেচনায় রাখছে জেলা প্রশাসন। আপাতত অস্থায়ী সদর দফতরের জন্য জেলা পরিষদের একটি ভবনকে বেছে নেওয়া হয়েছে।

সেখানে বসবেন প্রথম বিভাগীয় কমিশনার ও পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি)। শিগগিরই এসব পদে পদায়ন করা হবে ও বিভাগীয় কর্তৃপক্ষ কাজ শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মোস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী।

শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।

গত ১৪ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদ ও নিকারের সভায় ময়মনসিংহ, নেত্রকোণা, জামালপুর ও শেরপুরকে নিয়ে ময়মনসিংহ বিভাগ গঠনের সিদ্ধান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।

দেশের অষ্টম এ বিভাগের গেজেট প্রকাশিত হয় গত বুধবার (১৪ অক্টোবর)। সেদিন রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাঠ প্রশাসন শাখা-৩ এর প্রজ্ঞাপনে সিনিয়র সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী এ গেজেটে সই করেন। এর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক পথচলা শুরু হয় ময়মনসিংহ বিভাগের।

নতুন এ বিভাগের আয়তন হবে ১৩ হাজার ৬৩১ দশমিক ১২ বর্গকিলোমিটার। এ বিভাগের ৪টি জেলার মধ্যে রয়েছে মোট ২৪টি আসন, ৩৫টি উপজেলা, ৩৭টি থানা, ২৬টি পৌরসভা, ৩৫২টি ইউনিয়ন এবং ৭ হাজার ৩০টি গ্রাম। মোট জনসংখ্যা ১ কোটি ১৪ লাখ ৭০ হাজার ৪৭ জন।

বিভাগীয় সদর দফতরের জন্য সম্ভাব্য জায়গা পরিদর্শনের জন্য উচ্চ পর্যায়ের একটি টিম শিগগির ময়মনসিংহে আসবে জানিয়ে জেলা প্রশাসক মোস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী জানান, ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় ও পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শকের (ডিআইজি) কার্যালয়ের জন্য শহরের পুলিশ লাইনে সরকারি জায়গা রয়েছে। এছাড়া বাইপাস এলাকা ও নদের ওপারে শম্ভুগঞ্জে এ দু’টি অফিস নির্মাণে স্থান নির্ধারণের সম্ভাব্যতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আপাতত ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের ৩ নম্বর ভবনে (বর্তমানে দুদক অফিস) অস্থায়ীভাবে বিভাগীয় সদর দফতরের কাজ চালানো হবে। এখানে বসবেন বিভাগীয় কমিশনার ও পুলিশের ময়মনসিংহ রেঞ্জের উপ-পরিদর্শক (ডিআইজি)। কেবিনেট থেকেই এখানে এ অফিসের জন্য প্রস্তাবনা এসেছিল। একটি টিম এসে এটি পরিদর্শনও করে গেছে।

এ অফিসের জন্য ভবনটি সংস্কার করতে হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, খুব বেশি সংস্কারের দরকার হবে না। তবে এটিকে ব্যবহার উপযোগী করা হবে। এরপরও কোনো সংস্কার দরকার হলে সেটি জেলা পরিষদই করবে।

অস্থায়ী ভিত্তিতে বিভাগীয় কমিশনার ও ডিআইজি অফিসের স্থান নির্ধারণ হলেও বিভাগের পদস্থ কর্মকর্তাদের বাসভবনের বিষয়টি এখনো সুরাহা করতে পারেনি জেলা প্রশাসন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জরুরি ভিত্তিতে নতুন একটি ভবন নির্মাণ করার জন্য পিডব্লিউডি’র মাধ্যমে একটি প্রস্তাবনা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

বর্তমানে ময়মনসিংহ পৌরসভার আয়তন ২৩ কিলোমিটার। কিন্তু ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের ব্যাপ্তি হবে কমপক্ষে ৫০ বর্গকিলোমিটার। জেলা প্রশাসন থেকে শিগগির এ ধরণের একটি প্রস্তাব পাঠানো হবে বলেও তিনি জানান।

সূত্র জানায়, সপ্তাহখানেকের মধ্যেই ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার ও ডিআইজি পদে পদায়ন করা হবে। এ সম্পর্কে ফারুকী বলেন, গেজেট হয়ে গেছে। খুব শিগগির সরকার এ পদে পদায়ন করবে বলে আশা রাখি।

ময়মনসিংহ বিভাগের আনুষ্ঠানিক পথচলায় আনন্দিত এ জেলা প্রশাসক। তিনি বলেন, প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণ অবশ্যই ভালো। এ সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

ময়মনসিংহ বিভাগীয় সদর দফতর নির্মাণে ৩ স্থান নির্ধারণ সম্ভাব্য

আপডেট টাইম : ০৫:৩৭:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ অক্টোবর ২০১৫

নবগঠিত ময়মনসিংহ বিভাগের সদর দফতর স্থাপনে সম্ভাব্য তিনটি স্থান বিবেচনায় রাখছে জেলা প্রশাসন। আপাতত অস্থায়ী সদর দফতরের জন্য জেলা পরিষদের একটি ভবনকে বেছে নেওয়া হয়েছে।

সেখানে বসবেন প্রথম বিভাগীয় কমিশনার ও পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি)। শিগগিরই এসব পদে পদায়ন করা হবে ও বিভাগীয় কর্তৃপক্ষ কাজ শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মোস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী।

শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।

গত ১৪ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদ ও নিকারের সভায় ময়মনসিংহ, নেত্রকোণা, জামালপুর ও শেরপুরকে নিয়ে ময়মনসিংহ বিভাগ গঠনের সিদ্ধান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।

দেশের অষ্টম এ বিভাগের গেজেট প্রকাশিত হয় গত বুধবার (১৪ অক্টোবর)। সেদিন রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাঠ প্রশাসন শাখা-৩ এর প্রজ্ঞাপনে সিনিয়র সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী এ গেজেটে সই করেন। এর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক পথচলা শুরু হয় ময়মনসিংহ বিভাগের।

নতুন এ বিভাগের আয়তন হবে ১৩ হাজার ৬৩১ দশমিক ১২ বর্গকিলোমিটার। এ বিভাগের ৪টি জেলার মধ্যে রয়েছে মোট ২৪টি আসন, ৩৫টি উপজেলা, ৩৭টি থানা, ২৬টি পৌরসভা, ৩৫২টি ইউনিয়ন এবং ৭ হাজার ৩০টি গ্রাম। মোট জনসংখ্যা ১ কোটি ১৪ লাখ ৭০ হাজার ৪৭ জন।

বিভাগীয় সদর দফতরের জন্য সম্ভাব্য জায়গা পরিদর্শনের জন্য উচ্চ পর্যায়ের একটি টিম শিগগির ময়মনসিংহে আসবে জানিয়ে জেলা প্রশাসক মোস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী জানান, ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় ও পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শকের (ডিআইজি) কার্যালয়ের জন্য শহরের পুলিশ লাইনে সরকারি জায়গা রয়েছে। এছাড়া বাইপাস এলাকা ও নদের ওপারে শম্ভুগঞ্জে এ দু’টি অফিস নির্মাণে স্থান নির্ধারণের সম্ভাব্যতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আপাতত ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের ৩ নম্বর ভবনে (বর্তমানে দুদক অফিস) অস্থায়ীভাবে বিভাগীয় সদর দফতরের কাজ চালানো হবে। এখানে বসবেন বিভাগীয় কমিশনার ও পুলিশের ময়মনসিংহ রেঞ্জের উপ-পরিদর্শক (ডিআইজি)। কেবিনেট থেকেই এখানে এ অফিসের জন্য প্রস্তাবনা এসেছিল। একটি টিম এসে এটি পরিদর্শনও করে গেছে।

এ অফিসের জন্য ভবনটি সংস্কার করতে হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, খুব বেশি সংস্কারের দরকার হবে না। তবে এটিকে ব্যবহার উপযোগী করা হবে। এরপরও কোনো সংস্কার দরকার হলে সেটি জেলা পরিষদই করবে।

অস্থায়ী ভিত্তিতে বিভাগীয় কমিশনার ও ডিআইজি অফিসের স্থান নির্ধারণ হলেও বিভাগের পদস্থ কর্মকর্তাদের বাসভবনের বিষয়টি এখনো সুরাহা করতে পারেনি জেলা প্রশাসন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জরুরি ভিত্তিতে নতুন একটি ভবন নির্মাণ করার জন্য পিডব্লিউডি’র মাধ্যমে একটি প্রস্তাবনা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

বর্তমানে ময়মনসিংহ পৌরসভার আয়তন ২৩ কিলোমিটার। কিন্তু ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের ব্যাপ্তি হবে কমপক্ষে ৫০ বর্গকিলোমিটার। জেলা প্রশাসন থেকে শিগগির এ ধরণের একটি প্রস্তাব পাঠানো হবে বলেও তিনি জানান।

সূত্র জানায়, সপ্তাহখানেকের মধ্যেই ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার ও ডিআইজি পদে পদায়ন করা হবে। এ সম্পর্কে ফারুকী বলেন, গেজেট হয়ে গেছে। খুব শিগগির সরকার এ পদে পদায়ন করবে বলে আশা রাখি।

ময়মনসিংহ বিভাগের আনুষ্ঠানিক পথচলায় আনন্দিত এ জেলা প্রশাসক। তিনি বলেন, প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণ অবশ্যই ভালো। এ সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই।