প্রতিবন্ধী নাগরিকের প্রতি সব ধরনের বৈষম্য বিলোপে ৮ দাবি

হাওর বার্তা ডেস্কঃ প্রতিবন্ধী নাগরিকের প্রতি সব ধরনের বৈষম্য বিলোপ করে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ৮ দফা দাবি জানানো হয়েছে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সব রাজনৈতিক দলের ইশতেহার প্রণয়ন ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন ২০১৩ বাস্তবায়নেরও দাবি জানানো হয়।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে অ্যাকসেস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন, এডিডি বাংলাদেশ, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), বাংলাদেশ সোসাইটি ফর দ্য চেইঞ্জ অ্যান্ড অ্যাডভোকেসি নেক্সাস, ইমপ্যাক্ট বাংলাদেশ, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, প্রতিবন্ধী নারীদের জাতীয় পরিষদসহ মোট ১১টি সংস্থার আয়োজনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়। সংস্থাগুলোর পক্ষে এ দাবি জানান এক্সপান্ডিং পার্টিসিপেশন অব পিপল উইথ ডিজএবিলিটি প্রোগ্রাম, ব্লু ল ইন্টারন্যাশনাল এর ইন কান্ট্রি কোঅর্ডিনেটর মো. রেজাউল করিম সিদ্দিকী।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রেজাউল করিম সিদ্দিকী বলেন, বাংলাদেশে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সঠিক ও নির্ভরযোগ্য পরিসংখ্যান না থাকার অভাবে বিপুল সংখ্যক প্রতিবন্ধী নাগরিকের উন্নয়ন তথা অধিকার বাস্তবায়ন মারাত্মকভাবে ব্যহত হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণা অনুযায়ী (২০১১ সালের) বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার কমপক্ষে ১৫ ভাগ নাগরিক প্রতিবন্ধী। বাংলাদেশের খানা আয় ও ব্যয় জরিপ (২০১০) অনুযায়ী প্রতিবন্ধী মানুষের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ৯ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। আবার ২০১১ সালের জরিপ অনুযায়ী এই সংখ্যা এক দশমিক ৪১ শতাংশ। অন্যদিকে সমাজ সেবা অধিদপ্তর তাদের জরিপে ১৫ লাখ প্রতিবন্ধী ব্যক্তি চিহ্নিত করেছে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়ে এ ধরনের সাংঘর্ষিক, আংশিক বা বিভ্রান্তমূলক তথ্য থাকায় এক বিপুল জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে যথাযথ পরিকল্পনা গ্রহণ করা যেমন সম্ভব হচ্ছে না, তেমনি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের দুরবস্থারও লাঘব হচ্ছে না।

তাই আমরা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সংগঠন এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার নিয়ে কর্মরত সংস্থাকে সম্পৃক্ত রেখে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পরিসংখ্যান নিরূপণ ও ডাটাবেজ তৈরির দাবি জানাচ্ছি।

এ সময় সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে যে ৮টি দাবি তুলে ধরা হয়, এর মধ্যে গুরুতবুপুর্ণ দাবিগুলো-সংবিধান, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য আইন অনুযায়ী তৃণমূল থেকে জাতীয় পর্যায়ে সকল দলের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে প্রতিবন্ধী নারীসহ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অংশগ্রহণ এবং স্থানীয় সরকার থেকে জাতীয় সংসদে প্রত্যক্ষ ও উপযুক্ত প্রতিনিধি নিশ্চিত করা। একাদশ সংসদে নারীর জন্য সংরক্ষিত ৫০টি আসনের মধ্যে অন্তত ২টি আসনে যোগ্য প্রতিবন্ধী নারীকে নির্বাচন করার সুযোগ প্রদান, ১ম ও ২য় শ্রেণির চাকরিতে কোটাব্যবস্থা পুর্নবহাল এবং সুষ্ঠ বাস্তবায়নসহ সংবিধানের ২৮(৪) ও ২৯(৩) (ক) অনুচ্ছেদ মোতাবেক বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর