হাওর বার্তা ডেস্কঃ রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, কোনো রাষ্ট্রের একার পক্ষে সমুদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। সুনামি ও সাইক্লোনের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। আজ কক্সবাজারে ইন্ডিয়ান ওশান নেভাল সিম্পোজিয়ামের (আইওএনএস) মাল্টিল্যাটারাল মেরিটাইম সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ এক্সসারসাইজের (ইমসারেক্স) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন রাষ্ট্রপতি।
তিনি বলেন, সমুদ্রগামীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতিতে সমুদ্রে জীবনের নিরাপত্তা আঞ্চলিক দায়িত্ব হয়ে পড়ে। যৌথ উদ্যোগ ছাড়া আমরা আমাদের নাবিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারব না। এ জন্য আমাদের একযোগে কাজ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে ‘ব্লু ইকোনোমির’ গুরুত্ব তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি বলেন, ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের রাষ্ট্রগুলোকে মেরিটাইম ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে একযোগে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা সবাই সাম্প্রতিক সময়ে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের কৌশলগত ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন আছি। সাগরের সম্পদ উত্তোলন, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই অঞ্চলের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে।
এ সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে বাংলাদেশ সরকার সমুদ্র খাতের উন্নয়নের উদ্যোগ নিয়েছে বলে অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক আবদুল হামিদ।
তিনি বলেন, সাগরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারলেই সমৃদ্ধ এই মেরিটাইম ইকোনোমির উন্নতি হতে পারে। এ কথা মাথায় রেখে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর উন্নয়ন ও সক্ষমতা বাড়াতেও কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, সরকারের ব্লু ইকোনোমি এজেন্ডা বাস্তবায়নে নৌবাহিনী সাগরে ‘অতন্দ্র অভিভাবকের মতো’ কাজ করছে।
ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সমুদ্রবিষয়ক সহযোগিতা বাড়াতে কাজ করে আইওএনএস। ২২ দেশের সদস্য। এ ছাড়া ৯ দেশ পর্যবেক্ষক হিসেবে রয়েছে।
সদস্য দেশগুলোর নৌবাহিনীর সদস্যদের মধ্যে তথ্যের আদান-প্রদানেও আইওএনএস কাজ করে। বাংলাদেশের নৌবাহিনীপ্রধান অ্যাডমিরাল এম নিজামউদ্দীন আহমেদ এ জোটের বর্তমান চেয়ারম্যান।
ইমসারেক্সের এবারের মহড়ায় অংশ নিচ্ছে ২৩ দেশ। আগামী ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত কক্সবাজারে এই মহড়া চলবে।
ইমসারেক্স-২০১৭ এ বাংলাদেশের ৩২টি বিভিন্ন ধরনের যুদ্ধজাহাজ ও নৌযান এবং চীন, ভারত, ইরান ও ইন্দোনেশিয়ার জাহাজ অংশ নিচ্ছে।
অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশের নৌবাহিনীপ্রধান অ্যাডমিরাল এম নিজামউদ্দীন আহমেদ, ভারতীয় নৌবাহিনীপ্রধান অ্যাডমিরাল সুনীল লানবা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
পরে রাষ্ট্রপতি হেলিকপ্টারে করে মহড়া দেখেন এবং এ উপলক্ষে আয়োজিত বিচ কার্নিভালের উদ্বোধন করেন।