ঢাকা ০২:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কিশোরগঞ্জে ভৈরবের কৃতি সন্তান রাকিব মোসাব্বির সংগীতের জন্য ঘর ছাড়া

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:৩৯:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ মে ২০১৮
  • ৫৩৪ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কিশোরগঞ্জের ভৈরবের উচ্চ সম্ভ্রান্ত হাজী মুসলিম পরিবারে জন্ম তার। ২০০৫ সালে পরিবারের অমতেই সংগীত নিয়ে পথ চলা শুরু করেন। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পড়াশোনা শেষ করে “পুপলার মিউজিক থিওরি” ও “পিয়ানো স্টাফ নোটেশন” এর উপর সংগীত নিয়ে পড়াশোনা করেন ঢাকার বেসরকারি একটি মিউজিক ইনিস্টিটিউটে।

পরিবারের অবাধ্য ছেলেটি এক সময় সংগীত জগতকে আপন করে নেন। ২০০৭ সালে মুক্তি পায় তার প্রথম অ্যালবাম “যারে আমার মন”। মিডিয়া বিমুখ এ সংগীতকার এর প্রথম গান, প্রথম অ্যালবামেই বাজিমাত করে শ্রোতার হৃদয়। তখন মিডিয়া কভারেজ না পেলেও বাংলাদেশের প্রকৃত গানের শ্রোতাদের মনে ঠিকই জায়গা করে নেয় সংগীতের জন্য ঘর ছাড়া পাগলাটে ছেলেটি।

এরপর একাধিক ব্যবসা সফল গান ও অ্যালবাম দিয়ে ধীরে ধীরে আলোচনায় আশা শুরু করেন তিনি। “যারে আমার মন” এর পর তার শ্রোতাপ্রিয়তা ও ব্যবসাসফল গানের সংখ্যা অসংখ্য।

নতুন প্রজন্মের মধ্যে যাদের গানের অডিও ভার্সনও শ্রোতাপ্রিয় হয়, তাদের মধ্যে এই ছেলেটির সংগীত অন্যতম। ছেলেটি একই সাথে বাংলাদেশ ও ভারতের কলকাতা ও মোম্বাইয়ের আর্টিস্টদের নিয়ে কাজ করেছেন। তার সংগীতে গান গেয়েছেন বাংলাদেশের প্রায় অর্ধশতক জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পীরা।

তার গান লিখেছেন বাংলাদেশের অনেক জনপ্রিয় গীতিকাররা। তার সংগীতে গান গেয়ে কিংবা তার সাথে কাজ করে অনেক শিল্পী, গীতিকার, সুরকার, ডিরেক্টর পেয়েছেন মিডিয়া ফ্রেম।

ইতিমধ্যে ছেলেটি প্রতিষ্ঠিত করেছেন একাধিক মিডিয়া প্রতিষ্ঠান, যার মধ্যে রয়েছে অডিও-ভিডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান, ফিল্ম প্রডাকশন এবং মালিকানায় আছে একাধিক সংবাদপত্র।

তাছাড়া তার মুক্তিপ্রাপ্ত গানের সংখ্যা ৩০০ এর মত। তিনি কাজ করেছেন জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকাকালীন ৫ অডিও প্রযোজনা সংস্থা- লেজার ভিশন, গানচিল, সিডি চয়েজ মিউজিক, সাউন্ডটেক, সিডি চয়েজ।

এছাড়া বাংলাদেশের অনেক টেলি কন্টেইন প্রভাইডারের কোম্পানীর সাথে রয়েছে তার গানের শেয়ার পার্টনার।

যে ছেলেটির কথা এখানে বলা হচ্ছে তাকে তার কাছের অনেকেই মিডিয়ার “অন ম্যান আর্মি”, অনেকে আবার তাকে সংগীত “সাইলেন্ট হিটার”, ক্ষেত্র বিশেষে অনেকে “ম্যাজিক স্টোন”ও বলেন। যার এক অঙ্গে বহুরুপ বলে অনেকে মজা নেন। যিনি একাধারে একজন- কণ্ঠশিল্পী, সুরকার, গীতিকার, সংগীত-পরিচালক, সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার, মিউজিসিয়ান, মিউজিক কম্পোজার, সফটওয়্যার প্রোগ্রামার, ভিডিও এডিটর, ভিজ্যুয়াল কালার ডিজাইনার, ভিএফএক্স মেকার, সিনেফটোগ্রাফার, মডেল, কলামিস্ট, লেখক, প্রযোজক, নির্মাতা ও প্রতিষ্ঠাতা। তিনিই  রাকিব_মোসাব্বির!

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

কিশোরগঞ্জে ভৈরবের কৃতি সন্তান রাকিব মোসাব্বির সংগীতের জন্য ঘর ছাড়া

আপডেট টাইম : ০৬:৩৯:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ মে ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কিশোরগঞ্জের ভৈরবের উচ্চ সম্ভ্রান্ত হাজী মুসলিম পরিবারে জন্ম তার। ২০০৫ সালে পরিবারের অমতেই সংগীত নিয়ে পথ চলা শুরু করেন। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পড়াশোনা শেষ করে “পুপলার মিউজিক থিওরি” ও “পিয়ানো স্টাফ নোটেশন” এর উপর সংগীত নিয়ে পড়াশোনা করেন ঢাকার বেসরকারি একটি মিউজিক ইনিস্টিটিউটে।

পরিবারের অবাধ্য ছেলেটি এক সময় সংগীত জগতকে আপন করে নেন। ২০০৭ সালে মুক্তি পায় তার প্রথম অ্যালবাম “যারে আমার মন”। মিডিয়া বিমুখ এ সংগীতকার এর প্রথম গান, প্রথম অ্যালবামেই বাজিমাত করে শ্রোতার হৃদয়। তখন মিডিয়া কভারেজ না পেলেও বাংলাদেশের প্রকৃত গানের শ্রোতাদের মনে ঠিকই জায়গা করে নেয় সংগীতের জন্য ঘর ছাড়া পাগলাটে ছেলেটি।

এরপর একাধিক ব্যবসা সফল গান ও অ্যালবাম দিয়ে ধীরে ধীরে আলোচনায় আশা শুরু করেন তিনি। “যারে আমার মন” এর পর তার শ্রোতাপ্রিয়তা ও ব্যবসাসফল গানের সংখ্যা অসংখ্য।

নতুন প্রজন্মের মধ্যে যাদের গানের অডিও ভার্সনও শ্রোতাপ্রিয় হয়, তাদের মধ্যে এই ছেলেটির সংগীত অন্যতম। ছেলেটি একই সাথে বাংলাদেশ ও ভারতের কলকাতা ও মোম্বাইয়ের আর্টিস্টদের নিয়ে কাজ করেছেন। তার সংগীতে গান গেয়েছেন বাংলাদেশের প্রায় অর্ধশতক জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পীরা।

তার গান লিখেছেন বাংলাদেশের অনেক জনপ্রিয় গীতিকাররা। তার সংগীতে গান গেয়ে কিংবা তার সাথে কাজ করে অনেক শিল্পী, গীতিকার, সুরকার, ডিরেক্টর পেয়েছেন মিডিয়া ফ্রেম।

ইতিমধ্যে ছেলেটি প্রতিষ্ঠিত করেছেন একাধিক মিডিয়া প্রতিষ্ঠান, যার মধ্যে রয়েছে অডিও-ভিডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান, ফিল্ম প্রডাকশন এবং মালিকানায় আছে একাধিক সংবাদপত্র।

তাছাড়া তার মুক্তিপ্রাপ্ত গানের সংখ্যা ৩০০ এর মত। তিনি কাজ করেছেন জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকাকালীন ৫ অডিও প্রযোজনা সংস্থা- লেজার ভিশন, গানচিল, সিডি চয়েজ মিউজিক, সাউন্ডটেক, সিডি চয়েজ।

এছাড়া বাংলাদেশের অনেক টেলি কন্টেইন প্রভাইডারের কোম্পানীর সাথে রয়েছে তার গানের শেয়ার পার্টনার।

যে ছেলেটির কথা এখানে বলা হচ্ছে তাকে তার কাছের অনেকেই মিডিয়ার “অন ম্যান আর্মি”, অনেকে আবার তাকে সংগীত “সাইলেন্ট হিটার”, ক্ষেত্র বিশেষে অনেকে “ম্যাজিক স্টোন”ও বলেন। যার এক অঙ্গে বহুরুপ বলে অনেকে মজা নেন। যিনি একাধারে একজন- কণ্ঠশিল্পী, সুরকার, গীতিকার, সংগীত-পরিচালক, সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার, মিউজিসিয়ান, মিউজিক কম্পোজার, সফটওয়্যার প্রোগ্রামার, ভিডিও এডিটর, ভিজ্যুয়াল কালার ডিজাইনার, ভিএফএক্স মেকার, সিনেফটোগ্রাফার, মডেল, কলামিস্ট, লেখক, প্রযোজক, নির্মাতা ও প্রতিষ্ঠাতা। তিনিই  রাকিব_মোসাব্বির!