ঢাকা ০৫:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতকে সরকার সবসময়ই অগ্রাধিকার দিয়েছে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৫৭:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮
  • ৩৩৯ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ অনির্বাণ আগামী-এই শ্লোগানকে সামনে রেখে আজ বৃহস্পতিবার থেকে সারাদেশে শুরু হচ্ছে জাতীয় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সপ্তাহ-২০১৮।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি অপচয় রোধ করে এর যথাযথ ও সাশ্রয়ী ব্যবহার নিশ্চিত করে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে সবাইকে অবদান রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।

আওয়ামী লীগ সরকার সবসময়ই দেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতকে অগ্রাধিকার দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ ১৬০০ মেগাওয়াট থেকে ৪৩০০ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছিল। আমরাই প্রথম বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতে বেসরকারি বিনিয়োগ উন্মুক্ত করেছিলাম।

শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ সালে সরকারের দায়িত্ব নেয়ার সময় বিদ্যুতের অপর্যাপ্ততা ও লোডশেডিং-এ জনজীবন বিপর্যস্ত ছিল। এ অবস্থার উত্তরণের জন্য ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। বিগত প্রায় সাড়ে ৯ বছর সরকারি ও বেসরকারি খাতে ৯৪টি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ১৩,৮১১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে।

তিনি বলেন, বর্তমানে ১৪,১৩৪ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৫৬টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণাধীন রয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২০,০০০ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। দেশের ৯০ শতাংশ জনগোষ্ঠী বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে। ২০২১ সালের মধ্যে আমরা সকলের ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেব, ইনশাআল্লাহ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের পাশাপাশি তরল জ্বালানি, কয়লা, পারমাণবিক শক্তি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি করে চলেছে। আল্ট্রা-সুপার ক্রিটিক্যাল টেকনোলজি ব্যবহার করে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা সপ্তম পঞ্চ-বার্ষিক পরিকল্পনা এবং জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়ন করে জনগণের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করবো।

তিনি আরো বলেন, গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে চারটি নতুন গ্যাস ক্ষেত্র আবিষ্কার হয়েছে। ২০০৯ সালের জানুয়ারি মাসে গ্যাসের গড় উৎপাদন ছিল দৈনিক ১,৭৪৪ মিলিয়ন ঘনফুট, যা বর্তমানে দৈনিক ২৭৫০ মিলিয়ন ঘনফুটে উন্নীত হয়েছে। গ্যাসের ঘাটতি পূরণকল্পে ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে।

এতে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ পরিস্থিতি উন্নতি ঘটবে জানিয়ে তিনি বলেন, বিদ্যুৎ, সার-কারখানা, শিল্প, বাণিজ্যিক ও আবাসিক খাতে বর্তমানে প্রায় ৪২ লাখ গ্রাহকের নিকট গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সরকারের কার্যক্রম, সাফল্য ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা দেশবাসীর কাছে তুলে ধরা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সাশ্রয়ী ব্যবহার নিশ্চিতকরণে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি বিদ্যুৎ উৎপাদন সর্বোত্তম জ্বালানির ব্যবহার সম্পর্কে মানুষকে অবগত করার উদ্দেশ্যে ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সপ্তাহ ২০১৮’ উপলক্ষে প্রকাশনাকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ‘অনির্বাণ আগামী’ স্লোগান সফল হউক।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সপ্তাহ ২০১৮ উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন তিনি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতকে সরকার সবসময়ই অগ্রাধিকার দিয়েছে

আপডেট টাইম : ১১:৫৭:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ অনির্বাণ আগামী-এই শ্লোগানকে সামনে রেখে আজ বৃহস্পতিবার থেকে সারাদেশে শুরু হচ্ছে জাতীয় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সপ্তাহ-২০১৮।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি অপচয় রোধ করে এর যথাযথ ও সাশ্রয়ী ব্যবহার নিশ্চিত করে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে সবাইকে অবদান রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।

আওয়ামী লীগ সরকার সবসময়ই দেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতকে অগ্রাধিকার দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ ১৬০০ মেগাওয়াট থেকে ৪৩০০ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছিল। আমরাই প্রথম বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতে বেসরকারি বিনিয়োগ উন্মুক্ত করেছিলাম।

শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ সালে সরকারের দায়িত্ব নেয়ার সময় বিদ্যুতের অপর্যাপ্ততা ও লোডশেডিং-এ জনজীবন বিপর্যস্ত ছিল। এ অবস্থার উত্তরণের জন্য ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। বিগত প্রায় সাড়ে ৯ বছর সরকারি ও বেসরকারি খাতে ৯৪টি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ১৩,৮১১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে।

তিনি বলেন, বর্তমানে ১৪,১৩৪ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৫৬টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণাধীন রয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২০,০০০ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। দেশের ৯০ শতাংশ জনগোষ্ঠী বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে। ২০২১ সালের মধ্যে আমরা সকলের ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেব, ইনশাআল্লাহ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের পাশাপাশি তরল জ্বালানি, কয়লা, পারমাণবিক শক্তি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি করে চলেছে। আল্ট্রা-সুপার ক্রিটিক্যাল টেকনোলজি ব্যবহার করে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা সপ্তম পঞ্চ-বার্ষিক পরিকল্পনা এবং জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়ন করে জনগণের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করবো।

তিনি আরো বলেন, গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে চারটি নতুন গ্যাস ক্ষেত্র আবিষ্কার হয়েছে। ২০০৯ সালের জানুয়ারি মাসে গ্যাসের গড় উৎপাদন ছিল দৈনিক ১,৭৪৪ মিলিয়ন ঘনফুট, যা বর্তমানে দৈনিক ২৭৫০ মিলিয়ন ঘনফুটে উন্নীত হয়েছে। গ্যাসের ঘাটতি পূরণকল্পে ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে।

এতে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ পরিস্থিতি উন্নতি ঘটবে জানিয়ে তিনি বলেন, বিদ্যুৎ, সার-কারখানা, শিল্প, বাণিজ্যিক ও আবাসিক খাতে বর্তমানে প্রায় ৪২ লাখ গ্রাহকের নিকট গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সরকারের কার্যক্রম, সাফল্য ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা দেশবাসীর কাছে তুলে ধরা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সাশ্রয়ী ব্যবহার নিশ্চিতকরণে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি বিদ্যুৎ উৎপাদন সর্বোত্তম জ্বালানির ব্যবহার সম্পর্কে মানুষকে অবগত করার উদ্দেশ্যে ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সপ্তাহ ২০১৮’ উপলক্ষে প্রকাশনাকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ‘অনির্বাণ আগামী’ স্লোগান সফল হউক।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সপ্তাহ ২০১৮ উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন তিনি।