চকলেট খেতে ভালোবাসে নানা বয়সের মানুষ। বিশেষ করে ছোটদের কাছে চকলেট একটি প্রিয় খাদ্যবস্তু। সুগারের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারের কথা জানার পরও এর লোভ সামলাতে পারেন না বয়স্করাও। হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায় চকলেট। প্রাপ্তবয়স্কদের বয়সজনিত স্মৃতিশক্তি লোপ ঠেকাতে সাহায্য করে এই মজাদার খাবার।
তবে কিছু মানুষের দাবি, চকলেট মানুষকে অনেক বেশি মোটা করে। সুগারের পরিমাণ বেশি থাকায় ছোটদের চকলেট খাওয়া থেকে বিরত রাখতে বলেন অনেকেই। আবার লোভ জন্মালেও চকলেট খাওয়া থেকে বিরত থাকতে চান অতি সচেতন মানুষেরা।
অবশেষে অতিরিক্ত সুগার ব্যবহারের অপবাদ থেকে রক্ষা পেতে যাচ্ছে চকলেট। সুগার বিহীন ‘মেডিসিনাল’ চকলেট তৈরির কথা জানিয়েছে একটি মার্কিন চকলেট সংস্থা।
আমেরিকার বোস্টনের ওই সংস্থার দাবি, চকলেটে মিষ্টি জাতীয় কৃত্রিম উপাদানের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে শরীরের ওজন বাড়ে। চকলেটে সাধারণত ৭০ শতাংশ ফ্যাট থাকে। নতুন চকলেটে ফ্যাটের মাত্রা ৩৫ শতাংশ নামিয়ে আনা হয়েছে। এই চকলেটের মূল উপাদান ‘ক্যাকাও’।
মার্কিন চকলেট সংস্থার বিজ্ঞানীদের দাবি, এতে নানা ধরনের অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট আর মিনারেল রয়েছে; যা দেহের স্নায়ুতন্ত্রকে রক্ষা করে। সেইসঙ্গে স্ট্রোক এবং রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করবে এই ‘মেডিসিনাল’ চকলেট।
তারা জানান, ক্যাকাও খুব তেতো। তাই অধিকাংশ চকোলেট সংস্থাগুলো চকলেট মিষ্টি করতে প্রচুর পরিমাণে সুগার ব্যবহার করে। ফলে ক্যাকাওয়ের গুণ অনেকটাই নষ্ট হয়ে যায়।
মার্কিন চকলেট সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ক্যাকাওয়ের তিক্ততা দূর করতে বলিভিয়া ও পেরুতে ভেষজ ব্যবহার করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে। এর ব্যবহারে ক্যাকাওয়ের তিতকুটে ভাব দূর হয়েছে। ফলে ফ্যাটের মাত্রা অনেক কমেছে। আবার এর গুণগত মানও বজায় রয়েছে। আগামী বছরে এই চকলেট বাজারে ছাড়া হবে।
সংস্থাটির একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, চকলেট থেকে অস্বাস্থ্যকর উপাদান সরানো হলে একে ওষুধ হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে। তাই আগামীতে মেডিসিনাল চকলেটে ফ্যাট ও সুগারের মাত্রা ১০ শতাংশে নামানোর চেষ্টা করা হবে।