ঢাকা ০৭:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাম জোটের ইসি ঘেরাও কর্মসূচিতে সংঘর্ষ, পুলিশের লাঠিচার্জে আহত ২০

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:১৫:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮
  • ৪৬১ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রাজধানীতে বাম সংগঠনের নির্বাচন কমিশন ঘেরাও কর্মসূচিতে পুলিশের বাধার পর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে খবর পাওয় গেছে। এসময় লাঠিচার্জে অন্তত ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আর পুলিশ জানিয়েছে, তাদের সাত সদস্য আঘাত পেয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২০সেপ্টেম্বর) ‘জনগণের ভোটাধিকার রক্ষা ও সুষ্ঠু নির্বাচন’ নিশ্চিত করতে নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার দাবিতে নির্বাচন কমিশন অফিস ঘেরাও’ করতে যায় আট বাম দলের মোর্চা বাম গণতান্ত্রিক জোট। জাতীয় প্রেসক্লাবে সমাবেশ মিছিল নিয়ে নেতা-কর্মীরা আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনে যাচ্ছিল। পথে কারওয়ানবাজার এলাকায় ঘটে হাঙ্গামা। পুলিশ এবং বাম জোট-দুই পক্ষই তাদের ওপর হামলার জন্য একে অপরকে দায়ী করেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নির্বাচন কমিশন সংস্কারের দাবিতে বাম গণতান্ত্রিক দলগুলো নির্বাচন কমিশন ঘেরাও করার উদ্দেশে জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে রওয়ানা হয়। পথে সোনারগাঁও রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় পুলিশ তাদের বাধা দেয়। পরে পুলিশের সঙ্গে বাম নেতাদের বাকবিতণ্ডা হয়। পুলিশ লাঠিচার্জ করে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এসময় পুলিশের হামলায় গণসংগতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকিসহ ২০ জন আহত হন।

আহতরা হলেন-গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকি, ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ছাত্র ইউনিয়িনের সভাপতি আব্দুল কাদের জিলানী শুভ, রাম রাজনৈতিক কর্মী ফয়জুর মেহেদী, রাশেদ, জলি তালুকদারসহ প্রায় ২০ জন। পরে তাদের চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

বাম গণতান্ত্রিক জোটের অন্যতম শরিক দল গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকির সহকারী সাদিক রেজা বলেন, ‘জনগণের ভোটাধিকার রক্ষা ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার দাবিতে আজ নির্বাচন কমিশন ঘেরাওয়ের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি ছিল। প্রেসক্লাবে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে শেষে আমরা মিছিল নিয়ে নির্বাচন কমিশন অফিস ঘেরাও করতে যাই। প্রথমে ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশনের সামনে পুলিশি বাধায় পড়তে হয়। পরে সেটা উপেক্ষা করে কারওয়ানবাজার হয়ে আমরা যাচ্ছিলাম। এসময় পুলিশ মিছিলে নারী-পুরুষ সকলের ওপর লাঠিপেটা করে। বাম জোটের অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছে। এমনকি জোনায়েদ সাকি নিজেও আহত হয়েছেন।’

পুলিশ বলছে আপনার অতর্কিত পুলিশের উপর হামলা চালিয়েছেন এমন প্রশ্নে সাদিক রেজা বলেন, ‘পুলিশ এটা সব সময় বলে থাকে। আমাদের উপর পুলিশ উল্টো মারমুখী অবস্থানে গিয়ে পিটিয়েছে।’

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) বাচ্চু মিয়া জানান, আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সেখানে তাদের প্রাথমিক পর্যায়ের চিকিৎসা চলছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

বাম জোটের ইসি ঘেরাও কর্মসূচিতে সংঘর্ষ, পুলিশের লাঠিচার্জে আহত ২০

আপডেট টাইম : ০৫:১৫:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রাজধানীতে বাম সংগঠনের নির্বাচন কমিশন ঘেরাও কর্মসূচিতে পুলিশের বাধার পর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে খবর পাওয় গেছে। এসময় লাঠিচার্জে অন্তত ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আর পুলিশ জানিয়েছে, তাদের সাত সদস্য আঘাত পেয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২০সেপ্টেম্বর) ‘জনগণের ভোটাধিকার রক্ষা ও সুষ্ঠু নির্বাচন’ নিশ্চিত করতে নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার দাবিতে নির্বাচন কমিশন অফিস ঘেরাও’ করতে যায় আট বাম দলের মোর্চা বাম গণতান্ত্রিক জোট। জাতীয় প্রেসক্লাবে সমাবেশ মিছিল নিয়ে নেতা-কর্মীরা আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনে যাচ্ছিল। পথে কারওয়ানবাজার এলাকায় ঘটে হাঙ্গামা। পুলিশ এবং বাম জোট-দুই পক্ষই তাদের ওপর হামলার জন্য একে অপরকে দায়ী করেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নির্বাচন কমিশন সংস্কারের দাবিতে বাম গণতান্ত্রিক দলগুলো নির্বাচন কমিশন ঘেরাও করার উদ্দেশে জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে রওয়ানা হয়। পথে সোনারগাঁও রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় পুলিশ তাদের বাধা দেয়। পরে পুলিশের সঙ্গে বাম নেতাদের বাকবিতণ্ডা হয়। পুলিশ লাঠিচার্জ করে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এসময় পুলিশের হামলায় গণসংগতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকিসহ ২০ জন আহত হন।

আহতরা হলেন-গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকি, ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ছাত্র ইউনিয়িনের সভাপতি আব্দুল কাদের জিলানী শুভ, রাম রাজনৈতিক কর্মী ফয়জুর মেহেদী, রাশেদ, জলি তালুকদারসহ প্রায় ২০ জন। পরে তাদের চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

বাম গণতান্ত্রিক জোটের অন্যতম শরিক দল গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকির সহকারী সাদিক রেজা বলেন, ‘জনগণের ভোটাধিকার রক্ষা ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার দাবিতে আজ নির্বাচন কমিশন ঘেরাওয়ের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি ছিল। প্রেসক্লাবে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে শেষে আমরা মিছিল নিয়ে নির্বাচন কমিশন অফিস ঘেরাও করতে যাই। প্রথমে ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশনের সামনে পুলিশি বাধায় পড়তে হয়। পরে সেটা উপেক্ষা করে কারওয়ানবাজার হয়ে আমরা যাচ্ছিলাম। এসময় পুলিশ মিছিলে নারী-পুরুষ সকলের ওপর লাঠিপেটা করে। বাম জোটের অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছে। এমনকি জোনায়েদ সাকি নিজেও আহত হয়েছেন।’

পুলিশ বলছে আপনার অতর্কিত পুলিশের উপর হামলা চালিয়েছেন এমন প্রশ্নে সাদিক রেজা বলেন, ‘পুলিশ এটা সব সময় বলে থাকে। আমাদের উপর পুলিশ উল্টো মারমুখী অবস্থানে গিয়ে পিটিয়েছে।’

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) বাচ্চু মিয়া জানান, আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সেখানে তাদের প্রাথমিক পর্যায়ের চিকিৎসা চলছে।