ঢাকা ০৬:৪৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কানাডায় সু চির সম্মানজনক নাগরিকত্ব বাতিল

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:২৬:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮
  • ২৯৮ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কানাডার পার্লামেন্টে মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দলের নেত্রী ও স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চির সম্মানসূচক নাগরিকত্ব বাতিলের প্রস্তাব সর্বসম্মতভাবে পাশ হয়েছে।

সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধ ঠেকাতে ব্যর্থ হওয়ার প্রতিক্রিয়াতেই বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কানাডার পার্লামেন্ট।

২০০৭ সালে সু চিকে সম্মানজনক নাগরিকত্ব দিয়েছিল কানাডা। কানাডাতে এ পর্যন্ত মাত্র ছয়জন মানুষকে এ সম্মানসূচক নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। ফলে এটি বিরল সম্মান ছিল সু চির জন্য। এর আগে অক্সফোর্ডসহ ব্রিটেনের কয়েকটি শহর তাকে দেওয়া সম্মাননা প্রত্যাহার করে নিয়েছিল।

অবশ্য কানাডার পার্লামেন্টের নিম্মকক্ষ হাউজ অব কমন্সে সু চির নাগরিকত্ব প্রত্যাহারের এই একক সিদ্ধান্তে বাস্তবে কোনো প্রভাব পড়বে না। কারণ নাগরিকত্ব প্রত্যাহার করতে হলে উচ্চকক্ষ সিনেটেও প্রস্তাব পাশ হতে হবে। কানাডার কর্মকর্তারা অবশ্য জানিয়েছেন, সিনেটেও প্রস্তাবটি পাশ হয়ে যাবে।

এর আগে বুধবার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো জানিয়েছেন, সু চিকে নাগরিকত্বের সম্মান জানানোর প্রয়োজন আর আছে কি না, তা পুনর্বিবেচনা করা হচ্ছে। অবশ্য এ পদক্ষেপের কারণে লাখ লাখ রোহিঙ্গার দুর্দশা যে লাঘব হবে না তাও ট্রুডো উল্লেখ করেছেন।

গত সপ্তাহে কানাডার হাউজ অব কমন্সে রোহিঙ্গা নির্যাতনকে ‘গণহত্যা’ উল্লেখ করে একটি প্রস্তাব পাশ হয়েছিল।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

কানাডায় সু চির সম্মানজনক নাগরিকত্ব বাতিল

আপডেট টাইম : ০৪:২৬:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কানাডার পার্লামেন্টে মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দলের নেত্রী ও স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চির সম্মানসূচক নাগরিকত্ব বাতিলের প্রস্তাব সর্বসম্মতভাবে পাশ হয়েছে।

সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধ ঠেকাতে ব্যর্থ হওয়ার প্রতিক্রিয়াতেই বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কানাডার পার্লামেন্ট।

২০০৭ সালে সু চিকে সম্মানজনক নাগরিকত্ব দিয়েছিল কানাডা। কানাডাতে এ পর্যন্ত মাত্র ছয়জন মানুষকে এ সম্মানসূচক নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। ফলে এটি বিরল সম্মান ছিল সু চির জন্য। এর আগে অক্সফোর্ডসহ ব্রিটেনের কয়েকটি শহর তাকে দেওয়া সম্মাননা প্রত্যাহার করে নিয়েছিল।

অবশ্য কানাডার পার্লামেন্টের নিম্মকক্ষ হাউজ অব কমন্সে সু চির নাগরিকত্ব প্রত্যাহারের এই একক সিদ্ধান্তে বাস্তবে কোনো প্রভাব পড়বে না। কারণ নাগরিকত্ব প্রত্যাহার করতে হলে উচ্চকক্ষ সিনেটেও প্রস্তাব পাশ হতে হবে। কানাডার কর্মকর্তারা অবশ্য জানিয়েছেন, সিনেটেও প্রস্তাবটি পাশ হয়ে যাবে।

এর আগে বুধবার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো জানিয়েছেন, সু চিকে নাগরিকত্বের সম্মান জানানোর প্রয়োজন আর আছে কি না, তা পুনর্বিবেচনা করা হচ্ছে। অবশ্য এ পদক্ষেপের কারণে লাখ লাখ রোহিঙ্গার দুর্দশা যে লাঘব হবে না তাও ট্রুডো উল্লেখ করেছেন।

গত সপ্তাহে কানাডার হাউজ অব কমন্সে রোহিঙ্গা নির্যাতনকে ‘গণহত্যা’ উল্লেখ করে একটি প্রস্তাব পাশ হয়েছিল।