তাদের নেই কোন বাড়ি বা দেশের ঠিকানা একটু মাথা গোঁজার জায়গার জন্য যেন হন্যে হয়ে ঘুরছে তারা। যুদ্ধে খোয়া গিয়েছে তাদের আশ্রস্থল তাই হাজারো মানুষ শুধু পথে পথে ঘুরছে। একের পর এক দেশে ঢুকার চেষ্ট করছে পাগলের মতো। এরি মধ্যে কেউ মারা যাচ্ছে পুলিশের গুলি খেয়ে আবার কেউ বা কোন দূর্ঘটনায়। তাদের মধ্যে বেশির ভাগই শিশু এই বলির শিকার হচ্ছে।
আলোচনায় মগ্ন ইউরোপের দেশগুলো। কার দেশে কে কত জন শরণার্থী ঢুকতে দেবে এই নিয়ে। মানবতার এহেন চরম অবক্ষয়ের এই পরিস্থিতিতে নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন উরুগুয়ের প্রাক্তন রাষ্টপতি হোসে মুজিকা। এই সকল শরনার্থীদের জন্য তিনি নিজে ছেড়ে দিচ্ছেন নিজের বসতবাড়ি। এমনিতে সাধারণ জীবনযাপনের জন্য তিনি অনন্য নজির স্থাপন করেছেন। গ্রামের একটি বাড়িতে অতি সাধারণ ভাবেই জীবন কাটাচ্ছেন তিনি।
এই সাবেক রাষ্ট্রপতি পৃথিবীর সবচেয়ে গরিব রাষ্ট্রপধান হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। যখনি গোটা বিশ্ব উত্তাল সিরিয়ার শরণার্থী সঙ্কটে আর তখনি তিনি নিজের সরকারি বাসভবনের বিলাসিতাকে দূরে ঠেলে দিয়ে তা ছেড়ে দিতে চাইছেন ঠিকানা বিহিন শরণার্থীদের জন্য। মুজিকা জানান, ‘তার বাসভবনে যেন সকল শরণার্থীদের শিশুরা থাকতে পারে। তাদের যেন কোন প্রকার অসুবিধা না হয়’।
হোসে মুজিকার এই ঘোষণার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছে জাতিসঙ্ঘ। জাতিসঙ্ঘ নিয়মানুযায়ী, শরণার্থী শিশুদের রাখতে হলে, তাদের সঙ্গে একজন অন্তত তার আত্মীয়কে রাখতে হবে। সেক্ষেত্রে উরুগুয়ে সরকার জানিয়ে দিয়েছে, সংখ্যা যা-ই হোক, শরণার্থীদের জন্য তাদের দরজা খোলা।