ঢাকা ০৪:৫৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আজও খোঁজ মেলেনি এক হাজি দম্পতির

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:০৯:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ অক্টোবর ২০১৫
  • ৩৪৫ বার

হজ পালনের সময় মিনায় দুর্ঘটনার পর থেকে এখনও নিখোঁজ কিশোরগঞ্জের এক দম্পতি। ২৪ সেপ্টেম্বরের পর থেকে অনেক চেষ্টা করেও তাদের কোনো সন্ধান পায়নি স্বজনেরা।

নিখোঁজ দম্পতি হলেন—সোনালী ব্যাংক কিশোরগঞ্জ শাখার কর্মকর্তা কাজী আনোয়ারুল মতিন (৫৮) ও তার স্ত্রী মাজেদা আক্তার খানম (৪৮)। কিশোরগঞ্জ শহরের স্টেশন রোড এলাকায় বসবাস করতেন তারা।

হজ পালনের উদ্দেশে ২৩ আগস্ট একটি বেসরকারি হজ এজেন্সির ব্যবস্থাপনায় সৌদি এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে মক্কায় যান আনোয়ারুল মতিন ও মাজেদা আক্তার দম্পতি।

তাদের বড় ছেলে প্রকৌশলী মো. আজমল আনোয়ার ইমন জানান, ‘মিনায় দুর্ঘটনার পর থেকে সৌদি আরবের বাংলাদেশ দূতাবাস, সংশ্লিষ্ট হজ এজেন্সি ও কাফেলার অন্যদের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করেও আমার মা-বাবার কোনো খোঁজ পাইনি। তারা কোথায় আছেন, বেঁচে আছেন না মারা গেছেন সে তথ্যও কেউ দিতে পারছেন না।’

তাদের আত্মীয় সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা আজিজুর রহমান ঠাকুর বলেন, ‘সৌদি আরবে পৌঁছার পর থেকে প্রায় প্রতিদিনই তাদের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ হতো। কিন্তু মিনার দুর্ঘটনার পর থেকে তাদের সঙ্গে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। বহু চেষ্টা করেও তাদের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।’

প্রসঙ্গত, ২৪ সেপ্টেম্বর সৌদি আরবের স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মিনায় বড় জামারাতে শয়তান স্তম্ভে পাথর ছোড়ার সময় পদদলিত হয়ে ৭৬৯ হাজি নিহত ও ৯৩৪ জন আহত হন। নিহতদের মধ্যে ৪১ বাংলাদেশী রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

আজও খোঁজ মেলেনি এক হাজি দম্পতির

আপডেট টাইম : ১০:০৯:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ অক্টোবর ২০১৫

হজ পালনের সময় মিনায় দুর্ঘটনার পর থেকে এখনও নিখোঁজ কিশোরগঞ্জের এক দম্পতি। ২৪ সেপ্টেম্বরের পর থেকে অনেক চেষ্টা করেও তাদের কোনো সন্ধান পায়নি স্বজনেরা।

নিখোঁজ দম্পতি হলেন—সোনালী ব্যাংক কিশোরগঞ্জ শাখার কর্মকর্তা কাজী আনোয়ারুল মতিন (৫৮) ও তার স্ত্রী মাজেদা আক্তার খানম (৪৮)। কিশোরগঞ্জ শহরের স্টেশন রোড এলাকায় বসবাস করতেন তারা।

হজ পালনের উদ্দেশে ২৩ আগস্ট একটি বেসরকারি হজ এজেন্সির ব্যবস্থাপনায় সৌদি এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে মক্কায় যান আনোয়ারুল মতিন ও মাজেদা আক্তার দম্পতি।

তাদের বড় ছেলে প্রকৌশলী মো. আজমল আনোয়ার ইমন জানান, ‘মিনায় দুর্ঘটনার পর থেকে সৌদি আরবের বাংলাদেশ দূতাবাস, সংশ্লিষ্ট হজ এজেন্সি ও কাফেলার অন্যদের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করেও আমার মা-বাবার কোনো খোঁজ পাইনি। তারা কোথায় আছেন, বেঁচে আছেন না মারা গেছেন সে তথ্যও কেউ দিতে পারছেন না।’

তাদের আত্মীয় সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা আজিজুর রহমান ঠাকুর বলেন, ‘সৌদি আরবে পৌঁছার পর থেকে প্রায় প্রতিদিনই তাদের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ হতো। কিন্তু মিনার দুর্ঘটনার পর থেকে তাদের সঙ্গে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। বহু চেষ্টা করেও তাদের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।’

প্রসঙ্গত, ২৪ সেপ্টেম্বর সৌদি আরবের স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মিনায় বড় জামারাতে শয়তান স্তম্ভে পাথর ছোড়ার সময় পদদলিত হয়ে ৭৬৯ হাজি নিহত ও ৯৩৪ জন আহত হন। নিহতদের মধ্যে ৪১ বাংলাদেশী রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।