হাওর বার্তা ডেস্কঃ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দেশজুড়ে প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে পুলিশ সদর দপ্তর। পাশাপাশি পুলিশের প্রায় আড়াই হাজার ভ্রাম্যমাণ দল নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করবে।
এবারের জাতীয় নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্তিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), আনসার ও গ্রাম পুলিশ মাঠে থাকবে।
জানা গেছে, সম্প্রতি পুলিশ সদর দপ্তরে পুলিশ মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) সভাপতিত্বে পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের একটি বৈঠক হয়। বৈঠকে পুলিশ সদস্য মোতায়েন, মোবাইল টিম, স্ট্রাইকিং ফোর্স প্রস্তুত নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনায় ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রগুলোকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করে বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ৪০ হাজার ২২৬টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। সমতল ভূমির ভোটকেন্দ্র ও পার্বত্য অঞ্চলের ভোটকেন্দ্র হিসেবে এগুলোকে দুই ভাগে ভাগ করেছে পুলিশ। কারণ, দুই ধরনের জায়গায় আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আলাদা চ্যালেঞ্জ রয়েছে বলে পুলিশ মনে করে। পাশাপাশি জেলা হিসেবে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রও নির্বাচন করা হয়েছে। এগুলোতে পুলিশের বিশেষ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র জানিয়েছে, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে সদর দপ্তরের নেওয়া পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়নে মাঠপর্যায়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, সমসাময়িক সবগুলো বিষয় নিয়ে পুলিশ সদর দপ্তরে নিয়মিত বৈঠক হচ্ছে। এছাড়া, নির্বাচনী নিরাপত্তায় র্যাব ও অন্য সংস্থাগুলোর সঙ্গেও সমন্বয় করছে পুলিশ। তাছাড়া সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিয়ে আরেকটি বিশেষ নিরাপত্তা টিম গঠনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
জানা গেছে, পুলিশের কারণে নির্বাচন যেন প্রশ্নবিদ্ধ না হয়, সেজন্য সতর্ক থাকতে বলছে। তাছাড়া সন্ত্রাস ও ভয়ভীতিহীন নির্বাচনী পরিবেশ তৈরিতে পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।১
নির্বাচনকালে পুলিশের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক সোহেল রানা বলেন, ‘পুলিশ সব সময় নির্বাচনকেন্দ্রিক আইনশৃঙ্খলার পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে কাজ করে যাচ্ছে। সে অনুযায়ী মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া নির্বাচনে সারা দেশের ভোটকেন্দ্র ও ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্র বিবেচনায় পুলিশ সদস্য মোতায়নের বিষয়টিও চূড়ান্ত হয়েছে।