ঢাকা ১১:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জমিতে সেচ দিতে না পারায় হুমকিতে পড়েছে চলতি বোরো চাষ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:৩৮:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৮
  • ৪৩৬ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ গত বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার স্বপ্ন নিয়ে কৃষকরা ফসলি জমিতে বোরোর চারা রোপণ করেছেন। তবে জ্বালানি (ডিজেল) সংকটের কারণে বর্তমানে জমিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি সরবরাহ করতে পারছেন না কৃষক। সঠিক সময় জমিতে সেচ দিতে না পারায় হুমকিতে পড়েছে চলতি বোরো চাষ।

দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে জেলার ১ লাখ ৭৩ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এবার জেলার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত জমিতে বোরো চাষে সেচ কাজে ডিজেল চালিত ৬২ হাজার ৬৬৯টি নলকূপ ও ৩৮৬টি ললিত পাম্প ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে জ্বালানি তেল সংকটের কারণে সেচ কাজে ব্যবহৃত নলকূপ ও পাম্প ব্যবহারে ব্যহত হচ্ছে।

এদিকে তেল সংকটের কারণ হিসেবে জেলার ফিলিং স্টেশন ও জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা জানান, দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলায় অবস্থিত রেলওয়ের জ্বালানি তেলের প্রধান ডিপোতে গত তিন সপ্তাহ ধরে দেখা দিয়েছে চরম সংকট। দেশের অন্যান্য তেল ডিপোতে তেল সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও পার্বতীপুর ডিপোতে চলছে সংকট। এ সংকট শুধু দিনাজপুরে নয়, রংপুর বিভাগের ৮ জেলার প্রায় ৬৬২টি ফিলিং স্টেশন ও নির্ধারিত এজেন্টগুলোতেও চলছে।

রেলওয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায়িত্বে অবহেলার কারণে খুলনার দৌলতপুর জ্বালানি তেলের ডিপো থেকে সময়মতো পার্বতীপুর ডিপোতে ওয়াগন না পৌঁছানোর কারণে এই সংকটের সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের পদ্মা, মেঘনা ও যমুনার পার্বতীপুর রেলওয়ে ডিপো সূত্রে জানা যায়, চলতি মাসের ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পদ্মা, মেঘনা ও যমুনার পার্বতীপুর রেলওয়ে ডিপোতে তেল এসেছে ১ কোটি ২০ লাখ লিটার। অথচ এই ডিপোতে প্রতিদিনের চাহিদা ১৮ লাখ লিটার। সে অনুযায়ী ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চাহিদা ২ কোটি ১৬ লাখ লিটার তেল। ফলে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে প্রায় অর্ধেকে। এর আগে ভারতের আসাম থেকে পার্বতীপুরের এই ডিপোতে জ্বালানি তেল সরবরাহ করা হলেও বর্তমানে তাও বন্ধ রয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জমিতে সেচ দিতে না পারায় হুমকিতে পড়েছে চলতি বোরো চাষ

আপডেট টাইম : ০৫:৩৮:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ গত বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার স্বপ্ন নিয়ে কৃষকরা ফসলি জমিতে বোরোর চারা রোপণ করেছেন। তবে জ্বালানি (ডিজেল) সংকটের কারণে বর্তমানে জমিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি সরবরাহ করতে পারছেন না কৃষক। সঠিক সময় জমিতে সেচ দিতে না পারায় হুমকিতে পড়েছে চলতি বোরো চাষ।

দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে জেলার ১ লাখ ৭৩ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এবার জেলার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত জমিতে বোরো চাষে সেচ কাজে ডিজেল চালিত ৬২ হাজার ৬৬৯টি নলকূপ ও ৩৮৬টি ললিত পাম্প ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে জ্বালানি তেল সংকটের কারণে সেচ কাজে ব্যবহৃত নলকূপ ও পাম্প ব্যবহারে ব্যহত হচ্ছে।

এদিকে তেল সংকটের কারণ হিসেবে জেলার ফিলিং স্টেশন ও জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা জানান, দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলায় অবস্থিত রেলওয়ের জ্বালানি তেলের প্রধান ডিপোতে গত তিন সপ্তাহ ধরে দেখা দিয়েছে চরম সংকট। দেশের অন্যান্য তেল ডিপোতে তেল সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও পার্বতীপুর ডিপোতে চলছে সংকট। এ সংকট শুধু দিনাজপুরে নয়, রংপুর বিভাগের ৮ জেলার প্রায় ৬৬২টি ফিলিং স্টেশন ও নির্ধারিত এজেন্টগুলোতেও চলছে।

রেলওয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায়িত্বে অবহেলার কারণে খুলনার দৌলতপুর জ্বালানি তেলের ডিপো থেকে সময়মতো পার্বতীপুর ডিপোতে ওয়াগন না পৌঁছানোর কারণে এই সংকটের সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের পদ্মা, মেঘনা ও যমুনার পার্বতীপুর রেলওয়ে ডিপো সূত্রে জানা যায়, চলতি মাসের ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পদ্মা, মেঘনা ও যমুনার পার্বতীপুর রেলওয়ে ডিপোতে তেল এসেছে ১ কোটি ২০ লাখ লিটার। অথচ এই ডিপোতে প্রতিদিনের চাহিদা ১৮ লাখ লিটার। সে অনুযায়ী ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চাহিদা ২ কোটি ১৬ লাখ লিটার তেল। ফলে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে প্রায় অর্ধেকে। এর আগে ভারতের আসাম থেকে পার্বতীপুরের এই ডিপোতে জ্বালানি তেল সরবরাহ করা হলেও বর্তমানে তাও বন্ধ রয়েছে।