ঢাকা ০৭:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এফডিসি’র নতুন উদ্যোগ, থাকছে শর্তও

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:১১:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫
  • ৪ বার

এফডিসতে শুটিং ফ্লোরের ভাড়া, ক্যামেরা, লাইট, সম্পাদনা ও কালার গ্রেডিংয়ের খরচ বেশি- বরাবরই এমন অভিযোগ করে আসছিলেন নির্মাতারা। এর চেয়ে তুলনামূলক কম খরচ ও বেশি সুবিধা তারা পেয়ে থাকেন এফডিসির বাইরের শুটিং হাউজগুলোতে।

তাই নির্মাতাদের আকৃষ্ট করতে এফডিসির শুটিং খরচ কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পরীক্ষামূলকভাবে ৬ মাসের জন্য শুটিং যন্ত্রপাতি ও ফ্লোর ভাড়ার হার পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। এফডিসির পরিচালক (প্রকল্প) মো. রেজাউল হকের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ১ ও ৬ নম্বর ফ্লোর সেট নির্মাণ ও শুটিংকালীন ভাড়া ছিল যথাক্রমে ২৫৫০ ও ৬৫০০ টাকা। নতুন বিজ্ঞপ্তির ফলে তা কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ২০০০ ও ৫০০০ টাকা। ২ নম্বর ফ্লোর (এসি ছাড়া) সেট নির্মাণ ও শুটিংকালীন ভাড়া ছিল যথাক্রমে ৫১০০ ও ১৩০০ টাকা। নতুন বিজ্ঞপ্তিতে এটি কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৪০০০ ও ৯০০০ টাকা। ২ নম্বর ফ্লোর (এসিসহ) সেট নির্মাণ ও শুটিংকালীন ভাড়া ছিল যথাক্রমে ৫১০০ ও ১৮৫৪০ টাকা। নতুন বিজ্ঞপ্তির ফলে এটি দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৪০০০ ও ১১৫০০ টাকা।

তথ্য অনুযায়ী, সেট নির্মাণের সময়ে এফডিসির খালি জায়গা, ছাদ ও সুইমিংপুলের ভাড়া ছিল ১০০০ থেকে ৩০০০ টাকা; যা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। ইনডোরে রেড ড্রাগন ক্যামেরার শুটিং ভাড়া ছিল প্রতি শিফট ৬, ১২০ টাকা। এখন সেটি করা হয়েছে ৩০০০ টাকা। একই ক্যামেরায় আউটডোরে শুটিংয়ে আগে ছিল ৬৬৩০ টাকা। এখন সেটি ৩৫০০ টাকা। একই ক্যামেরায় দেশের বাইরে শুটিং করতে আগে লাগত ১৯,৫০০ টাকা, এখন সেটি কমিয়ে ১০০০০ টাকা করা হয়েছে।

সনি ক্যামেরায় ইনডোরে আগের শুটিং ভাড়া ছিল ৫,১০০ টাকা, এখন ২,০০০। একই ক্যামেরায় আউটডোরে শুটিং ভাড়া ছিল ৫,৬১০ টাকা; এখন ২,৫০০ টাকা। এ ছাড়াও দেশের বাইরে এ ক্যামেরায় শুটিং প্রতিদিন গুনতে হতো ১৬,৫০০ টাকা। এখন ১০ হাজার টাকা।

সনি ক্যামেরায় ইনডোরে আগের শুটিং ভাড়া ছিল ৫,১০০ টাকা এখন সেটা করা হয়েছে ২,০০০ টাকা। একই ক্যামেরায় আউটডোরে শুটিং ভাড়া ছিল ৫,৬১০ টাকা। এখনে সেটা করা হয়েছে ২,৫০০টা। এ ছাড়াও দেশের বাইরে এই ক্যামেরায় শুটিং প্রতিদিন গুণতে হতো ১৬,৫০০ টাকা। এখন সেটা হয়েছে ১০ হাজার টাকা।

ডিজিটাল সম্পাদনা মেশিন চার্জ (প্রতি শিফট) আগে ছিল ২১০০ টাকা। এখন সেটা ১,৫০০ টাকা। ডিজিটাল কালার গ্রেডিং (প্রতিশিফট) আগে ছিল ৩,১৫০ টাকা। এখন সেটা কমিয়ে হয়েছে ২,৫০০ টাকা। এছাড়াও শুটিংয়ের নানা যন্ত্রাংশের ভাড়া কমানোর পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা দাতব্য প্রতিষ্ঠানের শুটিংয়ে সর্বোচ্চ ২০% ভাড়া ছাড় দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে বিজ্ঞাপ্তিতে।

এ বিজ্ঞপ্তিতে বেশ কিছু শর্ত জুড়েও দেওয়া হয়েছে-

* কোনো যন্ত্রপাতি এফডিসি ব্যতীত অন্যকোনো উৎস থেকে এনে ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে এবং সে ক্ষেত্রে শিফট ভিত্তিক বিদ্যুৎ বিল প্রযোজ্য হবে।

* শুটিং স্পটে বা শুটিংয়ের ক্ষেত্রে কোনো ল্যাম্প বা বাল্ব ফেটে গেলে/ হারানো গেলে সংশ্লিষ্ট নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের নিকট থেকে আদায় যোগ্য, তবে ফিউজ হলে যৌক্তিকতা নির্ণয় সাপেক্ষে বিলের বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।

* সকল প্রকার ভাড়া/বরাদ্দ শিডিউলের মাধ্যমে প্রদান করা হবে।

* প্রচলিত অন্যান্য নিয়মকানুন অপরিবর্তিত থাকবে।

* শুটিং ও পিকনিক ব্যতীত পর্যটকগণ কক্ষ ব্যবহার করলে শুটিংয়ের নির্ধারিত রেট প্রযোজ্য হবে।

* যে সকল যন্ত্রপাতি/যন্ত্রাংশের সেবার হার এ রেট কার্ডে অন্তর্ভুক্ত হয়নি তা পূর্বের ন্যায় বহাল থাকবে।

* বিএফডিসির বাইরে নির্মিত চলচ্চিত্রের অনাপত্তি গ্রহণের ক্ষেত্রে বিএফডিসি বরাবর ২০,০০০/- টাকা অনাপত্তি ফি জমা দিতে হবে।

* করপোরেশনের ফ্লোর, চত্ত্বর, বিভিন্ন কক্ষ, স্টোর রুম, মেকআপ রুমসহ স্থাবর স্থানে বা কোনো শুটিং স্পটে শুটিং ও সেট নির্মাণ করলে উক্ত স্পটের ভাড়া সার্ভিস চার্জের আওতায় থাকবে। ক্যামেরা এবং অন্যান্য যন্ত্রপাতি, যন্ত্রাংশ, গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি সার্ভিস চার্জের আওতার বহির্ভূত থাকবে

* সরকারি বিধিমালা মোতাবেক ভ্যাটসহ অন্যান্য কর্তন প্রযোজ্য হবে।

* সেবার হার পুনর্নির্ধারণ, পুনর্মূল্যায়ন, সংযোজন, পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা যেকোনো ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা বিএফডিসি কর্তৃপক্ষ সংরক্ষণ করেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

এফডিসি’র নতুন উদ্যোগ, থাকছে শর্তও

আপডেট টাইম : ০৬:১১:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫

এফডিসতে শুটিং ফ্লোরের ভাড়া, ক্যামেরা, লাইট, সম্পাদনা ও কালার গ্রেডিংয়ের খরচ বেশি- বরাবরই এমন অভিযোগ করে আসছিলেন নির্মাতারা। এর চেয়ে তুলনামূলক কম খরচ ও বেশি সুবিধা তারা পেয়ে থাকেন এফডিসির বাইরের শুটিং হাউজগুলোতে।

তাই নির্মাতাদের আকৃষ্ট করতে এফডিসির শুটিং খরচ কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পরীক্ষামূলকভাবে ৬ মাসের জন্য শুটিং যন্ত্রপাতি ও ফ্লোর ভাড়ার হার পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। এফডিসির পরিচালক (প্রকল্প) মো. রেজাউল হকের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ১ ও ৬ নম্বর ফ্লোর সেট নির্মাণ ও শুটিংকালীন ভাড়া ছিল যথাক্রমে ২৫৫০ ও ৬৫০০ টাকা। নতুন বিজ্ঞপ্তির ফলে তা কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ২০০০ ও ৫০০০ টাকা। ২ নম্বর ফ্লোর (এসি ছাড়া) সেট নির্মাণ ও শুটিংকালীন ভাড়া ছিল যথাক্রমে ৫১০০ ও ১৩০০ টাকা। নতুন বিজ্ঞপ্তিতে এটি কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৪০০০ ও ৯০০০ টাকা। ২ নম্বর ফ্লোর (এসিসহ) সেট নির্মাণ ও শুটিংকালীন ভাড়া ছিল যথাক্রমে ৫১০০ ও ১৮৫৪০ টাকা। নতুন বিজ্ঞপ্তির ফলে এটি দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৪০০০ ও ১১৫০০ টাকা।

তথ্য অনুযায়ী, সেট নির্মাণের সময়ে এফডিসির খালি জায়গা, ছাদ ও সুইমিংপুলের ভাড়া ছিল ১০০০ থেকে ৩০০০ টাকা; যা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। ইনডোরে রেড ড্রাগন ক্যামেরার শুটিং ভাড়া ছিল প্রতি শিফট ৬, ১২০ টাকা। এখন সেটি করা হয়েছে ৩০০০ টাকা। একই ক্যামেরায় আউটডোরে শুটিংয়ে আগে ছিল ৬৬৩০ টাকা। এখন সেটি ৩৫০০ টাকা। একই ক্যামেরায় দেশের বাইরে শুটিং করতে আগে লাগত ১৯,৫০০ টাকা, এখন সেটি কমিয়ে ১০০০০ টাকা করা হয়েছে।

সনি ক্যামেরায় ইনডোরে আগের শুটিং ভাড়া ছিল ৫,১০০ টাকা, এখন ২,০০০। একই ক্যামেরায় আউটডোরে শুটিং ভাড়া ছিল ৫,৬১০ টাকা; এখন ২,৫০০ টাকা। এ ছাড়াও দেশের বাইরে এ ক্যামেরায় শুটিং প্রতিদিন গুনতে হতো ১৬,৫০০ টাকা। এখন ১০ হাজার টাকা।

সনি ক্যামেরায় ইনডোরে আগের শুটিং ভাড়া ছিল ৫,১০০ টাকা এখন সেটা করা হয়েছে ২,০০০ টাকা। একই ক্যামেরায় আউটডোরে শুটিং ভাড়া ছিল ৫,৬১০ টাকা। এখনে সেটা করা হয়েছে ২,৫০০টা। এ ছাড়াও দেশের বাইরে এই ক্যামেরায় শুটিং প্রতিদিন গুণতে হতো ১৬,৫০০ টাকা। এখন সেটা হয়েছে ১০ হাজার টাকা।

ডিজিটাল সম্পাদনা মেশিন চার্জ (প্রতি শিফট) আগে ছিল ২১০০ টাকা। এখন সেটা ১,৫০০ টাকা। ডিজিটাল কালার গ্রেডিং (প্রতিশিফট) আগে ছিল ৩,১৫০ টাকা। এখন সেটা কমিয়ে হয়েছে ২,৫০০ টাকা। এছাড়াও শুটিংয়ের নানা যন্ত্রাংশের ভাড়া কমানোর পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা দাতব্য প্রতিষ্ঠানের শুটিংয়ে সর্বোচ্চ ২০% ভাড়া ছাড় দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে বিজ্ঞাপ্তিতে।

এ বিজ্ঞপ্তিতে বেশ কিছু শর্ত জুড়েও দেওয়া হয়েছে-

* কোনো যন্ত্রপাতি এফডিসি ব্যতীত অন্যকোনো উৎস থেকে এনে ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে এবং সে ক্ষেত্রে শিফট ভিত্তিক বিদ্যুৎ বিল প্রযোজ্য হবে।

* শুটিং স্পটে বা শুটিংয়ের ক্ষেত্রে কোনো ল্যাম্প বা বাল্ব ফেটে গেলে/ হারানো গেলে সংশ্লিষ্ট নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের নিকট থেকে আদায় যোগ্য, তবে ফিউজ হলে যৌক্তিকতা নির্ণয় সাপেক্ষে বিলের বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।

* সকল প্রকার ভাড়া/বরাদ্দ শিডিউলের মাধ্যমে প্রদান করা হবে।

* প্রচলিত অন্যান্য নিয়মকানুন অপরিবর্তিত থাকবে।

* শুটিং ও পিকনিক ব্যতীত পর্যটকগণ কক্ষ ব্যবহার করলে শুটিংয়ের নির্ধারিত রেট প্রযোজ্য হবে।

* যে সকল যন্ত্রপাতি/যন্ত্রাংশের সেবার হার এ রেট কার্ডে অন্তর্ভুক্ত হয়নি তা পূর্বের ন্যায় বহাল থাকবে।

* বিএফডিসির বাইরে নির্মিত চলচ্চিত্রের অনাপত্তি গ্রহণের ক্ষেত্রে বিএফডিসি বরাবর ২০,০০০/- টাকা অনাপত্তি ফি জমা দিতে হবে।

* করপোরেশনের ফ্লোর, চত্ত্বর, বিভিন্ন কক্ষ, স্টোর রুম, মেকআপ রুমসহ স্থাবর স্থানে বা কোনো শুটিং স্পটে শুটিং ও সেট নির্মাণ করলে উক্ত স্পটের ভাড়া সার্ভিস চার্জের আওতায় থাকবে। ক্যামেরা এবং অন্যান্য যন্ত্রপাতি, যন্ত্রাংশ, গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি সার্ভিস চার্জের আওতার বহির্ভূত থাকবে

* সরকারি বিধিমালা মোতাবেক ভ্যাটসহ অন্যান্য কর্তন প্রযোজ্য হবে।

* সেবার হার পুনর্নির্ধারণ, পুনর্মূল্যায়ন, সংযোজন, পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা যেকোনো ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা বিএফডিসি কর্তৃপক্ষ সংরক্ষণ করেন।