ঢাকা ০৮:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মেসির সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ গোলপোস্ট

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৭:৪৫:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮
  • ৪১৩ বার

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ মাঠে লিওনেল মেসির সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ কে? উত্তরটা হওয়ার কথা ছিল আসলে প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডাররা। কিন্তু এই মৌসুমে অন্তত এই উত্তরটা সঠিক নয়। কারণ প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডাররা নন, এ মৌসুমে মেসির সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ হয়ে উঠেছেন গোলপোস্ট! বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই।

পরিসংখ্যানই বলছে এ কথা। মেসিকে রুখে দেওয়ার জন্য সব সময়ই সামর্থের সবুটুক ঢেলে দিয়ে চেষ্টা করেন প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডাররা। তাতে বেশির ভাগ সময়ই ডিফেন্ডাররা সফল হন না। এরই মধ্যে নতুন মৌসুমে সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৯ ম্যাচে মেসির ৮ গোল করে ফেলাটা তারই প্রমাণ। পরিসংখ্যান বলছে, গোলপোস্ট হঠাৎ প্রবল প্রতিপক্ষ হয়ে না উঠলে মেসিকে রুখে দেওয়ার লড়াইয়ে আরও অনেক পিছিয়ে থাকতেন!

৯ ম্যাচেই যে মেসির শট প্রতিহত হয়েছে পোস্টে! সত্যিই তাই। ৯ ম্যাচে মেসির ৭টি শট প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডার-গোলরক্ষককে ফাঁকি দেওয়ার পর ফিরে এসেছে পোস্ট বা ভারে লেগে। এবার মেসির এই দুর্ভাগ্যের শুরুটা মৌসুমের প্রথম ম্যাচ থেকেই।

সেভিয়ার বিপক্ষে মৌসুমসূচক স্প্যানিশ সুপার কাপের ম্যাচটিতেই মেসির একটা শট পোস্টে লাগে। তবে পোস্টে লেগে ফিরে আসার সেই বলকেই আবার জালে পাঠিয়ে দেন জেরার্ড পিকে। এবং পিকের সেই গোলেই সেভিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়ে স্প্যানিশ সুপার কাপের শিরোপা ঘরে তুলে বার্সেলোনা।

পোস্ট-ভার মেসিকে সবচেয়ে বেশি পুড়িয়েছে আলাভেসের বিপক্ষে লা লিগার ম্যাচটিতে। সেদিন মেসির দুটি শট ফিরিয়ে দেয় পোস্ট-ভার! এরপর পর্যায়ক্রমে একবার করে মেসির শট পোস্ট-ভারে প্রতিহত হয়েছে হায়েস্কা, জিরোনা, লেগানেসের বিপক্ষে ম্যাচে। এবং সর্বশেষ গতকাল শনিবার অ্যাথলেতিক বিলবাওয়ের বিপক্ষে ম্যাচটিতে।

সেভিয়া, আলাভেস ও হায়েস্কা-এই তিন দলের বিপক্ষে অবশ্য মেসির হতাশাটা বড় হয়ে দেখা দেয়নি। কারণ, তার শট পোস্টে প্রতিহত হলেও ঠিকই ওই তিন ম্যাচে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে বার্সেলোনা। কিন্তু জিরোনা, লেগানেস ও বিলবাওয়ের ম্যাচে পোস্টে প্রতিহত হওয়ার ঘটনা মেসিকে পুড়িয়েছে অনেক। ক্লাব বার্সেলোনাকেও। এই তিন ম্যাচেই যে জয় বঞ্চিত বার্সেলোনা। জিরোনার বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্র হতাশায় পুড়তে হয় বার্সেলোনাকে।

গত বুধবার দুর্বল লেগানেসের বিপক্ষে তো ২-১ গোলে হেরেই যায় মেসির বার্সা। সর্বশেষ শনিবার আবার বিলবাওয়ের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র হতাশায় পুড়তে হয়েছে বার্সেলোনাকে। আর এভাবে বারবার হোচট খাওয়ার কারণেই মেসির পোস্ট-দুর্ভাগ্য হতাশার বড় কারণ হয়ে উঠেছে ন্যু-ক্যাম্পে।

মেসি যত দ্রুত এই দুর্ভাগ্যকে কাটাতে পারেন, ক্লাব বার্সেলোনার জন্য ততই ভালো।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

মেসির সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ গোলপোস্ট

আপডেট টাইম : ০৭:৪৫:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ মাঠে লিওনেল মেসির সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ কে? উত্তরটা হওয়ার কথা ছিল আসলে প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডাররা। কিন্তু এই মৌসুমে অন্তত এই উত্তরটা সঠিক নয়। কারণ প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডাররা নন, এ মৌসুমে মেসির সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ হয়ে উঠেছেন গোলপোস্ট! বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই।

পরিসংখ্যানই বলছে এ কথা। মেসিকে রুখে দেওয়ার জন্য সব সময়ই সামর্থের সবুটুক ঢেলে দিয়ে চেষ্টা করেন প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডাররা। তাতে বেশির ভাগ সময়ই ডিফেন্ডাররা সফল হন না। এরই মধ্যে নতুন মৌসুমে সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৯ ম্যাচে মেসির ৮ গোল করে ফেলাটা তারই প্রমাণ। পরিসংখ্যান বলছে, গোলপোস্ট হঠাৎ প্রবল প্রতিপক্ষ হয়ে না উঠলে মেসিকে রুখে দেওয়ার লড়াইয়ে আরও অনেক পিছিয়ে থাকতেন!

৯ ম্যাচেই যে মেসির শট প্রতিহত হয়েছে পোস্টে! সত্যিই তাই। ৯ ম্যাচে মেসির ৭টি শট প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডার-গোলরক্ষককে ফাঁকি দেওয়ার পর ফিরে এসেছে পোস্ট বা ভারে লেগে। এবার মেসির এই দুর্ভাগ্যের শুরুটা মৌসুমের প্রথম ম্যাচ থেকেই।

সেভিয়ার বিপক্ষে মৌসুমসূচক স্প্যানিশ সুপার কাপের ম্যাচটিতেই মেসির একটা শট পোস্টে লাগে। তবে পোস্টে লেগে ফিরে আসার সেই বলকেই আবার জালে পাঠিয়ে দেন জেরার্ড পিকে। এবং পিকের সেই গোলেই সেভিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়ে স্প্যানিশ সুপার কাপের শিরোপা ঘরে তুলে বার্সেলোনা।

পোস্ট-ভার মেসিকে সবচেয়ে বেশি পুড়িয়েছে আলাভেসের বিপক্ষে লা লিগার ম্যাচটিতে। সেদিন মেসির দুটি শট ফিরিয়ে দেয় পোস্ট-ভার! এরপর পর্যায়ক্রমে একবার করে মেসির শট পোস্ট-ভারে প্রতিহত হয়েছে হায়েস্কা, জিরোনা, লেগানেসের বিপক্ষে ম্যাচে। এবং সর্বশেষ গতকাল শনিবার অ্যাথলেতিক বিলবাওয়ের বিপক্ষে ম্যাচটিতে।

সেভিয়া, আলাভেস ও হায়েস্কা-এই তিন দলের বিপক্ষে অবশ্য মেসির হতাশাটা বড় হয়ে দেখা দেয়নি। কারণ, তার শট পোস্টে প্রতিহত হলেও ঠিকই ওই তিন ম্যাচে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে বার্সেলোনা। কিন্তু জিরোনা, লেগানেস ও বিলবাওয়ের ম্যাচে পোস্টে প্রতিহত হওয়ার ঘটনা মেসিকে পুড়িয়েছে অনেক। ক্লাব বার্সেলোনাকেও। এই তিন ম্যাচেই যে জয় বঞ্চিত বার্সেলোনা। জিরোনার বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্র হতাশায় পুড়তে হয় বার্সেলোনাকে।

গত বুধবার দুর্বল লেগানেসের বিপক্ষে তো ২-১ গোলে হেরেই যায় মেসির বার্সা। সর্বশেষ শনিবার আবার বিলবাওয়ের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র হতাশায় পুড়তে হয়েছে বার্সেলোনাকে। আর এভাবে বারবার হোচট খাওয়ার কারণেই মেসির পোস্ট-দুর্ভাগ্য হতাশার বড় কারণ হয়ে উঠেছে ন্যু-ক্যাম্পে।

মেসি যত দ্রুত এই দুর্ভাগ্যকে কাটাতে পারেন, ক্লাব বার্সেলোনার জন্য ততই ভালো।