শুধুই কী খাবারের স্বাদ বাড়ানোই মসলার কাজ, নিশ্চয় না। কারণ মসলা যে উপকারিও বটে এটি অনেকেরই জানা। এছাড়াও মসলার রয়েছে হরেক ব্যবহার।
হলুদ: একসময় হলুদকে ‘গরীরের জাফরান’ বলে মজা করা হতো। কিন্তু ক্রমেই হলুদ প্রমাণ করেছে যে এর রয়েছে অনেক উপকারিতা। হলুদে বিদ্যমান কারকুমিন সংক্রামন প্রতিরোধ এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের উৎস। এটি শরীর থেকে মস্তিষ্কে রক্ত চলাচলে সহায়তা করে যা অ্যালঝেইমার রোগ প্রতিরোধে বিশেষ সহায়ক। অনেক ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়েটিক ঔষুধের চেয়ে ভালো কাজ করে হলুদ।
আদা: শুনলে হয়তো অবাক লাগবে যে, শুকনো আদা চিবানো অথবা আদা চা পান ক্যান্সারের ঘরোয়া চিকিৎসা পদ্ধতি। এটি নারীদের পিরিয়ডের ব্যথা সারাতেও উপকারি। পেটের যেকোনো রোগে আদা মহৌষধ। যেমন পেট ফাঁপা, বমি বমি ভাব, হজমে সমস্যা, অ্যাসিডিটি, ডায়ারিয়া, আমশয়, সকালের অসুস্থতা ইত্যাদি। এছাড়া অস্ত্রোপচারের পর বমির সমস্যা দূর করতেও আদা উপকারি। গলাব্যথা, ব্রংকাইটিসের মতো শ্বাস নালীর প্রদাহ দূর করতে আদার জুড়ি নেই।
রসুন: হার্ট অ্যাটাক, উচ্চ কোলোস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপের মতো জটিল রোগের মহৌষধ রসুন। এছাড়া কোলন, স্তন, প্রোস্টেট, ফুসফুস ক্যান্সারের মতো দুরারোগ্য রোগের চিকিৎসায়ও কার্যকরী রসুন।
কালো গোল মরিচ: হজমের গ-গোল প্রতিরোধে জাদুর মতো কাজ করে কালো গোল মরিচ। ক্যান্সার, নি¤œ রক্ত চাপ এবং আর্থরাইটিস রোগে উপকারি এটি। এছাড়া হার্ট অ্যাটাকের পর রক্তে কোলেস্টোরলের মাত্রা কমাতে বিশেষ সহায়ক গোল মরিচ। সংক্রামন এবং পোকা-মাকড়ের কামড় সংক্রান্ত বিষক্রিয়া রুখতেও কাজ করে এটি।
এলাচ: হজম শক্তি বাড়াতে এলাচের জুড়ি নেই। অ্যাসিডিটি সমস্যায় প্রতিদিন পানীয়তে এলাচ মিশিয়ে পান করুন। এটি মুখের দুর্গন্ধ দূর করে নিঃশ্বাসকে করে সজীব। হেঁচকি এবং যেকোনো ধরনের প্রদাহ দূর করে এলাচ।
দারুচিনি: দারুচিনি এলডিএল নামক খারাপ কোলেস্টেরল দূর করে এবং এইচডিএল নামক ভালো কোলেস্টেরল বাড়ায়। টাইপ-টু ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের দেহে বিদ্যমান ইনসুলিন এবং গ্লুকোজের উন্নয়ন ঘটায়। দারুচিনির সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে মুটিয়ে যাওয়ার প্রবণতা কমে এবং অ্যাসিডিটি সমস্যাও দূর হয়।