ঢাকা ১২:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাত পোহালেই ভোট : ফুরফুরে আরিফ, চিন্তায় কামরান

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৩১:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অগাস্ট ২০১৮
  • ৫৮১ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ৩০ জুলাই অনুষ্ঠিত সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটের পরে আবারো ভোট হচ্ছে।  নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগে স্থগিত দুই কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল। আওয়ামী লীগের প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের চেয়ে ৪ হাজার ৬২৬ ভোটে এগিয়ে থাকায় ফুরফুরে মেজাজে রয়েছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী। এদিকে, পরাজয়ের চিন্তায় আছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরান।

গত ৩০ জুলাই সিটি নির্বাচনে ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের গাজী বুরহানউদ্দিন গরম দেওয়ান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের হবিনন্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। এই দুটি কেন্দ্র থেকে ফলাফল ঘোষণা না হওয়ায় আটকে আছে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের ফল ঘোষণা।

দুই কেন্দ্রের নির্বাচনকে ঘিরে প্রচারণায় বিএনপির মেয়র প্রার্থী ও আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর বাইরে অন্য কোনও মেয়র প্রার্থীকে দেখা যায়নি। তবে এই দুজন মেয়র প্রার্থীর সঙ্গে প্রচারণায় সরব রয়েছেন কাউন্সিলর প্রার্থীরা। দিন-রাত সমানতালে প্রচারণা চালাচ্ছেন তারা। জয় ছিনিয়ে নিতে ওই দুটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীরা ভোটারদের ঘরে ঘরে যাচ্ছেন। এদিকে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ওই দুটি ওয়ার্ডে শুক্রবার বিকাল থেকেই কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস।

প্রসঙ্গত, গত ৩০ জুলাই সিলেট সিটি করপোরেশনের ১৩৪টি ভোট কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় অনিয়মের কারণে দুপুরের দিকে গাজী বুরহানউদ্দিন গরম দেওয়ান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং হবিনন্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। এরপর সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস ১৩৪টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৩২টি কেন্দ্রের ফল ঘোষণা করে। ওই ফলে বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী এগিয়ে আছেন ৪ হাজার ৬২৬ ভোটে। এরমধ্যে ১৩২টি কেন্দ্রে আরিফুল হকের প্রাপ্ত ভোট ৯০ হাজার ৪৯৬ ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের প্রাপ্ত ভোট ৮৫ হাজার ৮৭০। এদিকে স্থগিত হওয়া ওই দুটি ভোট কেন্দ্রে ভোট রয়েছে ৪ হাজার ৭৮৭।

এ ব্যাপারে সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তা আলিমুজ্জামান জানান, সিলেট সিটি করপোরেশনের স্থগিত হওয়া দুটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে শনিবার। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে যাতে ভোটাররা ভোট দিতে পারেন সেদিকে লক্ষ্য রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

এদিকে গত ৩০ জুলাই অনুষ্ঠিত সিসিক নির্বাচনে সমান সংখ্যক ভোট পাওয়া দুই নারী সংরক্ষিত ৭ নং ওয়ার্ডের (১৯, ২০ এবং ২১) কাউন্সিলর পদপ্রার্থী নাজনীন আক্তার কণা ও নার্গিস সুলতানা। জিপ গাড়ি প্রতীকে কণা পেয়েছেন ৪ হাজার ১৫৫ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী চশমা প্রতীকে নার্গিস সুলতানাও সমান সংখ্যক ভোট পেয়েছেন।

আগামীকাল সিসিকের স্থগিত দুই কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। দুই মেয়র প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী (ধানের শীষ) ও বদর উদ্দিন আহমদ কামরান (নৌকা) মার্কার চূড়ান্ত বিজয় নির্ধারণ হবে এদিন। তাদের সঙ্গে ভাগ্য নির্ধারণ হবে নার্গিস ও কণারও।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

রাত পোহালেই ভোট : ফুরফুরে আরিফ, চিন্তায় কামরান

আপডেট টাইম : ১১:৩১:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অগাস্ট ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ৩০ জুলাই অনুষ্ঠিত সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটের পরে আবারো ভোট হচ্ছে।  নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগে স্থগিত দুই কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল। আওয়ামী লীগের প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের চেয়ে ৪ হাজার ৬২৬ ভোটে এগিয়ে থাকায় ফুরফুরে মেজাজে রয়েছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী। এদিকে, পরাজয়ের চিন্তায় আছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরান।

গত ৩০ জুলাই সিটি নির্বাচনে ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের গাজী বুরহানউদ্দিন গরম দেওয়ান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের হবিনন্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। এই দুটি কেন্দ্র থেকে ফলাফল ঘোষণা না হওয়ায় আটকে আছে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের ফল ঘোষণা।

দুই কেন্দ্রের নির্বাচনকে ঘিরে প্রচারণায় বিএনপির মেয়র প্রার্থী ও আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর বাইরে অন্য কোনও মেয়র প্রার্থীকে দেখা যায়নি। তবে এই দুজন মেয়র প্রার্থীর সঙ্গে প্রচারণায় সরব রয়েছেন কাউন্সিলর প্রার্থীরা। দিন-রাত সমানতালে প্রচারণা চালাচ্ছেন তারা। জয় ছিনিয়ে নিতে ওই দুটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীরা ভোটারদের ঘরে ঘরে যাচ্ছেন। এদিকে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ওই দুটি ওয়ার্ডে শুক্রবার বিকাল থেকেই কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস।

প্রসঙ্গত, গত ৩০ জুলাই সিলেট সিটি করপোরেশনের ১৩৪টি ভোট কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় অনিয়মের কারণে দুপুরের দিকে গাজী বুরহানউদ্দিন গরম দেওয়ান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং হবিনন্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। এরপর সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস ১৩৪টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৩২টি কেন্দ্রের ফল ঘোষণা করে। ওই ফলে বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী এগিয়ে আছেন ৪ হাজার ৬২৬ ভোটে। এরমধ্যে ১৩২টি কেন্দ্রে আরিফুল হকের প্রাপ্ত ভোট ৯০ হাজার ৪৯৬ ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের প্রাপ্ত ভোট ৮৫ হাজার ৮৭০। এদিকে স্থগিত হওয়া ওই দুটি ভোট কেন্দ্রে ভোট রয়েছে ৪ হাজার ৭৮৭।

এ ব্যাপারে সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তা আলিমুজ্জামান জানান, সিলেট সিটি করপোরেশনের স্থগিত হওয়া দুটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে শনিবার। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে যাতে ভোটাররা ভোট দিতে পারেন সেদিকে লক্ষ্য রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

এদিকে গত ৩০ জুলাই অনুষ্ঠিত সিসিক নির্বাচনে সমান সংখ্যক ভোট পাওয়া দুই নারী সংরক্ষিত ৭ নং ওয়ার্ডের (১৯, ২০ এবং ২১) কাউন্সিলর পদপ্রার্থী নাজনীন আক্তার কণা ও নার্গিস সুলতানা। জিপ গাড়ি প্রতীকে কণা পেয়েছেন ৪ হাজার ১৫৫ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী চশমা প্রতীকে নার্গিস সুলতানাও সমান সংখ্যক ভোট পেয়েছেন।

আগামীকাল সিসিকের স্থগিত দুই কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। দুই মেয়র প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী (ধানের শীষ) ও বদর উদ্দিন আহমদ কামরান (নৌকা) মার্কার চূড়ান্ত বিজয় নির্ধারণ হবে এদিন। তাদের সঙ্গে ভাগ্য নির্ধারণ হবে নার্গিস ও কণারও।