ঢাকা ১১:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ জানুয়ারী ২০২৫, ১৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নতুন বছরের গর্জনটা কেমন হবে বাংলাদেশের

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৪০:১০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ জানুয়ারী ২০২৫
  • ৭ বার

পরিবর্তিত বাংলাদেশে এত সংস্কারের ভিড়ে সবচেয়ে জরুরি কোনটা? সংকট-সংগ্রামের এই পথচলায় মনের সংস্কারই সবার আগে দরকার। নতুন বছরে প্রত্যাশাটা এমন তো হতেই পারে। শিক্ষা ব্যবস্থাপনা, চিকিৎসা সেবার দুরাবস্থা আর দ্রব্যমূল্য নিয়ে যে শঙ্কা সেটি কাটিয়ে ওঠাও বেশ জরুরি।

অশ্রুজল আর ত্যাগের বিনিময়ে গেল বছরেই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে মিললো বাংলাদেশ টু পয়েন্ট ও। বছর শেষে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক ম্যাগাজিন ইকোনোমিস্ট বাংলাদেশকে দিয়েছে ‘কান্ট্রি অব দ্যা ইয়ার’ তকমা।

এত অর্জনে নতুন বছরের গর্জনটা কেমন হবে বাংলাদেশের?

কথা ছিল নতুন সূর্য উঠলে সব অন্ধকার আলোর জোয়ারে ভেসে যাবে। নতুন স্বপ্ন নিয়ে সূর্য ঠিকই উঠলো, কিন্তু দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন পাগলা ঘোড়া, শিক্ষার অব্যবস্থাপনা কিংবা চিকিৎসা ব্যবস্থার অসুস্থতায় উদ্বেগ আছে জনমনে।

একজন ছাত্র বলেন, একবারে প্রাথমিক শিক্ষা থেকে শুরু করে উচ্চ শিক্ষার যে ধাপ রয়েছে, প্রত্যাশা থাকবে সব স্তরে যাতে সবাই সমান অধিকার পায়।

নিম্ন-মধ্যবিত্ত আর মধ্যবিত্তের তকমা লাগানো মস্তিষ্ক বোঝে না কে কোন পদ পেল, কার জন্য কোন গদি। বছরের প্রথম দিনটায় তাই প্রত্যাশা দু’বেলা পেট ভরে নিরাপত্তার সাথে পরিবারসহ জীবনযাপন।

আরেকজন ছাত্র বলেন, অধিকার বঞ্চিত মানুষ যারা রয়েছেন, তাদের জন্য আবার নতুন করে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। ডাক্তাররা যেন রোগীদের সাথে সহানুভূতিশীল হয় এই প্রত্যাশা।

সাধারণ মানুষের বিশ্বাস, রাজনৈতিক নেতারা ঠিক হলে নব্বই ভাগ সমস্যার সমাধান সম্ভব। তাই সকল সংস্কারের আগে করতে হবে তাদের মনের সংস্কার। অরাজকতার সংস্কৃতি বদলে দিলেই মিলবে মুক্তি।

মানুষ বিশ্বাস করে আত্মা পরিশুদ্ধ হলেই কুয়াশা কেটে গিয়ে ঝকঝকে রৌদ্রস্নাত দিন শুরু হবে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির। তাই নতুন বছরের শপথ হোক মনের সংস্কারের।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

নতুন বছরের গর্জনটা কেমন হবে বাংলাদেশের

আপডেট টাইম : ১০:৪০:১০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ জানুয়ারী ২০২৫

পরিবর্তিত বাংলাদেশে এত সংস্কারের ভিড়ে সবচেয়ে জরুরি কোনটা? সংকট-সংগ্রামের এই পথচলায় মনের সংস্কারই সবার আগে দরকার। নতুন বছরে প্রত্যাশাটা এমন তো হতেই পারে। শিক্ষা ব্যবস্থাপনা, চিকিৎসা সেবার দুরাবস্থা আর দ্রব্যমূল্য নিয়ে যে শঙ্কা সেটি কাটিয়ে ওঠাও বেশ জরুরি।

অশ্রুজল আর ত্যাগের বিনিময়ে গেল বছরেই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে মিললো বাংলাদেশ টু পয়েন্ট ও। বছর শেষে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক ম্যাগাজিন ইকোনোমিস্ট বাংলাদেশকে দিয়েছে ‘কান্ট্রি অব দ্যা ইয়ার’ তকমা।

এত অর্জনে নতুন বছরের গর্জনটা কেমন হবে বাংলাদেশের?

কথা ছিল নতুন সূর্য উঠলে সব অন্ধকার আলোর জোয়ারে ভেসে যাবে। নতুন স্বপ্ন নিয়ে সূর্য ঠিকই উঠলো, কিন্তু দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন পাগলা ঘোড়া, শিক্ষার অব্যবস্থাপনা কিংবা চিকিৎসা ব্যবস্থার অসুস্থতায় উদ্বেগ আছে জনমনে।

একজন ছাত্র বলেন, একবারে প্রাথমিক শিক্ষা থেকে শুরু করে উচ্চ শিক্ষার যে ধাপ রয়েছে, প্রত্যাশা থাকবে সব স্তরে যাতে সবাই সমান অধিকার পায়।

নিম্ন-মধ্যবিত্ত আর মধ্যবিত্তের তকমা লাগানো মস্তিষ্ক বোঝে না কে কোন পদ পেল, কার জন্য কোন গদি। বছরের প্রথম দিনটায় তাই প্রত্যাশা দু’বেলা পেট ভরে নিরাপত্তার সাথে পরিবারসহ জীবনযাপন।

আরেকজন ছাত্র বলেন, অধিকার বঞ্চিত মানুষ যারা রয়েছেন, তাদের জন্য আবার নতুন করে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। ডাক্তাররা যেন রোগীদের সাথে সহানুভূতিশীল হয় এই প্রত্যাশা।

সাধারণ মানুষের বিশ্বাস, রাজনৈতিক নেতারা ঠিক হলে নব্বই ভাগ সমস্যার সমাধান সম্ভব। তাই সকল সংস্কারের আগে করতে হবে তাদের মনের সংস্কার। অরাজকতার সংস্কৃতি বদলে দিলেই মিলবে মুক্তি।

মানুষ বিশ্বাস করে আত্মা পরিশুদ্ধ হলেই কুয়াশা কেটে গিয়ে ঝকঝকে রৌদ্রস্নাত দিন শুরু হবে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির। তাই নতুন বছরের শপথ হোক মনের সংস্কারের।