হাওর বার্তা ডেস্কঃ কুমিল্লার হত্যা ও নড়াইলের মানহানী মামলায় জামিন চেয়ে খালেদা জিয়ার আবেদনের বিষয়ে হাইকোর্টে শুনানি চলছে। গত বৃহস্পতিবার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের বেঞ্চে কুমিল্লার নাশকতার মামলার শুনানি শেষ হয়। পরে এ দুই মামলায় শুনানির জন্য আদালত আজকের দিন ধার্য করেন। তার আগে ২০ মে কুমিল্লা ও নড়াইলের তিন মামলায় জামিন চেয়ে খালেদা জিয়া জামিন আবেদন করেন।
কুমিল্লায় হত্যা মামলা ২০১৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে একটি বাসে প্রেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করা হয়। এই ঘটনায় ৭ জন যাত্রী মারা যায় এবং আরো ২৫/২৬ জন গুরুতর আহত হয়। এ ঘটনায় পরদিন চৌদ্দগ্রাম থানায় এসআই নুরুজ্জামান হাওলাদার বাদী হয়ে ৫৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। গত ৫ এপ্রিল এ মামলায় খালেদা জিয়াকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়। আর ২৩ এপ্রিল খালেদা জিয়া জামিন চেয়ে আবেদন করেন। সেই জামিন আবেদনের পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ৭ জুন দিন ধার্য রেখেছেন আদালত। যদিও এ মামলায় একবার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
এই মামলায় জামিন আবেদনের যুক্তিতে বলা হয়, মামলার ৩ জন আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। কিন্তু কেউ জবানবন্দিতে খালেদা জিয়ার নাম উল্লেখ করেননি। এফআইআরএ খালেদা জিয়ার নাম নেই।
নড়াইলে মানহানি মামলা ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন খালেদা জিয়া। এ ঘটনায় একই বছরের ২৪ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নড়াইলে মানহানির মামলা করা হয়। স্থানীয় এক মুক্তিযোদ্ধার সন্তান রায়হান ফারুকি ইমাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি বর্তমানে নড়াইলের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচারাধীন। গত ১৬ এপ্রিল এ মামলায় জামিন আবেদন করেন খালেদা জিয়া। তবে আদালত আগামী ২৫ মে আসামির উপস্থিতিতে এ বিষয়ে শুনানির জন্য রাখা হয়।