ঢাকা ০৯:২০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মিঠামইনের ঐতিহাসিক ‘দিল্লীর আখড়া’টি বিখ্যাত

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:৪১:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৮
  • ৪২৫ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিথঙ্গলের ‘রামকৃষ্ণ গোসাই’র মতাবলম্বী বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের আখড়ার মধ্যে মিঠামইনের ‘দিল্লীর আখড়া’টি বিখ্যাত এবং ঐতিহাসিক। হাওর এলাকায় অন্যতম সেরা আকর্ষণ এই আখড়াটি। নদীতীরে হিজল গাছের সারি, প্রাচীন দেয়াল ও অট্টালিকা, ভিতরে অপূর্ব সুন্দর পরিবেশ যে কোনো পথিককে কাছে টানবে। সরাট জাহাঙ্গীরের সময়ে নির্মিত উক্ত আখড়া ও আখড়ার প্রতিষ্ঠাতা সাধক নারায়ণ গোস্বামীকে নিয়ে স্থানীয় এলাকায় প্রচুর জনশ্রুতি রয়েছে।

জনশ্রুতি রয়েছে যে, বর্তমান মন্দির এলাকাটির পাশেই একটি বৃক্ষের নিচে নারায়ণ গোস্বামীর আস্তানা ছিল। আস্তানার পাশ নিয়ে বহমান নদীতে একবার দিল্লীর সরাটি প্রেরিত একটি কোষা মালামালসহ ডুবে যায়। আরোহীরা অনেক চেষ্টার পরও কোষাটি উঠাতে গিয়ে ব্যর্থ হন এবং একজন সর্পাঘাতে মৃত্যুবরণ করেন। আস্থানা থেকে গোস্বামী এ সংবাদ পেয়ে ঐশী ক্ষমতা বলে মালামালসহ কোষাটি উঠিয়ে দেন এবং সর্পাঘাতে নিহত ব্যক্তিকেও বাঁচিয়ে দেন। পরে দিল্লীর সরাটের কাছে সংবাদটি পৌঁছানোর পর সরাট বর্তমান কাটখালের বিরাট এলাকা সাধক নারায়ণ গোস্বামীর নামে লাখেরাজ দিয়ে একটি আখড়া প্রতিষ্ঠা করে দেন। সে থেকে আখড়াটি দিল্লীর আখড়া নামে পরিচিত হয়ে আসছে। আখড়া প্রায় তিনশত একর ভূমি নিয়ে প্রতিষ্ঠিত।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

মিঠামইনের ঐতিহাসিক ‘দিল্লীর আখড়া’টি বিখ্যাত

আপডেট টাইম : ০৪:৪১:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিথঙ্গলের ‘রামকৃষ্ণ গোসাই’র মতাবলম্বী বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের আখড়ার মধ্যে মিঠামইনের ‘দিল্লীর আখড়া’টি বিখ্যাত এবং ঐতিহাসিক। হাওর এলাকায় অন্যতম সেরা আকর্ষণ এই আখড়াটি। নদীতীরে হিজল গাছের সারি, প্রাচীন দেয়াল ও অট্টালিকা, ভিতরে অপূর্ব সুন্দর পরিবেশ যে কোনো পথিককে কাছে টানবে। সরাট জাহাঙ্গীরের সময়ে নির্মিত উক্ত আখড়া ও আখড়ার প্রতিষ্ঠাতা সাধক নারায়ণ গোস্বামীকে নিয়ে স্থানীয় এলাকায় প্রচুর জনশ্রুতি রয়েছে।

জনশ্রুতি রয়েছে যে, বর্তমান মন্দির এলাকাটির পাশেই একটি বৃক্ষের নিচে নারায়ণ গোস্বামীর আস্তানা ছিল। আস্তানার পাশ নিয়ে বহমান নদীতে একবার দিল্লীর সরাটি প্রেরিত একটি কোষা মালামালসহ ডুবে যায়। আরোহীরা অনেক চেষ্টার পরও কোষাটি উঠাতে গিয়ে ব্যর্থ হন এবং একজন সর্পাঘাতে মৃত্যুবরণ করেন। আস্থানা থেকে গোস্বামী এ সংবাদ পেয়ে ঐশী ক্ষমতা বলে মালামালসহ কোষাটি উঠিয়ে দেন এবং সর্পাঘাতে নিহত ব্যক্তিকেও বাঁচিয়ে দেন। পরে দিল্লীর সরাটের কাছে সংবাদটি পৌঁছানোর পর সরাট বর্তমান কাটখালের বিরাট এলাকা সাধক নারায়ণ গোস্বামীর নামে লাখেরাজ দিয়ে একটি আখড়া প্রতিষ্ঠা করে দেন। সে থেকে আখড়াটি দিল্লীর আখড়া নামে পরিচিত হয়ে আসছে। আখড়া প্রায় তিনশত একর ভূমি নিয়ে প্রতিষ্ঠিত।