ঢাকা ০৮:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
ভারতে ১৩ বাংলাদেশি নাগরিক গ্রেপ্তার কবরের পাশে দিন-রাত বসে থাকি, ছেলে ফিরে আসে না সংস্কার না করলে শহীদদের রক্তের সঙ্গে অন্যায় করা হবে : উপদেষ্টা সাখাওয়াত কাকে ‘ননসেন্স’ বললেন বুবলী ভোটার হওয়ার ন্যূনতম বয়সসীমা প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে আপত্তি বিএনপি মহাসচিবের সচিবালয়ে প্রবেশে অস্থায়ী পাসের ব্যাপারে বিশেষ সেল গঠন জর্জিনাকে ‘স্ত্রী’ সম্বোধন, তবে কি বিয়েটা সেরেই ফেলেছেন রোনালদো ৩১ ডিসেম্বর আসছে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণা মহাখালীতে আবাসিক ভবনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ২ ইউনিট ভোটার হওয়ার ন্যূনতম বয়সসীমা প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে আপত্তি বিএনপি মহাসচিবের

‘মনে প্রশ্ন জাগে’ মুজাহিদের ছেলের

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:৩৭:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ অক্টোবর ২০১৫
  • ২৫৩ বার

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদকে ট্রাইব্যুনালের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের কারণ সম্পর্কে প্রশ্ন তুলেছেন তার ছেলে আলী আহমদ মাবরুর।

তিনি বলেছেন, কোন প্রতিহিংসার কারণে তার বাবাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে? বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধানে ১৯৭২ সালে গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট রাষ্ট্রপক্ষ কেন প্রকাশ করেনি তাও জানতে চান তিনি।

ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে মাবরুর লিখেছেন, মনে প্রশ্ন জাগে এত বছর পর কেন, কোন প্রতিহিংসার কারণে মুজাহিদকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করা হলো?

সোমবার সন্ধা ৬টা ২০ মিনিটে ওই ফেসবুক স্ট্যাটাসটি দেন তিনি।

আলী আহমদ মাবরুরের স্ট্যাটাসটি তুলে ধরা হলো—

‘২৯ ডিসেম্বর ১৯৭১ তারিখে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের তদন্তের জন্য জনাব জহির রায়হানকে আহ্বায়ক করে ৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছিল। প্রথিতযশা সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার আমির-উল-ইসলাম এবং ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ এই কমিটির সদস্য ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষ এই কমিটি কর্তৃক প্রস্তুতকৃত তদন্ত রিপোর্ট ট্রাইব্যুনালে জমা দেয়নি এবং তদন্তকালে তাদের কারো সাথে আলোচনাও করেনি। তাদেরকে বুদ্ধিজীবী হত্যার অভিযোগ প্রমাণে সাক্ষী হিসেবেও আদালতে হাজির করেনি। কেন রাষ্ট্রপক্ষ ঐ তদন্ত কমিটির রিপোর্ট জাতির সামনে প্রকাশ করেনি?

এখন প্রশ্ন জাগে, কেন আজ এত বছর পর সেই বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের জন্য আলী আহসান মো. মুজাহিদকে অভিযুক্ত করা হলো? ওই তদন্তে যেখানে মুজাহিদের নামই পাওয়া যায়নি, আজ তাহলে কোন প্রতিহিংসার কারণে তাকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হলো?’

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ গত ১৬ জুন মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করেন।

৩০ অক্টোবর আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। আপিল বিভাগের এই রায়ের বিরুদ্ধে এখন রিভিউ করবেন এই জামায়াত নেতা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ভারতে ১৩ বাংলাদেশি নাগরিক গ্রেপ্তার

‘মনে প্রশ্ন জাগে’ মুজাহিদের ছেলের

আপডেট টাইম : ১২:৩৭:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ অক্টোবর ২০১৫

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদকে ট্রাইব্যুনালের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের কারণ সম্পর্কে প্রশ্ন তুলেছেন তার ছেলে আলী আহমদ মাবরুর।

তিনি বলেছেন, কোন প্রতিহিংসার কারণে তার বাবাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে? বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধানে ১৯৭২ সালে গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট রাষ্ট্রপক্ষ কেন প্রকাশ করেনি তাও জানতে চান তিনি।

ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে মাবরুর লিখেছেন, মনে প্রশ্ন জাগে এত বছর পর কেন, কোন প্রতিহিংসার কারণে মুজাহিদকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করা হলো?

সোমবার সন্ধা ৬টা ২০ মিনিটে ওই ফেসবুক স্ট্যাটাসটি দেন তিনি।

আলী আহমদ মাবরুরের স্ট্যাটাসটি তুলে ধরা হলো—

‘২৯ ডিসেম্বর ১৯৭১ তারিখে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের তদন্তের জন্য জনাব জহির রায়হানকে আহ্বায়ক করে ৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছিল। প্রথিতযশা সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার আমির-উল-ইসলাম এবং ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ এই কমিটির সদস্য ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষ এই কমিটি কর্তৃক প্রস্তুতকৃত তদন্ত রিপোর্ট ট্রাইব্যুনালে জমা দেয়নি এবং তদন্তকালে তাদের কারো সাথে আলোচনাও করেনি। তাদেরকে বুদ্ধিজীবী হত্যার অভিযোগ প্রমাণে সাক্ষী হিসেবেও আদালতে হাজির করেনি। কেন রাষ্ট্রপক্ষ ঐ তদন্ত কমিটির রিপোর্ট জাতির সামনে প্রকাশ করেনি?

এখন প্রশ্ন জাগে, কেন আজ এত বছর পর সেই বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের জন্য আলী আহসান মো. মুজাহিদকে অভিযুক্ত করা হলো? ওই তদন্তে যেখানে মুজাহিদের নামই পাওয়া যায়নি, আজ তাহলে কোন প্রতিহিংসার কারণে তাকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হলো?’

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ গত ১৬ জুন মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করেন।

৩০ অক্টোবর আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। আপিল বিভাগের এই রায়ের বিরুদ্ধে এখন রিভিউ করবেন এই জামায়াত নেতা।