ঢাকা ০৭:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাদক ‘খাত’ নিষিদ্ধের প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:২৩:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ অক্টোবর ২০১৮
  • ৩৬৮ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ‘গ্রিন টি’র নামে আমদানি করা মাদকদ্রব্য ‘খাত’ বা ‘এনপিএস’ (নিউ সাইকোট্রফিক সাবসটেনসেস) নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে।

বুধবার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. জামাল উদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘মাদকটি ভয়াবহ। এ কারণে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যেই খাতকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হবে। এটি আমদানি-রপ্তানিতে ২০-২২ জনের একটি সিন্ডিকেট আছে। তাদের শনাক্ত করা হয়েছে।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ তৈরি করা হয়েছে। আইনে নতুন করে একটি ধারা যুক্ত করা হয়েছে। নতুন আইনটি পাস হলে খুব সহজেই গডফাদার, রাঘব বোয়ালদের আইনের আওতায় আনতে পারব।

তিনি জানান, বারের লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে বারটির মদ সংগ্রহের স্থান ও কী পরিমাণ সংগ্রহ করছে এগুলো নিয়মিত জানা হয়। তারপরও কেউ অনিয়ম করলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে মাদক নিয়ন্ত্রণে অধিদপ্তরের কর্মকাণ্ডের পরিসংখ্যান দেওয়া হয়। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত ৩০ হাজার ৮৯৭টি অভিযান চালানো হয়। ৯ হাজার ৯৩৪ জন মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ৮ হাজার ৪০৬টি মামলা হয়। এছাড়া,  গত ২০ থেকে ২৬ সেপ্টেম্বর পরিচালিত বিশেষ সাঁড়াশি অভিযানে সারা দেশে ৬০৩ জনের বিরুদ্ধে ৫৫৯টি মামলা হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

মাদক ‘খাত’ নিষিদ্ধের প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে

আপডেট টাইম : ০৫:২৩:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ অক্টোবর ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ‘গ্রিন টি’র নামে আমদানি করা মাদকদ্রব্য ‘খাত’ বা ‘এনপিএস’ (নিউ সাইকোট্রফিক সাবসটেনসেস) নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে।

বুধবার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. জামাল উদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘মাদকটি ভয়াবহ। এ কারণে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যেই খাতকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হবে। এটি আমদানি-রপ্তানিতে ২০-২২ জনের একটি সিন্ডিকেট আছে। তাদের শনাক্ত করা হয়েছে।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ তৈরি করা হয়েছে। আইনে নতুন করে একটি ধারা যুক্ত করা হয়েছে। নতুন আইনটি পাস হলে খুব সহজেই গডফাদার, রাঘব বোয়ালদের আইনের আওতায় আনতে পারব।

তিনি জানান, বারের লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে বারটির মদ সংগ্রহের স্থান ও কী পরিমাণ সংগ্রহ করছে এগুলো নিয়মিত জানা হয়। তারপরও কেউ অনিয়ম করলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে মাদক নিয়ন্ত্রণে অধিদপ্তরের কর্মকাণ্ডের পরিসংখ্যান দেওয়া হয়। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত ৩০ হাজার ৮৯৭টি অভিযান চালানো হয়। ৯ হাজার ৯৩৪ জন মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ৮ হাজার ৪০৬টি মামলা হয়। এছাড়া,  গত ২০ থেকে ২৬ সেপ্টেম্বর পরিচালিত বিশেষ সাঁড়াশি অভিযানে সারা দেশে ৬০৩ জনের বিরুদ্ধে ৫৫৯টি মামলা হয়।