ঢাকা ১১:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বোমা ফাটালেন’ ট্রাম্পের উপদেষ্টা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:১১:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ ডিসেম্বর ২০১৭
  • ৩০৩ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রাশিয়ার সাথে যোগাযোগ নিয়ে এফবিআই-কে মিথ্যা তথ্য দেয়ার কথা স্বীকার করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিন। রাশিয়ার সাথে যোগাযোগ নিয়ে স্পেশাল কাউন্সিলর রবার্ট মুলারের তদন্তে এই স্বীকারোক্তি একটি বড় অগ্রগতি বলেই ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এর ফলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপের বিষয়ে ট্রাম্পের আরো ঘনিষ্ঠজনের জড়িত থাকার বিষয়ও এরপর বেরিয়ে আসতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিন যখন ওয়াশিংটন ডিসির ফেডারেল কোর্টে উপস্থিত হন তখন আদালতের বাইরে তার বিরুদ্ধে চিৎকার করে ওঠেন কিছু প্রতিবাদকারী।

বার্তা সংস্থা এএফপি-র বরাত দিয়ে বলা হচ্ছে যে, ফ্লিন দোষ স্বীকার করতে চান কিনা আদালতের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি সম্মত হন।

আদালতের কাছে তিনি জ্ঞাতসারে এফবিআই-এর কাছে মিথ্যা, কাল্পনিক ও প্রতারণামূলক বিবৃতি দেবার কথা স্বীকার করেন।

আদালত থেকে বেরিয়ে যাবার সময়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অবশ্য কিছুই বলেন নি ফ্লিন। ২০১৬-র মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ নিয়ে তদন্ত করছেন স্পেশাল কাউন্সিলর রবার্ট মুলার।

ফ্লিনের এই স্বীকারোক্তি সেই তদন্তে বড় অগ্রগতি হিসেবেই বিবেচনা করা হচ্ছে। মুলারের তদন্তে তিনি সহায়তা করছেন বলে জানানো হয়েছে।

মার্কিন গণমাধ্যমগেুলো বলছে যে, রাশানদের সাথে যোগাযোগ করতে ফ্লিনকে যারা নির্দেশ দিয়েছিল তাদের মধ্যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মেয়ের জামাতা জেরাড কুশনারও আছেন- এমন সাক্ষ্য দিতেও প্রস্তুত আছেন মাইকেল ফ্লিন।

সিনেট ইন্টেলিজেন্স কমিটির শীর্ষ ডেমোক্রেট মার্ক ওয়ার্নার সাংবাদিকদের বলেছেন যে, সত্য উদঘাটনে প্রয়োজনে মিস্টার কুশনারকে আবারো জেরা করা হবে।

ওয়ার্নার বলছেন, ‘আমরা আমাদের নিজস্ব পন্থাতেই কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। প্রয়োজনে আমরা সকল সাক্ষীর পুনঃসাক্ষাতকার নেবো। এমন তালিকায় কুশনার থাকতে পারেন।

যদিও হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে, এসব বিষয়ে মাইকেল ফ্লিন কেবল একাই জড়িত। ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচার শিবিরের শীর্ষস্থানীয়দের অন্যতম ছিলেন মাইকেল ফ্লিন।

ট্রাম্প দায়িত্ব গ্রহণের আগে রাশিয়ার তৎকালীন রাষ্ট্রদূত সের্গেই কিসলিয়াকের সাথে বৈঠকের বিষয়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সকে মিথ্যা তথ্য দেবার অভিযোগে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এফবিআই।

এর জের ধরেই ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদ ছাড়তে বাধ্য হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত এই লেফটেন্যান্ট জেনারেল।

সূত্র: বিবিসি

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

বোমা ফাটালেন’ ট্রাম্পের উপদেষ্টা

আপডেট টাইম : ০৫:১১:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ ডিসেম্বর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রাশিয়ার সাথে যোগাযোগ নিয়ে এফবিআই-কে মিথ্যা তথ্য দেয়ার কথা স্বীকার করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিন। রাশিয়ার সাথে যোগাযোগ নিয়ে স্পেশাল কাউন্সিলর রবার্ট মুলারের তদন্তে এই স্বীকারোক্তি একটি বড় অগ্রগতি বলেই ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এর ফলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপের বিষয়ে ট্রাম্পের আরো ঘনিষ্ঠজনের জড়িত থাকার বিষয়ও এরপর বেরিয়ে আসতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিন যখন ওয়াশিংটন ডিসির ফেডারেল কোর্টে উপস্থিত হন তখন আদালতের বাইরে তার বিরুদ্ধে চিৎকার করে ওঠেন কিছু প্রতিবাদকারী।

বার্তা সংস্থা এএফপি-র বরাত দিয়ে বলা হচ্ছে যে, ফ্লিন দোষ স্বীকার করতে চান কিনা আদালতের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি সম্মত হন।

আদালতের কাছে তিনি জ্ঞাতসারে এফবিআই-এর কাছে মিথ্যা, কাল্পনিক ও প্রতারণামূলক বিবৃতি দেবার কথা স্বীকার করেন।

আদালত থেকে বেরিয়ে যাবার সময়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অবশ্য কিছুই বলেন নি ফ্লিন। ২০১৬-র মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ নিয়ে তদন্ত করছেন স্পেশাল কাউন্সিলর রবার্ট মুলার।

ফ্লিনের এই স্বীকারোক্তি সেই তদন্তে বড় অগ্রগতি হিসেবেই বিবেচনা করা হচ্ছে। মুলারের তদন্তে তিনি সহায়তা করছেন বলে জানানো হয়েছে।

মার্কিন গণমাধ্যমগেুলো বলছে যে, রাশানদের সাথে যোগাযোগ করতে ফ্লিনকে যারা নির্দেশ দিয়েছিল তাদের মধ্যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মেয়ের জামাতা জেরাড কুশনারও আছেন- এমন সাক্ষ্য দিতেও প্রস্তুত আছেন মাইকেল ফ্লিন।

সিনেট ইন্টেলিজেন্স কমিটির শীর্ষ ডেমোক্রেট মার্ক ওয়ার্নার সাংবাদিকদের বলেছেন যে, সত্য উদঘাটনে প্রয়োজনে মিস্টার কুশনারকে আবারো জেরা করা হবে।

ওয়ার্নার বলছেন, ‘আমরা আমাদের নিজস্ব পন্থাতেই কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। প্রয়োজনে আমরা সকল সাক্ষীর পুনঃসাক্ষাতকার নেবো। এমন তালিকায় কুশনার থাকতে পারেন।

যদিও হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে, এসব বিষয়ে মাইকেল ফ্লিন কেবল একাই জড়িত। ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচার শিবিরের শীর্ষস্থানীয়দের অন্যতম ছিলেন মাইকেল ফ্লিন।

ট্রাম্প দায়িত্ব গ্রহণের আগে রাশিয়ার তৎকালীন রাষ্ট্রদূত সের্গেই কিসলিয়াকের সাথে বৈঠকের বিষয়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সকে মিথ্যা তথ্য দেবার অভিযোগে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এফবিআই।

এর জের ধরেই ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদ ছাড়তে বাধ্য হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত এই লেফটেন্যান্ট জেনারেল।

সূত্র: বিবিসি