হাওর বার্তা ডেস্কঃ পাকিস্তানে অবস্থিত চীনা কনস্যুলেটে হামলা প্রতিহত করতে পুলিশি অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এএসপি সুহাই আজিজ তালপুর। তিনি একজন নারী হয়েও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সম্মুখ লড়াইয়ে অংশ নেন। এ জন্য বার্তা সংস্থা রয়টার্স, সিএনএনসহ বিশ্বের বড় বড় মিডিয়াতে সাহসিকতা এবং নারী শক্তি প্রদর্শনের জন্য প্রশংসিত হয়েছেন সুহাই। চীনের মিডিয়াতেও তার প্রশংসার বন্যা বয়ে চলেছে। কিন্তু নিজ দেশেই বিদ্রুপের শিকার হচ্ছেন এই নারী অফিসার। চীনা কনস্যুলেট সন্ত্রাসমুক্ত করতে সুহাইয়ের অবদান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কয়েকটি স্থানীয় মিডিয়া। একই কাজ করা হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও।
স্থানীয় একজন কার্টুনিস্ট সুহাইকে নিয়ে একটি বিদ্রুপাত্মক কার্টুন এঁকেছেন। যেখানে সুহাই একটি মেডেল প্রদর্শন করছেন এবং মিডিয়ার মনোযোগ উপভোগ করছেন। তিনি দাঁড়িয়ে আছেন ওই অভিযানে নিহত দুই পুলিশ সদস্যের রক্তমাখা মরদেহের উপর। এই কার্টুনটির মাধ্যমে ওই অভিযানে তার অবদানকে চরম অসম্মান করে বোঝানো হয়েছে, সুহাই শুধু লাইমলাইটে থাকার চেষ্টা করেছেন। তার মুখে সন্তুষ্টির হাসি এমনভাবে প্রদর্শিত হয়েছে, যেন তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে দুই পুলিশ সদস্যকে হত্যা করেছেন।
অপরপক্ষে, সুহাই সব সাক্ষাৎকারেই নিহত ওই দুই পুলিশ সদস্যকে স্মরণ করেছেন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি তার পুরো দলের প্রচেষ্টার কথা বর্ণনা করেছেন। তিনি বার বার বলেছেন, আসল কৃতিত্বের দাবিদার সহকারী উপ-পরিদর্শক আশরাফ দাউদ এবং কনস্টেবল আমির খান, যারা ওই সন্ত্রাসীদের ব্যস্ত রেখেছিলেন।
সুহাইকে নিয়ে শুরু হওয়া এই বিদ্রুপের ফলে অনেকে এখন প্রশ্ন তুলছেন ওই অভিযানের সময় সুহাই কি আসলেই উপস্থিত ছিলেন? এমনকি একটি রিপোর্টে সন্দেহ প্রকাশ করে বলা হয়েছে যে, তার হাতের পিস্তলটি নেহাতই ভন্ডামি নয়তো! অপরদিকে, একজন নারী পুলিশ সদস্যের এই সাহসিকতার পরিপ্রেক্ষিতে এরূপ বিদ্রুপ পিতৃতান্ত্রিক সমাজের বদ্ধমূল ধারণা ও গোঁড়া চিন্তাভাবনার প্রতিচ্ছবি তুলে ধরেছে।