ঢাকা ০২:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কিশোরগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও নেত্রকোনা বৃহত্তর হাওরাঞ্চলের বাঁকে কান্না

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৫৩:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫
  • ৩২৭ বার

সরেজমিনে হাওরবেষ্টিত চার জেলা সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জ ঘুরে এমন প্রশ্ন শুনেছেন এ প্রতিবেদক।পানির জন্য হাওরের খ্যাতি। কিন্তু সেই পানির দেশে এখন পানির অভাব শুরু হয়েছে। বোরো আবাদ মৌসুমে জমিতে সেচ দেওয়া যায় না। অথচ হাওরে বছরে ওই একটিই ফসল। এই বোরো ধান খেয়ে বেঁচে থাকে হাওরবাসী। আবার এই ধান বেচেই অন্য খরচ জোগাতে হয়। এমনিতে ধানের বাজার পড়তি, এখন যদি পানিও না মেলে তবে হাওরের কৃষক-জেলেরা করবে কী?
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রায় ৫৭টি উপজেলা নিয়ে হাওরাঞ্চল। এর মধ্যে প্রায় ৩৩টি উপজেলা পড়েছে প্রত্যন্ত হাওরে। অন্যগুলো আংশিক হাওরে। প্রায় ২০ লাখ হেক্টর আয়তনের এ অঞ্চলে প্রায় দুই কোটি মানুষের বসবাস। নিম্ন সমতল ভূমিবিশিষ্ট এ অঞ্চলের অধিকাংশ এলাকা বছরে ছয় মাসের বেশি পানিতে নিমজ্জিত থাকে। এ সময় অন্তত এক-চতুর্থাংশ হাওরবাসী বেকার থাকে। মাছ ধরে আর ভাটিয়ালি গান গেয়ে সময় পার করে তারা।

নেত্রকোনার খালিয়াজুরির কৃষ্ণপুর আবদুল জব্বার রাবেয়া খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী তানিয়া বলে, ‘আমাদের পরিবারে খাওয়া-পরা ও ভাইবোনদের লেখাপড়ার খরচের মূল উৎস ধান। বাবা ধান বেচেই সব কিছুর খরচ জোগান। এবার ফসলের অস্বাভাবিক কম দাম থাকায় চরম বিপাকে আমরা।’

বিদ্যালয়ের শিক্ষক বলেন, ‘কয়েক বছর পর পর অকাল বন্যা হাওরের ফসল তলিয়ে দেয়। এতে ফসল কম হয়। শুকনো মৌসুমে এলাকার নদ-নদী পানিশূন্য হয়ে পড়ায় মুমূর্ষু রোগীকে ধান সিদ্ধ করার আধাকাটা ড্রামে বা পলোয় (মাছ ধরার ঝাঁপি) বসিয়ে সুনামগঞ্জের শাল্লায় নিয়ে যেতে হয়। হাওরের নদীগুলো নাব্যতা হারিয়ে ফেলায় এ শোচনীয় অবস্থা।’

মিঠা পানির মাছের প্রাচুর্যপূর্ণ হাওরে এখন আর মাছ নেই। হাওরের মানুষ পুষ্টির জোগান পায় শহরাঞ্চলের পুকুরে চাষ করা পাঙ্গাশ আর তেলাপিয়া খেয়ে। এ সম্পর্কে কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার ইসলামপুরের গণি মিয়াসহ বেশ কয়েকজন জেলে বলেন, ‘ইজারাদাররা পানির ওপরের সব মাছ ধরে সাবাড় করে ফেলে। মাটির এক হাত তলায় লুকিয়ে থাকা মাছটিও ওষুধ ছিটিয়ে বের করে আনে। ডিমওয়ালা মাছ রক্ষা না পাওয়ায় মাছের বংশ বৃদ্ধি হয় না। তাই বিশেষ করে দেশি প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হয়ে পড়ছে।’

জেলেরা জানায়, এ দুরবস্থা থেকে পরিত্রাণের উপায় হচ্ছে-মাছের প্রজননের সময় মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ। শ্যামল চন্দ্র নামের আরেক জেলে জানতে চান, ‘মাছ না ধরলে আমরা কী খাইমু?’ তিনি বলেন, ‘চাঁদপুরে ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা আছে না? সরকার চাঁদপুরের জেলেদের নিষেধাজ্ঞার সময় ভাতা দিতে পারলে হাওরের জেলেদের দিতে পারবে না কেন?’

চার জেলার প্রায় ১০টি উপজেলা ঘুরে এবং নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হাওরবাসী ভালো নেই। সবচেয়ে বেশি কাবু করেছে কৃষককে। অন্যান্য বছরের মতো এবারও তারা উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য দাম পায়নি। বর্তমান সময়ে অবশ্য ধানের মূল্য বেড়ে প্রতিমণ ৬৭০-৬৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু এখন তো আর কৃষকের ঘরে ধান অবশিষ্ট নেই।

হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলা সদর ইউপির চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘ধান রোপণ শুরুর এক মাসের মধ্যে কুশিয়ারা ও কালনী নদী শুকিয়ে কাঠ। তাই কেবল সেচের অভাবে ধানের ফলন একরপ্রতি কমে যায়। এক সময় সুমিষ্ট মাছের জন্য বিখ্যাত আজমিরীগঞ্জে থেকেও আমাদের পুকুরে চাষ করা মাছ খেতে হয়।’

স্থানীয় একটি কলেজের প্রভাষক জীবন চক্রবর্তী বলেন, ‘সামনে কঠিন দিন আসছে। ভারত টিপাইমুখ বাঁধ দিলে হাওরের মানুষের কী উপায় হবে তা বলা মুশকিল।’

ইটনার বোরহানউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘শিং-কৈ মাছ কোথায় গেল? ডোবায় আর দেশি মাছ কিলবিল করে না কেন? কী লজ্জার কথা, হাওরের মানুষ বাজার থেকে পাঙ্গাশ, তেলাপিয়া মাছ কিনে খায়!’

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়ি নদী বরাক থেকে সুরমা ও কুশিয়ারা নামে দুটি নদী বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। খোয়াই, ধনু, ঘোড়াউত্রা, মনু, কালনী, ধলেশ্বরী, সোয়াইজনি প্রভৃতি নামে ওই দুই নদীর অগণিত শাখা নদী হাওরের সাত জেলায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। হাওরাঞ্চলের সাত জেলার প্রায় সাড়ে ৯ লাখ হেক্টর বোরো জমি চাষাবাদের জন্য সেচের প্রধান অবলম্বন এসব নদীর পানি। কিন্তু শুকনো মৌসুমে বেশির ভাগ নদী পানিশূন্য হয়ে পড়ে। আবার মার্চের শেষ নাগাদ ফসল কাটা শুরু হলে পাহাড়ি ঢলের পানিতে এসব নদী উপচে হাওরের ফসল তলিয়ে দেয়।

হাওরের সাত জেলার সামাজিক সংগঠন ‘হাওরাঞ্চলবাসী’র কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ড. হালিম দাদ খান বলেন, ‘হাওরের উজানে ভারত তাদের বরাক নদীতে টিপাইমুখ ড্যাম নির্মাণ করছে। এ ছাড়া তিস্তার উজানে গজলডোবা ব্যারাজ নির্মাণ ও বিভিন্ন ৩০টি সংযোগ খাল কেটে হিমালয় অববাহিকার পানি শুষ্ক অঞ্চলে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। ভারতের এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে হাওরাঞ্চল বৈশিষ্ট্য হারাবে এবং বাংলাদেশ অনুর্বর লবনাক্ত ভূমিতে পরিণত হবে।’

দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের দেশগুলোর সহযোগী সংগঠনের (সার্ক) কৃষিকেন্দ্রের বিজ্ঞানী ও হাওরের অধিবাসী ড. নিয়াজউদ্দিন পাশা বলেন, ‘বৃহত্তর হাওরাঞ্চলের উন্নয়নে সরকার মহাপরিকল্পনা নিয়েছে। এ মহাপরিকল্পনা দ্রুত ও পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন হলে হাওরের চেহারা পাল্টে যাবে এবং পরিবর্তন ঘটবে জীবনমানের।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

কিশোরগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও নেত্রকোনা বৃহত্তর হাওরাঞ্চলের বাঁকে কান্না

আপডেট টাইম : ১১:৫৩:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫

সরেজমিনে হাওরবেষ্টিত চার জেলা সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জ ঘুরে এমন প্রশ্ন শুনেছেন এ প্রতিবেদক।পানির জন্য হাওরের খ্যাতি। কিন্তু সেই পানির দেশে এখন পানির অভাব শুরু হয়েছে। বোরো আবাদ মৌসুমে জমিতে সেচ দেওয়া যায় না। অথচ হাওরে বছরে ওই একটিই ফসল। এই বোরো ধান খেয়ে বেঁচে থাকে হাওরবাসী। আবার এই ধান বেচেই অন্য খরচ জোগাতে হয়। এমনিতে ধানের বাজার পড়তি, এখন যদি পানিও না মেলে তবে হাওরের কৃষক-জেলেরা করবে কী?
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রায় ৫৭টি উপজেলা নিয়ে হাওরাঞ্চল। এর মধ্যে প্রায় ৩৩টি উপজেলা পড়েছে প্রত্যন্ত হাওরে। অন্যগুলো আংশিক হাওরে। প্রায় ২০ লাখ হেক্টর আয়তনের এ অঞ্চলে প্রায় দুই কোটি মানুষের বসবাস। নিম্ন সমতল ভূমিবিশিষ্ট এ অঞ্চলের অধিকাংশ এলাকা বছরে ছয় মাসের বেশি পানিতে নিমজ্জিত থাকে। এ সময় অন্তত এক-চতুর্থাংশ হাওরবাসী বেকার থাকে। মাছ ধরে আর ভাটিয়ালি গান গেয়ে সময় পার করে তারা।

নেত্রকোনার খালিয়াজুরির কৃষ্ণপুর আবদুল জব্বার রাবেয়া খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী তানিয়া বলে, ‘আমাদের পরিবারে খাওয়া-পরা ও ভাইবোনদের লেখাপড়ার খরচের মূল উৎস ধান। বাবা ধান বেচেই সব কিছুর খরচ জোগান। এবার ফসলের অস্বাভাবিক কম দাম থাকায় চরম বিপাকে আমরা।’

বিদ্যালয়ের শিক্ষক বলেন, ‘কয়েক বছর পর পর অকাল বন্যা হাওরের ফসল তলিয়ে দেয়। এতে ফসল কম হয়। শুকনো মৌসুমে এলাকার নদ-নদী পানিশূন্য হয়ে পড়ায় মুমূর্ষু রোগীকে ধান সিদ্ধ করার আধাকাটা ড্রামে বা পলোয় (মাছ ধরার ঝাঁপি) বসিয়ে সুনামগঞ্জের শাল্লায় নিয়ে যেতে হয়। হাওরের নদীগুলো নাব্যতা হারিয়ে ফেলায় এ শোচনীয় অবস্থা।’

মিঠা পানির মাছের প্রাচুর্যপূর্ণ হাওরে এখন আর মাছ নেই। হাওরের মানুষ পুষ্টির জোগান পায় শহরাঞ্চলের পুকুরে চাষ করা পাঙ্গাশ আর তেলাপিয়া খেয়ে। এ সম্পর্কে কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার ইসলামপুরের গণি মিয়াসহ বেশ কয়েকজন জেলে বলেন, ‘ইজারাদাররা পানির ওপরের সব মাছ ধরে সাবাড় করে ফেলে। মাটির এক হাত তলায় লুকিয়ে থাকা মাছটিও ওষুধ ছিটিয়ে বের করে আনে। ডিমওয়ালা মাছ রক্ষা না পাওয়ায় মাছের বংশ বৃদ্ধি হয় না। তাই বিশেষ করে দেশি প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হয়ে পড়ছে।’

জেলেরা জানায়, এ দুরবস্থা থেকে পরিত্রাণের উপায় হচ্ছে-মাছের প্রজননের সময় মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ। শ্যামল চন্দ্র নামের আরেক জেলে জানতে চান, ‘মাছ না ধরলে আমরা কী খাইমু?’ তিনি বলেন, ‘চাঁদপুরে ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা আছে না? সরকার চাঁদপুরের জেলেদের নিষেধাজ্ঞার সময় ভাতা দিতে পারলে হাওরের জেলেদের দিতে পারবে না কেন?’

চার জেলার প্রায় ১০টি উপজেলা ঘুরে এবং নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হাওরবাসী ভালো নেই। সবচেয়ে বেশি কাবু করেছে কৃষককে। অন্যান্য বছরের মতো এবারও তারা উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য দাম পায়নি। বর্তমান সময়ে অবশ্য ধানের মূল্য বেড়ে প্রতিমণ ৬৭০-৬৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু এখন তো আর কৃষকের ঘরে ধান অবশিষ্ট নেই।

হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলা সদর ইউপির চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘ধান রোপণ শুরুর এক মাসের মধ্যে কুশিয়ারা ও কালনী নদী শুকিয়ে কাঠ। তাই কেবল সেচের অভাবে ধানের ফলন একরপ্রতি কমে যায়। এক সময় সুমিষ্ট মাছের জন্য বিখ্যাত আজমিরীগঞ্জে থেকেও আমাদের পুকুরে চাষ করা মাছ খেতে হয়।’

স্থানীয় একটি কলেজের প্রভাষক জীবন চক্রবর্তী বলেন, ‘সামনে কঠিন দিন আসছে। ভারত টিপাইমুখ বাঁধ দিলে হাওরের মানুষের কী উপায় হবে তা বলা মুশকিল।’

ইটনার বোরহানউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘শিং-কৈ মাছ কোথায় গেল? ডোবায় আর দেশি মাছ কিলবিল করে না কেন? কী লজ্জার কথা, হাওরের মানুষ বাজার থেকে পাঙ্গাশ, তেলাপিয়া মাছ কিনে খায়!’

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়ি নদী বরাক থেকে সুরমা ও কুশিয়ারা নামে দুটি নদী বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। খোয়াই, ধনু, ঘোড়াউত্রা, মনু, কালনী, ধলেশ্বরী, সোয়াইজনি প্রভৃতি নামে ওই দুই নদীর অগণিত শাখা নদী হাওরের সাত জেলায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। হাওরাঞ্চলের সাত জেলার প্রায় সাড়ে ৯ লাখ হেক্টর বোরো জমি চাষাবাদের জন্য সেচের প্রধান অবলম্বন এসব নদীর পানি। কিন্তু শুকনো মৌসুমে বেশির ভাগ নদী পানিশূন্য হয়ে পড়ে। আবার মার্চের শেষ নাগাদ ফসল কাটা শুরু হলে পাহাড়ি ঢলের পানিতে এসব নদী উপচে হাওরের ফসল তলিয়ে দেয়।

হাওরের সাত জেলার সামাজিক সংগঠন ‘হাওরাঞ্চলবাসী’র কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ড. হালিম দাদ খান বলেন, ‘হাওরের উজানে ভারত তাদের বরাক নদীতে টিপাইমুখ ড্যাম নির্মাণ করছে। এ ছাড়া তিস্তার উজানে গজলডোবা ব্যারাজ নির্মাণ ও বিভিন্ন ৩০টি সংযোগ খাল কেটে হিমালয় অববাহিকার পানি শুষ্ক অঞ্চলে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। ভারতের এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে হাওরাঞ্চল বৈশিষ্ট্য হারাবে এবং বাংলাদেশ অনুর্বর লবনাক্ত ভূমিতে পরিণত হবে।’

দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের দেশগুলোর সহযোগী সংগঠনের (সার্ক) কৃষিকেন্দ্রের বিজ্ঞানী ও হাওরের অধিবাসী ড. নিয়াজউদ্দিন পাশা বলেন, ‘বৃহত্তর হাওরাঞ্চলের উন্নয়নে সরকার মহাপরিকল্পনা নিয়েছে। এ মহাপরিকল্পনা দ্রুত ও পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন হলে হাওরের চেহারা পাল্টে যাবে এবং পরিবর্তন ঘটবে জীবনমানের।’