হাওর বার্তা ডেস্কঃ শতাধিক বিষয়ের ১০ হাজার লেখক ও এক হাজার দেশি–বিদেশি প্রকাশনা সংস্থার লক্ষাধিক বইয়ের সমাহার নিয়ে ঢাকায় যাত্রা শুরু করেছে বইঘর ‘বাতিঘর’। গতকাল সকালে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে এর দ্বারন্মোচন করেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ভবনের অষ্টম তলায় প্রায় ৫০০০ বর্গফুট জায়গায় গড়ে তোলা ‘বাতিঘর’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, বইয়ের প্রতি আবেগ ও ভালোবাসা আছে বলেই বাতিঘরের কর্ণধার এই কর্মযজ্ঞটি সাধন করতে পেরেছেন। আমরা যদি প্রত্যেকে একটি করে বই কিনি তবেই বাতিঘর তার আলো ছড়াবে। সংস্কৃতিমন্ত্রী জানান, উন্নত বিশ্বের আদলে দেশের পাবলিক লাইব্রেরিকে নিত্য প্রয়োজনীয় সব সুযোগ–সুবিধাসম্পন্ন ওয়ান স্টপ সেন্টারে পরিণত করা হবে যাতে, লাইব্রেরির প্রতি সকল শ্রেণি–পেশার মানুষের আগ্রহ বাড়ে।
বইমেলাকে তথাকথিত জনসমাগম কেন্দ্রে পরিণত না করে এটিকে সত্যিকার অর্থে বইপ্রেমীদের একটি মিলনমেলায় পরিণত করার প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে বলেও জানান তিনি। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন এমেরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান, শিক্ষাবিদ এমিরেটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী এবং বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান।
উল্লেখ্য ২০০৫ সালে মাত্র ১০০ বর্গফুটের ছোট পরিসরে চট্টগ্রামের চেরাগী পাহাড় মোড়ে এটি যাত্রা শুরু করে। প্রকাশনা সংস্থা হিসেবে বাতিঘরের পথচলা শুরু হয় ২০০৯ সালে। ২০১২ সালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব ভবনে প্রায় ৩০০০ বর্গফুটের বিস্তৃত পরিসরে পুরোনো জাহাজের আদলে সম্প্রসারিত হয় ‘বাতিঘর’। অভ্যন্তরীণ সজ্জায় মুঘল স্থাপত্য বিশেষত লালবাগ কেল্লার আদলে নির্মিত ঢাকার ‘বাতিঘর’ এ পাঠকরা তাদের পছন্দের বই নিয়ে পড়তে পারবেন বইঘরে বসেই। তাদের জন্য চেয়ারগুলো সাজানো হয়েছে মুঘল রীতি অনুযায়ী।