হাওর বার্তা ডেস্কঃ কোনো ধরনের ঘোষণা ছাড়াই রাজধানী ঢাকার সঙ্গে সারাদেশের বাস যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কোনও বাস আন্তজেলার উদ্দেশে ঢাকা ছেড়ে যায়নি। আবার কোনও বাস রাজধানীতে প্রবেশও করেনি। অঘোষিত এই ‘বাস ধর্মঘটে’ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন দূরপাল্লার যাত্রীরা। তবে বুধবার (১ আগস্ট) রাতে ময়মনসিংহ পরিবহন মোটর মালিক সমিতি এই অঞ্চলের সব রুটের ঢাকামুখী বাস চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়।
বৃহস্পতিবার সকালে গাবতলী বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, বাস চলাচল বন্ধ রেখে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকেরা। তাদের দাবি, নিরাপত্তাহীনতার কারণে কোনো বাস চালাচ্ছেন না তারা।
এদিকে রাজধানীর আন্তজেলা বাস টার্মিনাল সায়েদাবাদ ও মহাখালী থেকে এদিন সকালে কোনও বাস ছেড়ে যায়নি। আবার কোনো বাস এসব টার্মিনালে আসেনি। এতে ঢাকা থেকে প্রায় সব সড়কপথে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নিরাপত্তাহীনতার কারণে কোনও বাস ছাড়া হয়নি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বাস চলাচল বন্ধ থাকবে।
বাস কাউন্টারগুলোতে গিয়ে জানা যায়, পরিবহন মালিক সমিতির নিষেধাজ্ঞার কারণে বাস সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকবে। তবে ভোর ৬টা পর্যন্ত বেশ কিছু বাস গাবতলী ও যাত্রাবাড়ি থেকে দূরপাল্লার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে।
এদিকে, আগাম কোনো ঘোষণা ছাড়াই বাস বন্ধ রাখার কারণে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। সরেজমিনে গাবতলী বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন জেলায় যাওয়ার জন্য অনেকে টিকিট কাউন্টারে পরিবার-পরিজন নিয়ে বসে রয়েছেন।
যাত্রীরা জানান, আগাম ঘোষণা ছাড়া বাস বন্ধ করায় তারা বিপদে পড়েছেন। এভাবে কতক্ষণ কাউন্টারে বসে থাকতে হবে তাও জানেন না কেউ।
প্রসঙ্গত, গত রোববার (২৯ জুলাই) রাজধানীর কুর্মিটোলার বিমানবন্দর সড়কে জাবালে নূর পরিবহনের বাসের চাপায় দুই কলেজ শিক্ষার্থী নিহত হয়। এ ঘটনায় আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন। নিহত শিক্ষার্থীরা হলো শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী দিয়া খানম মিম ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আবদুল করিম রাজীব।
এ ঘটনার প্রতিবাদে টানা চার দিন সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। আজ সারাদেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করবে তারা। যদিও উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আজ সারাদেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।