হাওর বার্তা ডেস্কঃ চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার একটি বিষয়ের প্রশ্ন পুরোপুরি ফাঁস হওয়ার প্রমাণ পাওয়ার পর ওই পরীক্ষাটি বাতিলের সুপারিশ করতে যাচ্ছে পরীক্ষা মূল্যায়ন কমিটি।
আজ রোববার বিকেলে ১১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির চূড়ান্ত সভা রয়েছে। ওই সভা থেকে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে।
কমিটি কোন বিষয়ের পরীক্ষাটি বাতিল করার সুপারিশ করবে সে বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু জানা গেলেও সেটি বাংলা প্রথম বা দ্বিতীয় পত্র হতে পারে বলে জানা গেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কমিটির এক সদস্য বলেন, যেহেতু একটি পরীক্ষার প্রশ্ন পুরোপুরি ফাঁস হওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে তাই ওই পরীক্ষাটি বাতিলের সুপারিশ করা হতে পারে। সেভাবেই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। আজকের সভার মাধ্যমে বিষয়টি উত্থাপন করা হবে। এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে সবাই সম্মতি দিলে পরীক্ষা বাতিলের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এ ছাড়া যেসব পরীক্ষার প্রশ্নপত্র আংশিক ফাঁস হয়েছে সেসব পরীক্ষা বিষয়ে জানতে চাইলে ওই সদস্য বলেন, সেগুলোও আমরা মূল্যায়ন করেছি। সেগুলো পরীক্ষা শুরুর অল্পকিছু সময় আগে ফাঁস হয়েছে। পরীক্ষায় এগুলোর প্রভাব পড়েনি। তাই ওই পরীক্ষাগুলোর বাতিলের মতো সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে না।
উল্লেখ্য, গত ১ ফেব্রুয়ারি বাংলা প্রথম পত্র বিষয় দিয়ে শুরু হয় এসএসসি পরীক্ষা। এবার এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় প্রায় ২০ লাখ পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। পরীক্ষা শেষের পরবর্তী ৬০ দিনের মধ্যে এ পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করার কথা রয়েছে।
পরীক্ষায় মোট ১২টি বিষয়ে প্রশ্ন ফাঁসের প্রমাণ মিলেছে। যা প্রশ্নপত্র ফাঁসের রেকর্ড ।
প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে পরীক্ষার সময় কোচিং সেন্টার বন্ধ, পরীক্ষার্থীদের আধা ঘণ্টা আগে পরীক্ষাকক্ষে বসা এবং কেন্দ্রের ভেতর মোবাইল ফোন না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল সরকার। কিন্তু কোনো পদক্ষেপই কাজে আসেনি। পরে প্রশ্ন ফাঁসকারীদের ধরিয়ে দিলে পাঁচ লাখ টাকা দেওয়ার ঘোষণাতেও লাভ হয়নি। পরীক্ষার দিন ইন্টারনেট সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধের চেষ্টা করেও প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকানো যায়নি।