হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিচারিক আদালতের দেয়া সাজা কিংবা দণ্ড স্থগিত হলে সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন- হাইকোর্টের এ আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। ফলে দুর্নীতির দায়ে অন্যূন দুই বছর সাজা হলে নির্বাচনের সুযোগ থাকছে না দণ্ডিত ব্যক্তির। আজ প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে সাত সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে গতকাল শনিবার বিশেষ ব্যবস্থায় চেম্বার আদালতের বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে বিষয়টি শুনানির জন্য পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন।
আজ আপিল বিভাগের উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। অপরপক্ষে শুনানি করেন এ জে মোহাম্মদ আলী, তাকে সহযোগিতা করেন এ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম।
গতকাল আদেশের পরে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছিলেন, এ আদেশের ফলে সাবিরা সুলতানার নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুযোগ নেই। যদি না আগামীকাল আপিল বিভাগ অন্য কোনো আদেশ না দেন।
গত ২৯শে নভেম্বর জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে ঝিকরগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান সাবিরা সুলতানাকে বিচারিক আদালতের দেয়া সাজা ও দণ্ড স্থগিত করে বিচারপতি মোহাম্মদ রইস উদ্দিনের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ আদেশ দেন।
পরে সাবিরা সুলতানার আইনজীবী আমিনুল ইসলাম জানান, বিচারিক আদালতের দেয়া সাবিরা সুলতানার সাজা ও দণ্ড স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। এর ফলে এই আদেশের পর থেকে যারা নির্বাচনে অংশ নিতে চান তারা হাইকোর্টে সাজা বা দণ্ড স্থগিত চেয়ে আবেদন করে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন।
তবে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম জানিয়েছিলেন, সংবিধান অনুসারে ২ বছরের অধিক সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির নির্বাচনে অংশ নিতে অযোগ্য হবেন। তাই হাইকোর্টের এই একক বেঞ্চের আদেশের বিরুদ্ধে আমরা আপিলে যাব।