ঢাকা ০৬:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাবা-মাকে হত্যা করিনি: ঐশী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৩২:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ অক্টোবর ২০১৫
  • ২৬৬ বার

সস্ত্রীক পুলিশ কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান ও স্বপ্না রহমান হত্যা মামলায় মা-বাবাকে হত্যার কথা অস্বীকার করেছেন তাদের মেয়ে মামলাটির প্রধান আসামি ঐশী রহমান।

আজ মঙ্গলবার ঢাকার ৩ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাঈদ আহমেদ মামলাটির আত্মপক্ষ শুনানিতে তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য প্রমাণে আসা অভিযোগ পড়ে শোনানোর পর তাকে দোষী না নির্দোষ জিজ্ঞেস করলে তিনি লিখিতভাবে নির্দোষ দাবি করেন।

লিখিত বক্তব্যে ঐশী বলেন, রিমান্ডে নিয়ে পুলিশ লাঠি দিয়ে তাকে পেটায় এবং তাদের শেখানোর কথা আদালতে বলতে বলে। সে অনুযায়ী আদালতে তিনি জবানবন্দি দিয়েছেন। হত্যার ঘটনার আগেই তিনি বাসা থেকে চলেন যান। তার বাবা-মাকে তিনি হত্যা করেননি, তবে কে হত্যা করেছে তা তিনি বলতে পারেন না। তার জন্ম তারিখ ১৯৯৬ সালের ১৭ আগস্ট। সে অনুযায়ী তিনি নাবালক।

আদালত তার লিখিত বক্তব্য নথিভুক্ত করে আগামী ২০ অক্টোবর মামলাটির যুক্তিতর্ক শুনানির দিন ধার্য করেন। এর আগে মামলাটিতে মোট ৪৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।

শুনানিকালে আসামি ঐশী রহমান, ঐশীর বন্ধু আসাদুজ্জামান জনি ও আসাদুজ্জামান জনি আদালতে হাজির ছিলেন।

মামলাটির অপর আসামি গৃহকর্মী খাদিজা আক্তার সুমি। নাবালক হওয়ায় অন্য আদালতে তার বিচার চলছে। মামমলাটিতে খাদিজা আক্তার সুমি ও রনি জামিন হয়েছে।

মামলাটিতে ২০১৪ সালের ৯ মার্চ ডিবির ইন্সপেক্টর মো. আবুয়াল খায়ের মাতুব্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট রাজধানীর মালিবাগের চামেলীবাগে নিজেদের বাসা থেকে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (পলিটিক্যাল শাখা) ইন্সপেক্টর মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এর পর দিন তাদের মেয়ে ঐশী রহমান রমনা থানায় নিজে আত্মসমর্পণ করেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

বাবা-মাকে হত্যা করিনি: ঐশী

আপডেট টাইম : ১০:৩২:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ অক্টোবর ২০১৫

সস্ত্রীক পুলিশ কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান ও স্বপ্না রহমান হত্যা মামলায় মা-বাবাকে হত্যার কথা অস্বীকার করেছেন তাদের মেয়ে মামলাটির প্রধান আসামি ঐশী রহমান।

আজ মঙ্গলবার ঢাকার ৩ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাঈদ আহমেদ মামলাটির আত্মপক্ষ শুনানিতে তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য প্রমাণে আসা অভিযোগ পড়ে শোনানোর পর তাকে দোষী না নির্দোষ জিজ্ঞেস করলে তিনি লিখিতভাবে নির্দোষ দাবি করেন।

লিখিত বক্তব্যে ঐশী বলেন, রিমান্ডে নিয়ে পুলিশ লাঠি দিয়ে তাকে পেটায় এবং তাদের শেখানোর কথা আদালতে বলতে বলে। সে অনুযায়ী আদালতে তিনি জবানবন্দি দিয়েছেন। হত্যার ঘটনার আগেই তিনি বাসা থেকে চলেন যান। তার বাবা-মাকে তিনি হত্যা করেননি, তবে কে হত্যা করেছে তা তিনি বলতে পারেন না। তার জন্ম তারিখ ১৯৯৬ সালের ১৭ আগস্ট। সে অনুযায়ী তিনি নাবালক।

আদালত তার লিখিত বক্তব্য নথিভুক্ত করে আগামী ২০ অক্টোবর মামলাটির যুক্তিতর্ক শুনানির দিন ধার্য করেন। এর আগে মামলাটিতে মোট ৪৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।

শুনানিকালে আসামি ঐশী রহমান, ঐশীর বন্ধু আসাদুজ্জামান জনি ও আসাদুজ্জামান জনি আদালতে হাজির ছিলেন।

মামলাটির অপর আসামি গৃহকর্মী খাদিজা আক্তার সুমি। নাবালক হওয়ায় অন্য আদালতে তার বিচার চলছে। মামমলাটিতে খাদিজা আক্তার সুমি ও রনি জামিন হয়েছে।

মামলাটিতে ২০১৪ সালের ৯ মার্চ ডিবির ইন্সপেক্টর মো. আবুয়াল খায়ের মাতুব্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট রাজধানীর মালিবাগের চামেলীবাগে নিজেদের বাসা থেকে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (পলিটিক্যাল শাখা) ইন্সপেক্টর মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এর পর দিন তাদের মেয়ে ঐশী রহমান রমনা থানায় নিজে আত্মসমর্পণ করেন।