হাওর বার্তা ডেস্কঃ ইংরেজি নতুন বছরের শুরুতে দশম জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন। এই অধিবেশনের মূল আর্কষণ রাষ্ট্রপতির ভাষণ। প্রথম অধিবেশনের প্রথম দিনই তিনি ভাষণ দেবেন। এই ভাষণের খসড়া আজ মন্ত্রিসভায় প্রথম এজেন্ডা হিসেবে উপস্থাপন করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
প্রচলিত নিয়মে প্রতি গত সোমবার মন্ত্রিসভা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু এবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় কাজে দেশের বাইরে থাকার ফলে সেদিন অর্থাৎ গত সোমবার আর মন্ত্রিসভা বৈঠক হয়নি। তবে দেশের বাইরে যাওয়ার আগেই আজ মন্ত্রিসভা বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জানিয়েছে। আজকের মন্ত্রিসভা বৈঠকের প্রথম ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রাষ্ট্রপতির ভাষণের খসড়া। বৈঠকে নীতিগত অনুমোদনের পর তা রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হতে পারে বলে আভাস পাওয়া গেছে। বিশেষ করে কিছু সংশোধন ও বিয়োজনের ভিত্তিতে তা চূড়ান্ত করা হবে।
রাষ্ট্রপতির খসড়া ভাষণে মূলত পুরো এক বছরের অর্থনৈতিক, সামাজিক উন্নয়নের বিষয়গুলো প্রতিফলিত হতে পারে। এ ছাড়া বাংলাদেশ এখন কোন উন্নতির শিখরে পৌঁছেছে তার বেশ কিছু দৃষ্টান্ত থাকতে পারে। বিশেষ করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ ইউনেস্কোতে যেভাবে মর্যাদা পেল সে বিষয়টি রাষ্ট্রপতির ভাষণে গুরুত্ব পাবে বলে জানা গেছে।
এ ছাড়াও দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, রোহিঙ্গা ইস্যুটি সরকার কিভাবে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরেছে, সে কথাও থাকতে পারে। কিভাবে বাংলাদেশ বিশ্বের দরবারে একটি মর্যাদাশীল দেশ হিসেবে পরিগণিত হয়েছে তার বেশ কিছু তথ্য-উপাত্ত অন্তর্ভুক্ত হতে পারে বলে আভাস পাওয়া গেছে। তবে কি থাকবে আর না থাকবে সবকিছু সিদ্ধান্ত নেবে মন্ত্রিসভা।
জানা গেছে, মোট ৬টি এজেন্ডার মধ্যে ৫টি হচ্ছে মন্ত্রিসভাকে অবহিতকরণ। প্রচলিত নিয়মে কোনো মন্ত্রী রাষ্ট্রীয় কাজে দেশের বাইরে গেলে পরবর্তী সময়ে তা মন্ত্রিসভাকে অবহিত করতে হয়। অবহিতকরণের ক্ষেত্রে অর্থমন্ত্রী, বাণিজ্যমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী ও নৌপরিবহন মন্ত্রী রয়েছেন বলে জানা গেছে। আজকের বৈঠকে সব মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও সব মন্ত্রণালয়-বিভাগের সচিবরা উপস্থিত থাকবেন। কারণ, প্রতিটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের বিষয় রাষ্ট্রপতির খসড়া ভাষণে কিছু না কিছু অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
মানবকণ্ঠ