ঢাকা ০৮:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মৃত্যুর সময় কালেমা বঞ্চিত হয় যারা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৩:১৪:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ এপ্রিল ২০১৮
  • ৩২৬ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কালেমার অবিচলতা থেকে রঞ্চিত হয়। ঈমানহীন হওয়ার কারণে তারা কালেমা উচ্চারণ করতে পারে না। এটা সমাপ্তিকাল মন্দ হওয়ার নির্দশন।

কারণ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যার শেষ বাক্য হবে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু’ সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।’ (আবু দাউদ)

সত্যবাদী মুমিন ব্যক্তি ব্যতিত কেউই মৃত্যুর সময় তাওহিদের কালেমা উচ্চারণ করতে পারবে না। বিশেষ করে দুনিয়ার জীবনে যারা যে কাজে ব্যস্ত থাকবে। পরকালের মৃত্যুর সময়ও তারা সে সব কথা ও চিন্তা নিয়েই ব্যস্ত থাকবে। কালেমা পড়ার নসিব হবে না।

মৃত্যুর সময় মন্দ হওয়ার নিদর্শন-
>> মৃত্যুর সময় যখন কাউকে বলা হবে, আপনি ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ পড়ুন, তখন সে তা না পড়ে তার ডানে-বামে মাথা ঘুরিয়ে নেবে;
>> অন্য একজন মৃত্যুর সময় বলবে এ কাপড়টা খুব ভালো। এটা সস্তায় কেনা হয়েছে;
>> কেউ কেউ দাবা খেলার ঘুটির নাম উচ্চারণ করবে;
>> কেউ কেউ মনে মনে গুণ গুনাবে বা কবিতা আবৃত্তির প্রলাপ বকবে কিংবা বার বার প্রেমিকার কথা বলবে;

এ সব অনর্থক কথাবার্তা বলার কারণ-
মৃত্যুর আগে দুনিয়ার অনৈতিক ব্যস্ততা ও রং-তামাশায় নিজেদেরকে নিয়োজিত রাখার কারণেই মৃত্যুর সময় তারা এ সব প্রলাপ বকতে থাকবে। দুনিয়াতে যে সব জিনিস বা কাজের কারণে আল্লাহর জিকির ও ইবাদত থেকে মানুষ গাফেল ছিল; মৃত্যুর সময় সে সব জিনিস তাদের সামনে ও মনে অবস্থান নিবে।

আর এসব মানুষই তাদের কৃতকর্মের জন্য মৃত্যুর সময় কালেমা থেকে বঞ্চিত হবে। মৃত্যুর সময় হলে তাদের চেহারা কালো মলিন হয়ে যাবে। তাদের থেকে দুর্গন্ধ বের হবে। তাদের আত্মা বের হওয়ার সময় তারা ক্বিবলা বিমুখ হবে।

সুতরাং মানুষের উচিত নিজেদেরকে দুনিয়ার যাবতীয় অন্যায় ও মন্দ কাজ থেকে হেফাজত করুন। ‘লা হাউলা ওয়া লা কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ।’ অর্থাৎ আল্লাহর (রহমত ও সাহায্য) ব্যতিত ভালো কাজ করার এবং মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকার কারো কোনো সাধ্য নেই।’

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে ভালো কাজ করে মৃত্যুর সময় কলেমা লাভের জন্য অবিচল ও অটল থাকার তাওফিক দান করুন। অন্যায় ও মন্দ কাজ থেকে ফিরে থাকার তাওফিক দান করুন। পরকালের চিরস্থায়ী জীবনের সফলতা দান করুন। আমিন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

মৃত্যুর সময় কালেমা বঞ্চিত হয় যারা

আপডেট টাইম : ০৩:১৪:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ এপ্রিল ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কালেমার অবিচলতা থেকে রঞ্চিত হয়। ঈমানহীন হওয়ার কারণে তারা কালেমা উচ্চারণ করতে পারে না। এটা সমাপ্তিকাল মন্দ হওয়ার নির্দশন।

কারণ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যার শেষ বাক্য হবে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু’ সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।’ (আবু দাউদ)

সত্যবাদী মুমিন ব্যক্তি ব্যতিত কেউই মৃত্যুর সময় তাওহিদের কালেমা উচ্চারণ করতে পারবে না। বিশেষ করে দুনিয়ার জীবনে যারা যে কাজে ব্যস্ত থাকবে। পরকালের মৃত্যুর সময়ও তারা সে সব কথা ও চিন্তা নিয়েই ব্যস্ত থাকবে। কালেমা পড়ার নসিব হবে না।

মৃত্যুর সময় মন্দ হওয়ার নিদর্শন-
>> মৃত্যুর সময় যখন কাউকে বলা হবে, আপনি ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ পড়ুন, তখন সে তা না পড়ে তার ডানে-বামে মাথা ঘুরিয়ে নেবে;
>> অন্য একজন মৃত্যুর সময় বলবে এ কাপড়টা খুব ভালো। এটা সস্তায় কেনা হয়েছে;
>> কেউ কেউ দাবা খেলার ঘুটির নাম উচ্চারণ করবে;
>> কেউ কেউ মনে মনে গুণ গুনাবে বা কবিতা আবৃত্তির প্রলাপ বকবে কিংবা বার বার প্রেমিকার কথা বলবে;

এ সব অনর্থক কথাবার্তা বলার কারণ-
মৃত্যুর আগে দুনিয়ার অনৈতিক ব্যস্ততা ও রং-তামাশায় নিজেদেরকে নিয়োজিত রাখার কারণেই মৃত্যুর সময় তারা এ সব প্রলাপ বকতে থাকবে। দুনিয়াতে যে সব জিনিস বা কাজের কারণে আল্লাহর জিকির ও ইবাদত থেকে মানুষ গাফেল ছিল; মৃত্যুর সময় সে সব জিনিস তাদের সামনে ও মনে অবস্থান নিবে।

আর এসব মানুষই তাদের কৃতকর্মের জন্য মৃত্যুর সময় কালেমা থেকে বঞ্চিত হবে। মৃত্যুর সময় হলে তাদের চেহারা কালো মলিন হয়ে যাবে। তাদের থেকে দুর্গন্ধ বের হবে। তাদের আত্মা বের হওয়ার সময় তারা ক্বিবলা বিমুখ হবে।

সুতরাং মানুষের উচিত নিজেদেরকে দুনিয়ার যাবতীয় অন্যায় ও মন্দ কাজ থেকে হেফাজত করুন। ‘লা হাউলা ওয়া লা কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ।’ অর্থাৎ আল্লাহর (রহমত ও সাহায্য) ব্যতিত ভালো কাজ করার এবং মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকার কারো কোনো সাধ্য নেই।’

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে ভালো কাজ করে মৃত্যুর সময় কলেমা লাভের জন্য অবিচল ও অটল থাকার তাওফিক দান করুন। অন্যায় ও মন্দ কাজ থেকে ফিরে থাকার তাওফিক দান করুন। পরকালের চিরস্থায়ী জীবনের সফলতা দান করুন। আমিন।