আমরা জানি, আপেলের অনেক গুণ; এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে। ইংরেজিতে একটি প্রবাদ আছে, এন এ্যাপেল আ ডে কিপ দ্য ডক্টর অ্যাওয়ে। অর্থ, নিয়মিত আপেল খেলে চিকিৎসকের প্রয়োজন হয় না। আসলেই কি তাই! সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন এ নিয়ে একটি গবেষণা চালিয়েছে। ভারতীয় ওয়েবসাইট এনডিটিভিতে প্রকাশিত হয়েছে প্রতিবেদনটি।
আপেলে রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ এবং ভিটামিন ই। এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইটোনিউট্রিএন্টস। এটি হৃদরোগ এবং ডায়াবেটিস প্রতিরোধে কাজ করে। সম্প্রতি একটি গবেষণায় বলা হয়, যে ফলগুলো ক্রিসপি জাতীয় হয় সেগুলো খাওয়া দাঁতের জন্য ভালো; এগুলো দাঁত পরিষ্কার করে এবং ব্যাকটেরিয়া রোধে কাজ করে।
আপেল সব রোগ ভালো করে দেয় না বা চিকিৎসকের কাছে যাওয়াও বন্ধ করে না। তবে যুক্তরাষ্ট্র মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের পরীক্ষার ফলাফলে দেখা যায়, আপেলে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা রয়েছে। এর ফলে রোগ হলেও ওষুধ কম ব্যবহার করতে হয়। মানে, সব রোগের চিকিৎসা আপেলে সম্ভব না হলেও এটি কম ওষুধ সেবনে সাহায্য করে।
ন্যাশনাল হেলথ অ্যান্ড নিউট্রিশন এক্সামিনেশনের চালানো (২০০৭ থেকে ২০০৮ এবং ২০০৯ থেকে ২০১০) জরিপগুলো পর্যালোচনা করেছেন গবেষকরা। সেখানে আট হাজার ৩৯৯ জরিপে অংশগ্রহণকারীর মধ্যে কিছু প্রশ্ন করা হয়। এদের মধ্যে ৭৫৩ জন (৯ শতাংশ) প্রতিদিন আপেল খেত এবং সাত হাজার ৬৪৬ জন আপেল খায়নি।
সেই জরিপ থেকে গবেষকরা জানতে পারেন, যারা নিয়মিত আপেল খায় এবং যারা নিয়মিত আপেল খায় না তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন লক্ষ করা যায়নি। তবে যারা নিয়মিত আপেল খায় তারা একেবারেই রোগে ভোগে না বলা না গেলেও তারা রোগে কম ভোগে এবং ওষুধ কম লাগে।
গবেষকদের মতে, প্রবাদটি তাই এমন হতে পারে, প্রতিদিন একটি আপেল খাওয়া চিকিৎসকদের কাছ থেকে নয় বরং ওষুধ থেকে দূরে রাখে।