ঢাকা ০৪:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সংবিধানে মানবাধিকার সুশাসনের নিশ্চয়তা বিধান করা হয়েছে : রাষ্ট্রপতি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৫৩:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০১৭
  • ৩১৫ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বাংলাদেশের সংবিধানে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সকল মানবাধিকার ও সুশাসনের নিশ্চয়তা বিধান করা হয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার মানবাধিকার রক্ষায় বদ্ধপরিকর।

রাষ্ট্রপতি বলেন, সর্বস্তরে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন-২০০৯ প্রণয়ন এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশন গঠন করা হয়েছে।

‘বিশ্ব মানবাধিকার দিবস’ উপলক্ষে গতকাল এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো আজ (১০ ডিসেম্বর) যথাযোগ্য মর্যাদায় সারা দেশে এ দিবস পালিত হচ্ছে।

জনগণের মৌলিক অধিকার সমুন্নত রাখতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব মানবাধিকার দিবস’ পালিত হচ্ছে জেনে রাষ্ট্রপতি সন্তোষ প্রকাশ করেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ১৯৪৮ সালের এই দিনে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণাপত্র গৃহীত হয়। এর পর থেকে মানবাধিকারের প্রতি জাতিগুলোর বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করতে প্রতিবছর ১০ ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবস পালিত হয়ে আসছে। তিনি বলেন, সরকার দারিদ্র্য বিমোচন, জনগণের জীবনমান উন্নয়নসহ মানবাধিকার রক্ষায় দেশ ও দেশের বাইরে নিরলস প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ সম্প্রতি মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত বিপুল রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে মানবিক কারণে আশ্রয় দিয়ে মানবাধিকার রক্ষায় এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। মানবতার এ অনন্য নিদর্শন স্থাপনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ উপাধি প্রদান করা হয়েছে।

আবদুল হামিদ বলেন, মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা ও সমুন্নত রাখার দায়িত্ব রাষ্ট্রের পাশাপাশি সকল প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির। দেশের সকল নাগরিকের বিশেষ করে শিশু ও নারীর মানবাধিকার রক্ষায় সরকারি-বেসরকারি সংস্থার পাশাপাশি সর্বস্তরের জনগণকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

রাষ্ট্রপতি বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন জনগণের বিশেষত অসহায় জনগোষ্ঠীর মানবাধিকার রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, মানবাধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় ভুক্তভোগীদের প্রতিকার পাওয়ার পথ সুগম করতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

সংবিধানে মানবাধিকার সুশাসনের নিশ্চয়তা বিধান করা হয়েছে : রাষ্ট্রপতি

আপডেট টাইম : ১০:৫৩:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বাংলাদেশের সংবিধানে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সকল মানবাধিকার ও সুশাসনের নিশ্চয়তা বিধান করা হয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার মানবাধিকার রক্ষায় বদ্ধপরিকর।

রাষ্ট্রপতি বলেন, সর্বস্তরে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন-২০০৯ প্রণয়ন এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশন গঠন করা হয়েছে।

‘বিশ্ব মানবাধিকার দিবস’ উপলক্ষে গতকাল এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো আজ (১০ ডিসেম্বর) যথাযোগ্য মর্যাদায় সারা দেশে এ দিবস পালিত হচ্ছে।

জনগণের মৌলিক অধিকার সমুন্নত রাখতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব মানবাধিকার দিবস’ পালিত হচ্ছে জেনে রাষ্ট্রপতি সন্তোষ প্রকাশ করেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ১৯৪৮ সালের এই দিনে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণাপত্র গৃহীত হয়। এর পর থেকে মানবাধিকারের প্রতি জাতিগুলোর বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করতে প্রতিবছর ১০ ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবস পালিত হয়ে আসছে। তিনি বলেন, সরকার দারিদ্র্য বিমোচন, জনগণের জীবনমান উন্নয়নসহ মানবাধিকার রক্ষায় দেশ ও দেশের বাইরে নিরলস প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ সম্প্রতি মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত বিপুল রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে মানবিক কারণে আশ্রয় দিয়ে মানবাধিকার রক্ষায় এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। মানবতার এ অনন্য নিদর্শন স্থাপনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ উপাধি প্রদান করা হয়েছে।

আবদুল হামিদ বলেন, মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা ও সমুন্নত রাখার দায়িত্ব রাষ্ট্রের পাশাপাশি সকল প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির। দেশের সকল নাগরিকের বিশেষ করে শিশু ও নারীর মানবাধিকার রক্ষায় সরকারি-বেসরকারি সংস্থার পাশাপাশি সর্বস্তরের জনগণকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

রাষ্ট্রপতি বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন জনগণের বিশেষত অসহায় জনগোষ্ঠীর মানবাধিকার রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, মানবাধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় ভুক্তভোগীদের প্রতিকার পাওয়ার পথ সুগম করতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।