হাওর বার্তা ডেস্কঃ কুড়িগ্রামে বাদামের বাম্পার ফলন। গত বছর ভয়াবহ বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলের কৃষকরা এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে চিনাবাদাম আবাদ করেছেন। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় বাদামের মান এবং ফলন ভালো হয়েছে। দামও ভালো পাওয়া যাচ্ছে। বোরো আবাদের আগে এ ফসলের সুফল ঘরে তুলতে পেরে খুব খুশি চাষীরা।
ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা ও দুধকুমারসহ ১৬ নদ-নদীর এই জেলার ২৩০টি দ্বীপচরে প্রায় ২৯ হাজার হেক্টর চরভূমি’র মধ্যে সাড়ে ২২ হাজার হেক্টর আবাদযোগ্য। মৌসুম অনুযায়ী এই জমিগুলোতে নানান ফসল ফলাচ্ছেন চরবাসী।
কৃষকরা বলেন, এবার বাদামের আবাদ খুব ভালো হয়েছে। ফসলটা অনেক সুন্দর হয়েছে। বেচা কিনা অনেক ভাল হবে।
ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তা নদীর মিলনস্থল চিলমারীর জোড়গাছে প্রতি রোববার এবং বৃহস্পতিবার বসছে চিনাবাদামের বাজার। পাইকাররা জানালেন, গতবারের চেয়ে দাম প্রায় দ্বিগুণ।পাইকাররা বলেন, কাঁচা বাদাম গেল বছর ছিল ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা এই বছর ১২০০ টাকা। এই মাল বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছে।
জনপ্রতিনিধিরা জানালেন, এবার বাদামের আবাদ ভালো এবং দাম বেশি পাওয়ায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত চরাঞ্চলের কৃষকরা উপকৃত হয়েছেন। চীনা বাদামের ফলন খুব ভালো হয়েছে। বন্যায় যে ক্ষতি হয়েছিল মোটামুটি পুষিয়ে নেয়া সম্ভব হয়েছে।
জেলা কৃষি দপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তারা বলেন, এই চীনা বাদাম যাতে আরো ভালো হয় তার জন্যে প্রতিনিয়ত কৃষকের কাছে প্রযুক্তি ব্যবহারে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তর জানায়, ২ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে এবার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করলেও তার চেয়ে ৩০০ হেক্টর বেশি জমিতে আবাদ হয়েছে।