ঢাকা ১১:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ইভিএম ক্রয় নতুন করে ৪০০ কোটি টাকা চায় : ইসি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৩:২৮:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮
  • ৩৪১ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনার জন্য আরও চারশ কোটি টাকা চেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর মধ্যে ৩৯০ কোটি টাকা মূলধন খাতে এবং ১০ কোটি টাকা রাজস্ব খাতে মিলিয়ে এ বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের অনুমোদনের পর এ অর্থ ছাড় করা হবে। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহে এ অর্থ ছাড় হতে পারে।

নির্বাচন কমিশন থেকে বলা হয়েছে, আসন্ন নির্বাচনে ছয়টি আসনের জন্য ইভিএম আমদানি করতে ট্রাস্ট ব্যাংকে ঋণপত্র খোলা হবে। এ অর্থ সেখানেই ব্যবহার করা হবে। এ ছাড়া পরবর্তী জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে আরও ১০০ আসনের জন্য ইভিএম কিনতেও এ অর্থ ব্যয় করা হবে। জানা গেছে, ইভিএম কিনতে সম্প্রতি পরিকল্পনা কমিশন বিশেষ সহায়তা তহবিল থেকে ইসিকে ১১০ কোটি টাকা দিয়েছে। এর মধ্যে ১০৫ কোটি টাকা যন্ত্রপাতি কিনতে ব্যয় হবে। ইসির চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের বাস্তবায়নাধীন ইভিএম প্রকল্পটি গত ১৮ সেপ্টেম্বর একনেকে অনুমোদিত হয়।

প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ৩ হাজার ৮২৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। প্রকল্পটি সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে বাস্তবায়িত হবে।পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানিয়েছে, ইভিএম প্রকল্পটির অনুকূলে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়। এরই মধ্যে এই প্রকল্পের জন্য উন্নয়ন সহায়তা খাত থেকে সরকারি তহবিলের ১১০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। পরে ওই প্রকল্পের অনুকূলে চলতি এডিপিতে বরাদ্দের অতিরিক্ত হিসেবে আরও ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। এই অর্থ বিশেষ প্রয়োজনের উন্নয়ন সহায়তা খাতে রক্ষিত অর্থ থেকে সংকুলান সম্ভব নয়। এর পর চলতি অর্থবছরে এডিপির বিশেষ প্রয়োজনে উন্নয়ন সহায়তা খাতে সরকারি অংশে রক্ষিত অর্থের অতিরিক্ত হিসেবে ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দের ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছে পরিকল্পনা কমিশন।

আগামী নির্বাচনে ছয়টি আসনে ইভিএম ব্যবহার করে ভোটগ্রহণ করা হবে। আসনগুলো হলো ঢাকা-৬, ঢাকা-১৩, চট্টগ্রাম-৯, রংপুর-৩, খুলনা-২ ও সাতক্ষীরা-২। এর আগে গত ২০ নভেম্বর পরিকল্পনা কমিশনের আর্থসামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্যের কাছে একটি চিঠি পাঠায় নির্বাচন কমিশন। চিঠিতে ১ হাজার ৯৯৮ কোটি ৯ লাখ ৩০ হাজার টাকাই বরাদ্দ দিতে বিকল্প প্রস্তাব দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, বিভিন্ন পর্যায়ে নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করতে ইভিএম সংগ্রহ এবং আনুষঙ্গিক ব্যয়নির্বাহের জন্য বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিভুক্ত (এডিপি) ‘কম বাস্তবায়ন অগ্রগতিসম্পন্ন’ প্রকল্প থেকে পুনরুপযোজনের মাধ্যমে এ প্রকল্পের অনুকূলে চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে পর্যায়ক্রমে এই টাকা বরাদ্দ প্রয়োজন।

কিন্তু এটিও সম্ভব না হওয়ায় সম্প্রতি প্রকল্পটির বাস্তবায়ন শুরুর জন্য হলেও ১৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়ে অনুরোধ করে ইসি। এর পরিপ্রেক্ষিতে এডিপির আওতায় পরিকল্পনামন্ত্রীর জন্য বরাদ্দ রাখা থোক থেকে পরিকল্পনা কমিশন গত ২৬ নভেম্বর ১১০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। সম্প্রতি আবার ৪০০ কোটি টাকা চেয়ে অনুরোধ করে নির্বাচন কমিশন।অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

সূত্রঃ আমাদের সময়

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ইভিএম ক্রয় নতুন করে ৪০০ কোটি টাকা চায় : ইসি

আপডেট টাইম : ০৩:২৮:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনার জন্য আরও চারশ কোটি টাকা চেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর মধ্যে ৩৯০ কোটি টাকা মূলধন খাতে এবং ১০ কোটি টাকা রাজস্ব খাতে মিলিয়ে এ বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের অনুমোদনের পর এ অর্থ ছাড় করা হবে। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহে এ অর্থ ছাড় হতে পারে।

নির্বাচন কমিশন থেকে বলা হয়েছে, আসন্ন নির্বাচনে ছয়টি আসনের জন্য ইভিএম আমদানি করতে ট্রাস্ট ব্যাংকে ঋণপত্র খোলা হবে। এ অর্থ সেখানেই ব্যবহার করা হবে। এ ছাড়া পরবর্তী জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে আরও ১০০ আসনের জন্য ইভিএম কিনতেও এ অর্থ ব্যয় করা হবে। জানা গেছে, ইভিএম কিনতে সম্প্রতি পরিকল্পনা কমিশন বিশেষ সহায়তা তহবিল থেকে ইসিকে ১১০ কোটি টাকা দিয়েছে। এর মধ্যে ১০৫ কোটি টাকা যন্ত্রপাতি কিনতে ব্যয় হবে। ইসির চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের বাস্তবায়নাধীন ইভিএম প্রকল্পটি গত ১৮ সেপ্টেম্বর একনেকে অনুমোদিত হয়।

প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ৩ হাজার ৮২৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। প্রকল্পটি সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে বাস্তবায়িত হবে।পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানিয়েছে, ইভিএম প্রকল্পটির অনুকূলে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়। এরই মধ্যে এই প্রকল্পের জন্য উন্নয়ন সহায়তা খাত থেকে সরকারি তহবিলের ১১০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। পরে ওই প্রকল্পের অনুকূলে চলতি এডিপিতে বরাদ্দের অতিরিক্ত হিসেবে আরও ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। এই অর্থ বিশেষ প্রয়োজনের উন্নয়ন সহায়তা খাতে রক্ষিত অর্থ থেকে সংকুলান সম্ভব নয়। এর পর চলতি অর্থবছরে এডিপির বিশেষ প্রয়োজনে উন্নয়ন সহায়তা খাতে সরকারি অংশে রক্ষিত অর্থের অতিরিক্ত হিসেবে ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দের ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছে পরিকল্পনা কমিশন।

আগামী নির্বাচনে ছয়টি আসনে ইভিএম ব্যবহার করে ভোটগ্রহণ করা হবে। আসনগুলো হলো ঢাকা-৬, ঢাকা-১৩, চট্টগ্রাম-৯, রংপুর-৩, খুলনা-২ ও সাতক্ষীরা-২। এর আগে গত ২০ নভেম্বর পরিকল্পনা কমিশনের আর্থসামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্যের কাছে একটি চিঠি পাঠায় নির্বাচন কমিশন। চিঠিতে ১ হাজার ৯৯৮ কোটি ৯ লাখ ৩০ হাজার টাকাই বরাদ্দ দিতে বিকল্প প্রস্তাব দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, বিভিন্ন পর্যায়ে নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করতে ইভিএম সংগ্রহ এবং আনুষঙ্গিক ব্যয়নির্বাহের জন্য বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিভুক্ত (এডিপি) ‘কম বাস্তবায়ন অগ্রগতিসম্পন্ন’ প্রকল্প থেকে পুনরুপযোজনের মাধ্যমে এ প্রকল্পের অনুকূলে চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে পর্যায়ক্রমে এই টাকা বরাদ্দ প্রয়োজন।

কিন্তু এটিও সম্ভব না হওয়ায় সম্প্রতি প্রকল্পটির বাস্তবায়ন শুরুর জন্য হলেও ১৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়ে অনুরোধ করে ইসি। এর পরিপ্রেক্ষিতে এডিপির আওতায় পরিকল্পনামন্ত্রীর জন্য বরাদ্দ রাখা থোক থেকে পরিকল্পনা কমিশন গত ২৬ নভেম্বর ১১০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। সম্প্রতি আবার ৪০০ কোটি টাকা চেয়ে অনুরোধ করে নির্বাচন কমিশন।অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

সূত্রঃ আমাদের সময়