হাওর বার্তা ডেস্কঃ আমরা সবাই বেঁচে থাকার তাগিদে পেশাগত জীবনে কিছু না কিছু করতে হয় বা করতে হবে। এটি হতে পারে চাকরি, ব্যবসা বা অন্য যেকোন পেশা। কিন্তু এই পেশাগত জীবনে অতিবাহিত করার সময় প্রায় আমরা লক্ষ্য করি নিজের শরীরের দিকে অনেকে নজর দেই না। সবাই কিসের দিকে ছুটছি, যারা জন্য (শরীর) এতো সময় ব্যয়, টাকা–পয়সা, সেটি যদি সুস্থ না থাকে তবে সবকিছু অসার।
আমরা যাই কিছু করি না কেন অন্ততপক্ষে তার জন্য সামান্যটুকু সময় ব্যয় করি নিজের শরীরটার জন্য। আমরা আসলে কাজ ও টাকার পেছনে দৌঁড়াতে গিয়ে স্বাস্থ্য হারায়, যখন টাকা উপার্জন করা হয়ে যায় তখন আবার সেই স্বাস্থ্য ফিরে পেতে সারা জীবনের উপার্জিত টাকা চিকিৎসার পেছনে খরচ করি। কথায় আছে ‘দেহ পট সনে নট’ সকলই হারায়।
কিছুদিন আগে আমি মুরাদপুরের একটি প্রাইভেট ব্যাংকে যাই, কিছুক্ষণ বসার পর আমার বন্ধুর সাথে ব্যাংকে একাউন্ট ওপেন করার ব্যাপারে কথা বলা শেষ না করতেই তাঁর ঘাড় ব্যথার কথা, তাঁর ঘাড় ব্যথার কথা অনেকদিন ধরে শুনে আসছি। সে ঘাড় ব্যথার চিকিৎসার জন্য অনেক টাকা খরচ করেছে।
বিভিন্ন ব্যথার ঔষধ খাবার পর ব্যথা কমলেও আবার কিছুদিন পর দেখা দেয়। তাকে আমি অনেক উপদেশ দেবার পরও সে কর্ণপাত করেনি। এই সময় শুনতে পাই তাদের ব্রাঞ্চে অনেকে (পুরুষ–মহিলা) কোমর ও ঘাড় ব্যথায় কষ্ট পাচ্ছেন। সবাই একনাগাড়ে বসে থাকার কারণে এধরনের ব্যথার উৎপত্তি। এধরনের ব্যথা সাধারণত বেশিরভাগ হয়ে থাকে প্রোচার (চেয়ারে বসে থাকা ও কমপিউটার ডেক্স ব্যবহার) গত কারণে।
এই ধরনের ব্যথা যে শুধুমাত্র এ অফিসে কর্মীরা ভুগেন তা কিন্তু নয়, প্রায় সকলেই যারা বসে বা দাঁড়িয়ে কাজ করেন তাঁদের মধ্যে ব্যথার উপলব্ধি আছে। উন্নত বিশ্বের ন্যায় কোমর ব্যথা নিয়ে বর্তমানে আমাদের দেশে প্রায় ৮০% পুরুষ–মহিলা কষ্ট পাচ্ছেন। তবে বেশিরভাগ রোগীর ক্ষেত্রে ব্যয়বহুল পরীক্ষা–নিরীক্ষার পরও উল্লেখযোগ্য কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না বা চিকিৎসা নেওয়ার পরও তেমন কোনো ফল হয় না। আমরা যদি একটু সচেতন হয় তবে এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে পারি চিরদিনের জন্য। (সংগৃহীত)