ঢাকা ০৬:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারত থেকে বাধ্য হয়ে ১৩০০ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:৫২:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০১৯
  • ২৫২ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ভারত থেকে বাধ্য হয়ে আসা ১ হাজার ৩০০ রোহিঙ্গা কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার বালুখালী ট্রানজিট পয়েন্টে আশ্রয় নিয়েছে। জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনের (ইউএনএইচসিআর) তত্ত্বাবধানে থাকা এসব রোহিঙ্গাকে এখনই ক্যাম্পে পাঠানো হবে না।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জানুয়ারি মাসের শুরুতে এসব রোহিঙ্গা ভারত থেকে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত তা অব্যাহত রয়েছে। ইন্টার সেক্টর কোর্ডিনেশন গ্রুপের মুখপাত্র সৈকত বিশ্বাস জানান, বছরের শুরুতে ভারত থেকে পালিয়ে আসা ১ হাজার ৩০০ রোহিঙ্গাকে ইউএনএইচসিআরের তত্ত্বাবধানে ট্রানজিট পয়েন্টে রাখা হয়েছে। আরো কিছু পালিয়ে এসে ট্রানজিট পয়েন্টে আশ্রয় না নিয়ে টেকনাফের উনছিপ্রাং, জাদিমুরাসহ বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের চিহ্নিত না করা পর্যন্ত এখনো কতজন বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।

শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. আবুল কালাম জানান, ভারত থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের এখনো ক্যাম্পে আশ্রয় দেওয়া হয়নি। ট্রানজিট পয়েন্ট ছাড়াও বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে থাকা রোহিঙ্গাদের চিহ্নিত করে ভারত থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গার সংখ্যা নিশ্চিত করা হবে।

এদিকে ভারতে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে পাঠানো হচ্ছে। মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার আতঙ্কেই রোহিঙ্গারা ভারত থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আসছে। গত কয়েক মাসে বহু রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে জোর করে ফেরত পাঠিয়েছে ভারত। এ নিয়ে কঠোর সমালোচনার মুখে রয়েছে দিল্লি। মিয়ানমারে সংখ্যালঘু এই জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা ঝুঁকিপূর্ণ।

এদিকে জাতিসংঘ এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠিয়ে আন্তর্জাতিক আইন উপেক্ষা করছে ভারত।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

ভারত থেকে বাধ্য হয়ে ১৩০০ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে

আপডেট টাইম : ১২:৫২:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ভারত থেকে বাধ্য হয়ে আসা ১ হাজার ৩০০ রোহিঙ্গা কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার বালুখালী ট্রানজিট পয়েন্টে আশ্রয় নিয়েছে। জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনের (ইউএনএইচসিআর) তত্ত্বাবধানে থাকা এসব রোহিঙ্গাকে এখনই ক্যাম্পে পাঠানো হবে না।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জানুয়ারি মাসের শুরুতে এসব রোহিঙ্গা ভারত থেকে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত তা অব্যাহত রয়েছে। ইন্টার সেক্টর কোর্ডিনেশন গ্রুপের মুখপাত্র সৈকত বিশ্বাস জানান, বছরের শুরুতে ভারত থেকে পালিয়ে আসা ১ হাজার ৩০০ রোহিঙ্গাকে ইউএনএইচসিআরের তত্ত্বাবধানে ট্রানজিট পয়েন্টে রাখা হয়েছে। আরো কিছু পালিয়ে এসে ট্রানজিট পয়েন্টে আশ্রয় না নিয়ে টেকনাফের উনছিপ্রাং, জাদিমুরাসহ বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের চিহ্নিত না করা পর্যন্ত এখনো কতজন বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।

শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. আবুল কালাম জানান, ভারত থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের এখনো ক্যাম্পে আশ্রয় দেওয়া হয়নি। ট্রানজিট পয়েন্ট ছাড়াও বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে থাকা রোহিঙ্গাদের চিহ্নিত করে ভারত থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গার সংখ্যা নিশ্চিত করা হবে।

এদিকে ভারতে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে পাঠানো হচ্ছে। মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার আতঙ্কেই রোহিঙ্গারা ভারত থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আসছে। গত কয়েক মাসে বহু রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে জোর করে ফেরত পাঠিয়েছে ভারত। এ নিয়ে কঠোর সমালোচনার মুখে রয়েছে দিল্লি। মিয়ানমারে সংখ্যালঘু এই জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা ঝুঁকিপূর্ণ।

এদিকে জাতিসংঘ এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠিয়ে আন্তর্জাতিক আইন উপেক্ষা করছে ভারত।