ঢাকা ০৬:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভৈরব উপজেলায় বাল্য বিয়ে, কনের বাবার কারাদণ্ড

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৪৯:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ অক্টোবর ২০১৮
  • ৩৩০ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কিশোরগঞ্জের ভৈরবে অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েকে বিয়ে দেয়ার চেষ্টা করায় মো. রফিক মিয়া (৩৮) নামে এক ব্যক্তিকে তিন দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সোমবার রাত সাড়ে আটটায় এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ কাজী ফয়সাল।

সাজাপ্রাপ্ত রফিক মিয়া নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার বাখারনগন গ্রামের আব্দুল কাদের মিয়ার ছেলে।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় সহযোগিতা করেন ভৈরব থানা তদন্ত কর্মকর্তা বাহালুল খান বাহার, ফাঁড়ি থানার ইনচার্জ মো.শরীফ আহমেদ।

জানা যায়, সোমবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে ভৈরব শহরের বাগানবাড়ি রোডের একটি ভবনের ৫ম তলায় যায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেখানে বাল্য বিবাহের আয়োজন দেখতে পান তারা। খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন নরসিংদী জেলার রায়পুরা গ্রামের রফিকুল ইসলামের নাবালিকা কন্যা তৌহিদা ইসলামকে একই উপজেলার হাফেজ আবদুল মোমেনের ছেলে আতিকুর রহমানের সাথে বিয়ে দিতে আজ রাতে ওই বাসায় আয়োজন করা হয়। বাসাটি তৌহিদার নানার বাসা।

তৌহিদা ঢাকার গাউছিয়া এলাকার একটি স্কুলের অষ্টম শ্রেণির শির্ক্ষাথী। তার বয়স ১৫।

ঘটনার সময় পুলিশ ও উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দেখে বর পক্ষ কৌশলে পালিয়ে যায়। পরে কন্যার বাবা দোষ স্বীকার করলে তাকে এই কারাদণ্ড দেয়া হয়।

এ সময় কন্যার বাবা ও মা রুমা বেগম অঙ্গীকার করেন তাদের মেয়ের বয়স ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবেন না।

ভৈরব উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ কাজী ফয়সাল জানান, সরকারের আইনুযায়ী ১৮ বছরের আগে কোন মেয়েকে বিয়ে দেয়া আইনগত দণ্ডনীয় অপরাধ। বাল্যবিবাহ একটি সামাজিক ব্যাধি। সরকারি আইন মোতাবেক কোন অভিভাবক তার মেয়েকে ১৮ বছর না হলে বিয়ে দিতে পারে না।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

ভৈরব উপজেলায় বাল্য বিয়ে, কনের বাবার কারাদণ্ড

আপডেট টাইম : ১০:৪৯:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ অক্টোবর ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কিশোরগঞ্জের ভৈরবে অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েকে বিয়ে দেয়ার চেষ্টা করায় মো. রফিক মিয়া (৩৮) নামে এক ব্যক্তিকে তিন দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সোমবার রাত সাড়ে আটটায় এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ কাজী ফয়সাল।

সাজাপ্রাপ্ত রফিক মিয়া নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার বাখারনগন গ্রামের আব্দুল কাদের মিয়ার ছেলে।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় সহযোগিতা করেন ভৈরব থানা তদন্ত কর্মকর্তা বাহালুল খান বাহার, ফাঁড়ি থানার ইনচার্জ মো.শরীফ আহমেদ।

জানা যায়, সোমবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে ভৈরব শহরের বাগানবাড়ি রোডের একটি ভবনের ৫ম তলায় যায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেখানে বাল্য বিবাহের আয়োজন দেখতে পান তারা। খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন নরসিংদী জেলার রায়পুরা গ্রামের রফিকুল ইসলামের নাবালিকা কন্যা তৌহিদা ইসলামকে একই উপজেলার হাফেজ আবদুল মোমেনের ছেলে আতিকুর রহমানের সাথে বিয়ে দিতে আজ রাতে ওই বাসায় আয়োজন করা হয়। বাসাটি তৌহিদার নানার বাসা।

তৌহিদা ঢাকার গাউছিয়া এলাকার একটি স্কুলের অষ্টম শ্রেণির শির্ক্ষাথী। তার বয়স ১৫।

ঘটনার সময় পুলিশ ও উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দেখে বর পক্ষ কৌশলে পালিয়ে যায়। পরে কন্যার বাবা দোষ স্বীকার করলে তাকে এই কারাদণ্ড দেয়া হয়।

এ সময় কন্যার বাবা ও মা রুমা বেগম অঙ্গীকার করেন তাদের মেয়ের বয়স ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবেন না।

ভৈরব উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ কাজী ফয়সাল জানান, সরকারের আইনুযায়ী ১৮ বছরের আগে কোন মেয়েকে বিয়ে দেয়া আইনগত দণ্ডনীয় অপরাধ। বাল্যবিবাহ একটি সামাজিক ব্যাধি। সরকারি আইন মোতাবেক কোন অভিভাবক তার মেয়েকে ১৮ বছর না হলে বিয়ে দিতে পারে না।