হাওর বার্তা ডেস্কঃ ঢাকায় উদযাপিত হলো ভারত ও প্রবাসের সর্বাধিক কবির সম্মিলনে বর্ষশুরু কবিতা উৎসব। ভারত-প্রবাসের সর্বাধিক কবি এতে অংশ নেন।
উদ্বোধক ছিলেন তিনবাংলার তিন লেখক- বাংলাদেশের প্রখ্যাত লেখক-সম্পাদক রাহাত খান। ভারতবাংলার কবি-সংগঠক-সম্পাদক শ্যামলকান্তি দাশ। প্রবাস বাংলা তথা মার্কিন অভিবাসী লেখক হুমায়ূন কবির। সভাপতিত্ব করেন তিনবাংলার গ্লোবাল প্রেসিডেন্ট কবি-কথাকার সালেম সুলেরী।
সম্মানিত অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ-ভারতের ৬ ব্যক্তিত্ব। একুশে পদকপ্রাপ্ত কবিদ্বয় আসাদ চৌধুরী ও মুহম্মদ নূরুল হুদা, বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক রফিকুল হক দাদুভাই ও নাজমুন্নেসা পেয়ারী, ভারতবাংলার খ্যাতিমান সাহিত্যিক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় ও অনাদিরঞ্জন বিশ্বাস। বিশেষ অতিথি সচিব-ব্যক্তিত্ব সর্বকবি আসাদ মান্নান, ফরিদ আহমদ দুলাল, থিওফিল নকরেক।
স্বাগত অতিথি ছিলেন তিনবাংলা’র শীর্ষ লেখক-কর্মকর্তাবৃন্দ। যথা কার্যকরী সভাপতি সর্বকবি ভূঁইয়া সফিকুল ইসলাম, প্রেসিডিয়াম প্রধান জাহিদুল হক।
এছাড়া মহাসচিব গোলাম শফিক, প্রেসিডিয়াম সদস্য পল্লীকবিপুত্র খুরশীদ আনোয়ার জসীম উদদীন, সরকার মাহবুব, রানা জামান, আফরোজা পারভীন।
অনুষ্ঠান পরিচালনায় কবিদ্বয় রহিমা আখতার কল্পনা ও মনসুর আজিজ। সম্মাননা প্রদানে সর্বকবি ফারুক মাহমুদ, জাহাঙ্গীর ফিরোজ, বদরুল আহসান খান, গোলাম কিবরিয়া পিনু, আনিস আহমেদ, মাহমুদ হাফিজ, কামরুজ্জামান, কামরুল হাসান, নাহার আহমেদ, রোকেয়া ইসলাম, সাকিব সুলেরী, দিলদার হোসেন, রহিম শাহ, এম আর মনজুর, রওশন ঝুনু, নার্গিস কুমুদিনী, ইমরান পরশ, সুজন হাজং প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সমন্বয়ে ছিলেন সদস্য-সচিব কবি শাফাত শফিক, মিনা মাশরাফী, ফেরদৌস সালাম। উত্তরীয় পরিধান সমন্বয়ে সীমা ইসলাম, শ্রুতি খান ও মেহেদি তাকি। অতিথি সমন্বয়ে কবি লিন্ডা আমিন, রফিক আখন্দ, অধ্যাপক মুকুল, জামসেদ ওয়াজেদ, প্রকৌশলী মোসাব্বির। সূচনা সঙ্গীতে কন্ঠশিল্পী বন্দনা চক্রবর্তী। সম্মাননা-মুদ্রণ সমন্বয়ে আফসার নিজাম, মাহাবুর রহমান।
বিশাল ভারতের ৪০ জন কবি অনুষ্ঠানে অংশ নেন। শতাধিক কবি স্বরচিত কবিতা নিবেদন করেন। প্রিয়দিন জন্মদিন উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানানো হয় ছড়ালেখক রফিকুল হক দাদুভাই, আসলাম সানী ও সাকিল আহমদকে। ৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হয় ঢাকার মালিবাগস্থ ‘কারিতাস’ মিলনায়তনে।
ভারতীয় কবিদের সরব উপস্থিতি অনুষ্ঠানটিকে বিশেষ মর্যাদা দেয়। নেতৃত্ব দেন কবি সম্মেলন সম্পাদক কবি শ্যামলকান্তি দাশ। অংশ নেন প্রায় ৪০ জন কবি-সংস্কৃতিসেবী। বসত পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও দিল্লি, মুম্বাই, আসাম, ত্রিপুরা, আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ। সর্বকবি অধীপ ঘোষ, অনাদিরঞ্জন বিশ্বাস, অমিতাভ রায়, অরুণ পাঠক, কার্তিক দেওয়ান, কৃষ্ণা দাস, কল্পনা বন্দোপাধ্যায়, জ্যোতির্ময় দাশ, ঝিলম ত্রিবেদী, নলিনী বেরা, নূর মহম্মদ, নৃপেন চক্রবর্তী, তপন বন্দোপাধ্যায়, তাজিমুর রহমান, দেবব্রত ব্যানার্জী, দীপশিখা পোদ্দার, দীপিকা বিশ্বাস, প্রাণজি বসাক, মনিদীপা নন্দী বিশ্বাস, মণিশঙ্কর রায়, মহিবুর রহমান, ময়ুখ দাস, মৌ চক্রবর্তী, রঞ্জনা রায়, রথীন কর, রামকিশোর ভট্টাচার্য, শঙ্কর ঘোষ, শংকর সাহা, শকুন্তলা সান্যাল, শবরী রায়, শান্তনু প্রধান, শ্যামল জানা, সাকিল আহমেদ, সুজিত সরকার, সুশীল মণ্ডল, সৈয়দ কওসর জামাল, সৌমিত বসু প্রমুখ।
সাহিত্যিক ও লেখক রাহাত খান বলেন, আজ মহোৎসব। বাংলাদেশ-ভারত-প্রবাসবাংলার মহামিলন ঘটেছে। তিনবাংলা’র এই চিন্তা ও উদ্যোগটি মহান। এর বহুমুখী প্রসার ঘটাতে হবে।
অনুষ্ঠান সভাপতি কবি সালেম সুলেরী নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন। ১৯ ফেব্রুয়ারি তিন বাংলার ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ঢাকায় তিনদিনের গ্লোবাল সম্মেলন ও অভিষেক হবে বলেও জানান কবি সালেম সুলেরী।